Quantcast
Channel: Truth Revealer

জেনে নিন ফিলিস্তিনের ইতিহাস। চোখে আপনার অশ্রু গড়াবেই

$
0
0

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ফিলিস্তিন ছিল তুরস্কের ওসমানীয় খেলাফতের অধীনে শাসিত একটি সুন্দর আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ প্রদেশ। ফিলিস্তিন শ্যামল উর্বর সোনার ফসলের এলাকা ছিল। এখানকার বাসিন্দারাও দৈহিক সৌন্দর্য ও কমনীয়তার প্রতীক।
আয়তন দশ হাজার চার’শ ঊনত্রিশ বর্গমাইল। মধ্যপ্রাচ্যের ‘উর্বর চন্দ্র’ (Fertile Crescent) নামে খ্যাত এলাকার একেবারে উত্তরে ফিলিস্তিন। পৃথিবীর তিনটি প্রধান ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে পশ্চিম এশিয়ার একেবারে পশ্চিম অঞ্চল থেকে। ফিলিস্তিন থেকে ইহুদি ও খ্রিষ্টধর্ম এবং এটারই নিকটবর্তী এলাকা অর্থাৎ মক্কা থেকে অভ্যুদয় হয়েছে ইসলামের। আসমানি তিন ধর্মই ফিলিস্তিনে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাসকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির উৎস ও কেন্দ্র বলে মনে করে। উদারতা ও সহিষ্ণুতা যদি বিশ্ববাসীর মধ্যে থাকত তাহলে এ শহর হতে পারত তিন ধর্মানুসারীদের মিলনস্থল। কিন্তু কী নির্মম পরিহাস। স্থানটি সবসময়ই সঙ্ঘাতের কেন্দ্র হয়ে রয়েছে।
ফিলিস্তিন মুসলমানদের হস্তগত হয় হজরত ওমর ফারুকের খেলাফতকালে ১৮ হিজরিতে। তারপর ক্রুসেড যুদ্ধের সময় প্রায় ৯০ বছর তা ছিল খ্রিষ্টানদের দখলে। আবার তা মুসলমানদের দখলে আসে গাজি সালাহুদ্দীন আইয়ুবির মাধ্যমে। এরপর ১৯১৭ পর্যন্ত তা নিরবচ্ছিন্নভাবে মুসলমানদের আয়ত্তেই ছিল। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১২৫০ বছর মুসলমানদের অধীনেই ছিল ফিলিস্তিন ভূমি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকে ইঙ্গ মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনে ইহুদিরা শক্তি বাড়াতে থাকে এবং এক পর্যায়ে স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের উৎখাত করে সেখানে একটি ইহুদি রাষ্ট্র কায়েম করে। ইহুদিদের জন্য এখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত অনেক দীর্ঘ ও পরিকল্পিত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কিছু দিন আগে কর্নেল লরেন্স দৃশ্যত মুসলমান হয়ে আরবদের প্রতারিত করে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে আরব জাতীয়তাবাদের শ্লোগান তোলে ও প্রচারণা চালায়। আরব তরুণরা তার মন্ত্রে মুগ্ধ হয়ে যায়। ফল দাঁড়ায় তুর্কি খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ মরক্কোর সমুদ্রবন্দর কাসাব্লাঙ্কায় হামলা চালায়। সেখানে তুর্কি যুদ্ধজাহাজ ছিল। ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজে ৬’শ সৈন্য ছিল। তুর্কি মোকাবেলায় ব্রিটিশ জাহাজ ডুবে যায়। অবশ্য মরক্কো তখন তুর্কি খেলাফত থেকে আলাদা হয়ে গেছে। কেননা ১৯১১-এ তুর্কি খেলাফত এক এক করে মরক্কো, সেনেগাল, আলজিরিয়া, তিউনিস, লিবিয়া, মিসর, সুদান, মধ্য আফ্রিকা ও অন্য সব আফ্রিকান প্রদেশ থেকে হাত গুটিয়ে নেয়। কিন্তু মধ্য প্রাচ্যে ও এশিয়ার প্রদেশগুলোর ওপর কর্তৃত্ব রাখতে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তুর্কিদের বিরুদ্ধে আরব জাতীয়তাবাদের প্রচারণা চালানোর কারণে মরক্কো থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বিদ্রোহ দেখা দেয়। অন্যভাবে বলা যায়, আটলান্টিক থেকে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত আরব জাতীয়তাবাদের ঢেউ চলতে থাকে। তুর্কি খলিফারা আরবদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালান এবং যুদ্ধে তুর্কিদের পক্ষে কাজ করতে অনুরোধ জানান। যুদ্ধের পর আরবদের স্বাধীনতা কিংবা ক্ষমতার ভাগ দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আরবরা কিছুতেই শান্ত হয়নি। আফ্রিকার প্রদেশগুলো হাতছাড়া হয়ে গেলেও ইয়েমেন, আরব, ইরাক, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন অর্থাৎ এশিয়ার এসব অঞ্চল তুর্কিরা ছাড়তে রাজি ছিল না। ফলে এখানে তুমুল লড়াই হয়। ত্রিপক্ষীয় শক্তি একজোট হয় তুর্কিদের বিরুদ্ধে এক দিকে ব্রিটিশ, আরেক দিকে ফরাসি আর অপর দিকে আরব শক্তি সম্মিলিতভাবে তুর্কি শক্তির মোকাবেলা করতে থাকে। স্বাভাবিক নিয়মেই এশিয়ার সব প্রদেশ চলে যায় অন্যদের নিয়ন্ত্রণে।
ইউরোপীয় বাহিনীগুলো আরবদের সহায়তার নামে এখানকার সব বন্দর ও শহর নিজেদের দখলে রাখে এই বলে যে, তুর্কিরা যদি আবার ফিরে আসে। এভাবে সব প্রদেশকে আলাদা আলাদা রাষ্ট্র বানিয়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্স নিজেদের মধ্যে এগুলো ভাগ করে নেয়। আরবদের স্বাধীনতার ছলনা দিয়ে নিজেদের জালে আটকায়।
তুরস্কের ওসমানি খেলাফতের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। আরবরা তখন ব্রিটিশ ও ফরাসি সৈন্যদের চলে যেতে বলল। কিন্তু তারা যুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে না নেয়া পর্যন্ত চলে যেতে অস্বীকার করল। ইউরোপীয় বাহিনী এভাবে জবরদখলকারী হিসেবে রয়ে গেল। এখন আরবরা না পারে সইতে, না পারে কিছু বলতে। অবশ্য প্রতিবাদ ও সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। ওদিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত গোষ্ঠীও তৈরি হয়ে যায়। তাদেরই হাতে এক সময়ে এসব অঞ্চলের শাসনভার ছেড়ে দিয়ে দখলদার বাহিনী আস্তে আস্তে চলে যায়। তবে এজন্য স্থানীয় জনগণের ত্যাগ ও সংগ্রাম চালাতে হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। সিরিয়া ৩৫ বছর পর স্বাধীনতা লাভ করলেও দখলদার শক্তি এটাকে ভাগ করে সিরিয়া ও লেবানন দু’টি রাষ্ট্রে পরিণত করে। কোনো কোনো অঞ্চল চল্লিশ পঞ্চাশ বছরের রক্তক্ষয়ী ত্যাগ স্বীকারের পর স্বাধীন হয়। ফ্রান্স বলে বসে আলজিরিয়া আমাদেরই দক্ষিণ অংশ। আমরা তা ছাড়ব না। ফ্রান্সের জবর দখলের প্রতিবাদে গড়ে ওঠে গেরিলা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন আহমদ বেনবিল্লাহ। শুরু হয় সব শহর ও গ্রামে গেরিলা যুদ্ধ । ফলে ৭৫ বছর পর শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড লড়াই ও বিরাট ত্যাগের বিনিময়ে আলজিরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এভাবে তুর্কি খেলাফতের সাথে বিদ্রোহের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করে পূর্ব আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার জনগণ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে (১৯১৪-১৯১৯) ফিলিস্তিনে কয়েক হাজার ইহুদি বাস করত। এদের অধিকাংশের পেশা ছিল ব্যবসা। আর গোটা ফিলিস্তিনের বাসিন্দা ছিল আরব মুসলমানরা। এদের মধ্যে ছিল উচ্চবিত্ত জমিদার, কৃষক, ব্যবসায়ী, সরকারি চাকুরে, বিশাল জলপাই বাগানের মালিক, কারখানা মালিক ইত্যাদি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যে আদমশুমারি হয় সে অনুযায়ী মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ। স্বাচ্ছন্দ্যে ও নির্বিঘেœ স্বচ্ছল জীবনযাপন করছিল তারা। তখন কে জানত এই সুখের জীবনের পরে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে দারিদ্র্য, দুর্দশা ও শরণার্থী শিবিরের জীবন। ইহুদিরা ব্রিটেনের রাজার সাথে এক চুক্তি করে যে, তারা ব্রিটেনের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সব ব্যয় পরিশোধ করবে যদি তাদের প্রতিশ্র“ত ভূমিতে নিজেদের একটি রাষ্ট্র গঠন করে দেয়া হয়। এটা ২ নভেম্বর ১৯১৭-এর চুক্তি। বৃটেনের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যালফোর এ উপলক্ষ্যে যে ঘোষণা দেন এরই নাম বেলফোর ঘোষণা। চুক্তি অনুযায়ী মহারাজার সরকার সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্র“তি দেয়। কিন্তু বিষয়টি সহজ ছিল না।
ফিলিস্তিন যেহেতু ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল, তাই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ইহুদিদের পরামর্শ দিলো, তারা যেন ইউরোপ থেকে জায়গা বদল করে ফিলিস্তিনে গিয়ে বসতি স্থাপন করতে থাকে। ১৯১৮ পর্যন্ত ইহুদিদের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে বেড়ে যায়। কিন্তু মুসলমানদের সংখ্যা থেকে যায় ৭ লাখই। ইহুদিরা পূর্ব ইউরোপ, রাশিয়া, পোল্যান্ড ও বাল্টিক এলাকাগুলো থেকে আসতে থাকে এবং ফিলিস্তিনে তাদের বসতি করে দিতে থাকে ব্রিটেন। ১৯২৭ পর্যন্ত ইহুদিদের ছোট বড় ২২০ বসতি গড়ে ওঠে। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব বসতি নির্মাণ করে দেয় ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী এলাকায় অর্থাৎ হাইফা থেকে জাফা এলাকা পর্যন্ত এসব বসতি স্থাপিত হয়। প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ করে ইহুদি আসতে থাকে। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে লিগ অব নেশন্সের ম্যান্ডেট ছিল। সেমতে ব্রিটিশ সরকার ইহুদিদের ন্যায়-অন্যায় সব রকমের সুবিধা দিতে থাকে এবং আরবদের উপকূলীয় এলাকা থেকে জেরুসালেমের দিকে ঠেলে দিতে থাকে। ১৯৩১ পর্যন্ত ফিলিস্তিনে জনসংখ্যার হার দাঁড়ায় এ রকম নিরেট আরব মুসলমান সাড়ে ৭ লাখ বা শতকরা ৭৩ ভাগ, ইহুদি পৌনে ২ লাখ বা ১৭ শতাংশ, খ্রিষ্টান ৯১ হাজার বা ৯ শতাংশ অন্যান্য ৯ হাজার বা ১ শতাংশ। প্রথম দিকে কোনো কোনো নবাগত গোষ্ঠী একত্র হয়ে আরবদের কাছ থেকে কিছু জমি কেনে। আবার অনেকে অনাবাদি জমি বিনামূল্যে দখল করে সেখানে বসতি গড়ে তোলে। ইংরেজ সরকার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে কিছু জমি অ্যাকোয়ার করে সেখানে ইহুদিদের বসতি নির্মাণ করে দেয়। অবশেষে ১৪ মে ১৯৪৮ ফিলিস্তিনকে ভাগ করে একটি অংশের কর্তৃত্ব অর্পণ করা হয় ইহুদিদের হাতে। এই ভাগাভাগি অনুযায়ী ইহুদিদের দেয়া হয় ৭ হাজার ৯৯৩ বর্গমাইল আর আরবরা পায় মাত্র ২ হাজার ৪৩৬ বর্গমাইল। অবিচার আর কাকে বলে! সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইহুদিরা আরবদের নিজেদের জন্য বরাদ্দ এলাকা থেকে বের করে দিতে শুরু করে। আরবরা প্রতিবাদ করে। পরিস্থিতি গড়ায় যুদ্ধ পর্যন্ত। জুন ১৯৪৮ থেকে জানুয়ারি ১৯৪৯ পর্যন্ত মিসর, সিরিয়া, লেবানন ও জর্দান ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করে এবং কোনো কোনো জায়গায় ইহুদিদের হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়। জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়। তারপর ইহুদিরা ৬ লাখ মুসলমানকে তাদের এলাকা থেকে বের করে দেয়। গাজায় সঙ্কীর্ণ একটি ফালি বাদ দিয়ে পুরো উপকূলীয় এলাকা বরাদ্দ দেয়া হয় ইহুদিদের। পবিত্র নগর জেরুসালেমও ভাগ করা হয়। আরবদের নিজেদের আবাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তুতে পরিণত করা হয়। আর মুসলমানদের পবিত্র নগরী জেরুসালেমে আস্ফালন করতে থাকে ইহুদিরা। বিশ্বের ইতিহাসে এমন বিশ্বাসঘাতকতা, বর্বরতা, প্রতারণা ও অত্যাচারের নজির খুঁজে পাওয়া যায় না। মোট কথা ইসরাইল রাষ্ট্রের আকারে একটি ছুরি বসিয়ে দেয়া হয়েছে আরবদের বুকে।
ইসরাইলে ইহুদি জনসংখ্যা ১৯১৪-এর আগে কয়েক হাজার, ১৯১৮-এ ৫০ হাজার, ১৯৩১-এ ১ লাখ ৭৫ হাজার, ১৯৩৫-এ ৩ লাখ, ১৯৪৮-এ সাড়ে ৮ লাখ, ১৯৫৮-এ ২০ লাখ, ২০০০-এ ৬২ লাখ এবং ২০০৭-এ দাঁড়িয়েছে ৭৫ লাখ। আরবরা যদি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানি খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করত, তাহলে তাদের এ দুর্দিন পোহাতে হতো না।
আসলে ইসরাইল রাষ্ট্রটি ব্রিটেন সরকারের রাজকীয় দান ছিল না। বরং ইহুদি ধনকুবেররা পয়সা দিয়ে কিনে নিয়েছিল ফিলিস্তিনিদের পবিত্র ভূমি এবং তারপর নিজেদের ইচ্ছামতো মানচিত্র তৈরি করেছিল। মুসলমানরা কোথায় যাবে, তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। একটি জাতি ও জনগোষ্ঠীর নাম নিশানা মুছে দেয়া হলো। যাদের নাম নিশানা মুছে দেয়া হচ্ছিল, তারা প্রতিবাদ জানালে তাদের সাব্যস্ত করা হয় সন্ত্রাসী, মৌলবাদী ও অসহিষ্ণু বলে। সত্যিই যদি ইহুদিদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র কায়েম করার উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর খালি জায়গা পড়ে ছিল। সেখানে তাদের জন্য একটি বিশাল বিস্তীর্ণ রাষ্ট্র কায়েম করা যেত। আরবদের বুকচিরে এক ফালি জমি বের করতে হতো না। বা শত শত বছর ধরে বাস করতে থাকা লোকদের উচ্ছেদ করতে হতো না। তেমনি বিশ্ব শান্তিতে বিঘœ সৃষ্টিকারী একটি স্থায়ী উপাদান যোগ করতেও হতো না। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন ও উদ্বাস্তু ইহুদিরা শান্তিতে থাকতে চায়নি। বিশ্বকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায়নি এখনো চায় না। বরং ইউরোপের জাতিগুলো বিশৃঙ্খলপ্রিয়। এরা বিশেষ করে মুসলমানদের শান্তি বিনাশে সদা তৎপর। তারপর মুসলমানদের প্রতিরোধ আন্দোলন আখ্যায়িত হয় সন্ত্রাসবাদ হিসেবে।
আরবরা যে এলাকাটুকু পেয়েছে তাও দুই ভাগে বিভক্ত। এভাবে আরবদের আরো দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা যেন দু’টি দ্বীপে অবস্থান করছে। এদের তিন দিকে ইহুদিরা। আর সাগরেও রয়েছে ইসরাইলের দখল। এক অংশ জর্দান নদীর পশ্চিম তীর। এটার গড় প্রস্থ ৩০ মাইল ও দৈর্ঘ্য ৮০ মাইল। এই অংশের মাঝখানে পড়েছে জেরুসালেম নগরী, কিন্তু এটাকেও আরব ও ইসরাইলের মধ্যে ভাগ করে বায়তুল মুকাদ্দাসকেও দুই ভাগ করা হয়েছে। নগরীর পূর্ব দিকটা পেয়েছে আরবরা, আর পশ্চিম দিকটা দেয়া হয়েছে ইসরাইলকে। এভাবে বিবাদের একটি স্থায়ী বীজ বপন করে দেয়া হয়েছে। অথচ লিগ অব নেশন্স এ ব্যাপারে নির্বাক। সুতরাং একটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই যে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দ্বিতীয় ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত যা গাজা ভূখণ্ড নামে পরিচিত। এখানকার উল্লেখযোগ্য শহর খান ইউনুস ও আররিফা। এটা একটা সঙ্কীর্ণ উপকূলীয় ভূমি। আরবরা প্রাণপণে এটাকে রক্ষা করেছে। এখানে প্রায়ই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। রয়েছে খাবারের সঙ্কট। আর ইহুদিরা তিন দিক থেকে অবরোধ করে রেখেছে। ভূখণ্ডটির প্রস্থ মাত্র ৮ মাইল ও দৈর্ঘ্য ২৫ মাইলের মতো। এই দুই ভূখণ্ডে আরবরা অভ্যন্তরীণভাবে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। কিন্তু তাও ইসরাইলের অনুগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। জুন ১৯৬৭-এর যুদ্ধের পর এ দুই এলাকা কার্যত ইসরাইলের দখলে। ইহুদিরা এ এলাকার উর্বর ভূমিতে জলপাইয়ের বাগান উজাড় করে আরব ও ইসরাইলের মাঝখানে বিভক্তি দেয়াল নির্মাণ করেছে। এভাবে আরবদের ভূমি আরো দখল করে নিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে পশ্চিমারা প্রতারণাই করে যাচ্ছে। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি বাস্তবায়িত হতে পারেনি ইসরাইলের হঠকারিতার কারণে। এই চুক্তি অনুযায়ী ২০০১-এ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন রোডম্যাপ দিলেন। ইসরাইল সরকার তার কোনো মূল্য দিলো না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রচেষ্টাও সফল হলো না। এভাবেই চলছে ৬০ বছর ধরে আরবদের দুঃখদুর্দশা ও অনিশ্চয়তার জীবন।
বিশ্বের মানচিত্রে একটি কৃত্রিম রাষ্ট্রের নাম ইসরাইল। জাতিসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে অন্যায় ও অত্যাচারকে ভিত্তি করেই রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এমনটি মনে করার সঙ্গত কারণ রয়েছে যে, এই কৃত্রিম রাষ্ট্রটির লক্ষ্য ছিল এ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ইহুদি ও অর্থনৈতিক মাফিয়া চক্রের স্বার্থ রক্ষা করা। কৃত্রিম রাষ্ট্রটির গত ৬০ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটাই প্রমাণ মেলে। বর্তমান পরিস্থিতি এই যে, একবিংশ শতাব্দীতেও যদি মানব ব্যবসার মতো লজ্জাজনক কারবার কোথাও হয়, তাহলে তাও এখানেই হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে এ ব্যাপারে ‘কাঁচামাল’ আমদানি করা হয় রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলো থেকে, তারপর এগুলো সরবরাহ করা হয় নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে। রাশিয়া, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলো ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে গত এক দশক ধরে এক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। তাতে মডেল, রিসিপশনিস্ট, হোটেল ওয়েট্রেস, নৃত্যশিল্পী ইত্যাদি পদের জন্য মেয়েদের ভর্তি করতে চাওয়া হয় এবং আকর্ষণীয় পারিশ্রমিকের অফার দেয়া হয়। বয়সসীমা থাকে অনূর্ধ্ব ২০ বছর। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর রাশিয়ান ও পূর্ব ইউরোপীয় মেয়েরা ভিড় জমায়। এদের বেশিরভাগই রাশিয়ার কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। এভাবে শ্বেতাঙ্গ দাসীর কারবার শুরু হয়ে যায়। এই কারবারের সবচেয়ে বড় বাজার ইসরাইল। ইসরাইলে যাওয়ার পর এখানে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়। সবচেয়ে সুন্দরী ও চালাক চতুর মেয়েদের আলাদা করে তাদের বিশেষ ধরনের ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তাদের গোয়েন্দাবৃত্তির বিভিন্ন দিক যেমন শব্দ রেকর্ড করা, গোপন ফিল্ম বানানো, আরবি ভাষা ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া হয়। তারপর তাদের ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদে মধ্যে ভর্তি করে নেয়া হয়। যারা মোসাদের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারে, তাদের ইসরাইলি বাহিনী ও মোসাদের পরিচালনায় সক্রিয় মানব পাচারের মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। এই মাফিয়া চক্র এদেরকে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে দেহব্যবসায় বাধ্য করে। যেসব মেয়ে মাফিয়া চক্রের কথা মানতে চায় না, তাদের ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। এভাবে নারীব্যবসা বর্তমানে এত বেড়ে গেছে যে, ইসরাইলের সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ইসরাইলি পার্লামেন্টে বিষয়টি বারবার আলোচনা হয়, কমিটি গঠন করা হয় নারী পাচার বন্ধ করার জন্য। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব বড় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নীতিনির্ধারক সংস্থায় ইহুদিদের প্রভাব ও কর্তৃত্ব রয়েছে। এসব ইহুদি আসলে আমেরিকা ও ইউরোপের বাসিন্দা। তেমনি পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ সব রাজধানী ও বাণিজ্যিক শহরে রয়েছে ইহুদিদের উল্লেখযোগ্য সম্পত্তি। রাশিয়ার মস্কো ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মালিকানা ইহুদিদের। যেসব মুসলিম রাষ্ট্রে ইহুদিরা সরাসরি জমি বা ভবন কিনতে পারে না, সেখানে নিয়োগ করা হয় ফ্রন্টম্যান। এসব ফ্রন্টম্যানের ধর্মীয় পরিচয় শনাক্ত করা অনেক সময় মুশকিল হয়। যেমন আগাখানিরা মুসলিম দেশগুলোতে প্রচুর সম্পত্তির মালিক। কিন্তু তাদের অর্থের উৎস রহস্যজনক। তাদের মূলধনের উৎস যদি ইহুদি পুঁজিপতিরা বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না। ইহুদিরা যেসব মুসলিম রাষ্ট্রে বর্তমানে সম্পত্তি কিনতে অত্যন্ত তৎপর, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আরব আমিরাত, জর্দান, কাতার, মরক্কো, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ইরাক। বিভিন্ন দেশে প্রাইভেটাইজেশন কর্মসূচির পেছনে কাজ করে ইহুদি লক্ষ্য।
আধুনিক উন্নত বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে আর্মাগিদুন বা হার্মাগিদুন থিয়োলজি। এই বিশ্বাস অনুযায়ী একটি মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে ‘শুভ ও অশুভ’ শক্তির মধ্যে। এটা হবে ইসরাইল রাষ্ট্রের মধ্যে। জেমস বেকার নামে একজন খ্রিষ্টান পাদ্রি ১৯৮১-এ বলেছিলেন নিশ্চয়ই জেরুসালেমে থেকে ২০০ মাইল পর্যন্ত এমন রক্ত প্রবাহিত হবে, যাতে লাশ ভাসতে থাকবে। মজার ব্যাপার হলো যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রেসিডেন্টের বিশ্বাস ছিল তারই সময়ে এ মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে। রোনাল্ড রিগ্যানের নাম এ প্রসঙ্গে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া রিচার্ড নিক্সন, জিমি কার্টার, বুশ সিনিয়র, বুশ জুনিয়র সবারই বিশ্বাস ১৯৪৮-এ ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছে বাইবেলের এক ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবায়ন হিসেবে। আর ইহুদি-খ্রিষ্টান সম্মিলিত শক্তি যুদ্ধ করবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে। ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে ৫৫ মাইল উত্তরে ম্যাগোডো নামে একটি প্রান্তর রয়েছে। ভূমধ্যসাগর থেকে এটার দূরত্ব ১৫ মাইল। খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের বিশ্বাস এখানেই হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এজন্য ইহুদিরা স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। আর সেগুলো বাস্তবায়ন করছে পর্যায়ক্রমে। এই পরিকল্পনার একটি অংশ দেয়াল নির্মাণ। বিশাল দেয়ালের পেছন থেকেই তারা বিরুদ্ধ শক্তির মোকাবেলা করবে। এমন একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায় কুরআন মজিদেও। সূরা হাশরের ১৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ‘তারা (ইহুদিরা) সম্মিলিতভাবে তোমাদের সাথে লড়াই করবে শুধু সংরক্ষিত জনপদে কিংবা দেয়ালের পেছন থেকে।’ ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস তারাই শুভ শক্তি এবং তাদেরই জয় হবে। কিন্তু নিরপেক্ষ অমুসলিম বুদ্ধিজীবী ও বিশ্লেষকরা পর্যন্ত ইসরাইলের অশুভ চক্রান্ত ও তৎপরতার কঠোর সমালোচনা করছেন। সুতরাং কৃত্রিম রাষ্ট্র ইসরাইলেরই পরাজয় হবে বলে শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীর দৃঢ় বিশ্বাস। আর সে কারণেই হয়তো নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলিদের শান্তিচুক্তি সম্পাদনে সম্মত করতে প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। 

http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/07/13/54240.htm#.U8Zi_PldWSp

"ঈহুদিরা শক্তিশালী এবং মুসলমানেরা শক্তিহীন কেন?"

$
0
0
পৃথিবীতে ইহুদির সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। এই জনসংখ্যায় প্রতি ১ জন ইহুদীর জন্য মুসলমানের সংখ্যা ১০০ জনের ও বেশী। অথচ ইহুদীরা মুসলমানদের তুলনায় শক্তিশালী, কেন?
আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদী। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে নির্বাচিত শতাব্দীর সেরা মানব “ সিগমন্ড ফ্রয়েড” ছিলেন ইহুদী সিগমন্ড ফ্রয়েড কে বলা হয়ে থাকে “ সাইকোএনালিসিসের জনক” কার্ল মার্কস, পল স্যামুয়েলসন , মিল্টন ফ্রয়েডম্যান এরা সবাই ছিলেন ইহুদী।
অনান্য উল্লেখযোগ্য ইহুদী যারা সমগ্র মানব কল্যানে নিবেদিত ছিলেন এবং তাদের অবদান হল-
বেঞ্জামিন রুবিন(Benjamin Rubin ) প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের সুচ আবিস্কার, জোনাস সক ( Jonas Salk ) পোলিও ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। এলার্ট সেবিন- Alert Sabin মুখে খাওয়ার পোলিও প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। গারট্রুড এলিওন Gertrude Elion রক্ত ক্যান্সারের ঔষধ আবিস্কার, বারুখ ব্লুমবার্গ (Baruch Blumberg )- হেপাটাইটিস বি’র প্রতিষেধক আবিস্কার, পল আরলিখ-( Paul Ehrlich) সিফিলিসে ঔষধ আবিস্কার, এলি মেচনিকফ(Elie Metchnikoff ) সংক্রামক রোগের উপর নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। বার্নার্ড কাজ (Bernard Katz) স্নায়ু এবং মাংশপেশীর উপর নোবেলজয়ী, এনড্রু শ্যালী (Andrew Schally) এন্ডোক্রাইনোলজী’র উপর নোবেলজয়ী, আরন বেক-( Aaron Beck)- কগনিটিভ থেরাপী- মানসিক ব্যাধি চিকিৎসার উপায়। গ্রেগরী পিনকাস- Gregory Pincus জন্ম নিরোধক বড়ি
জর্জ ওয়াল্ড (George Wald) মানব চক্ষুর উপর কাজের জন্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী,স্ট্যানলী কোহেন. (Stanley Cohen) ভ্রুনবিদ্যায় embryology নোবেলজয়ী, উইলেম কলফ(Willem Kolff ) কিডনী ডায়ালাইসিস যন্ত্রের আবিস্কারক।
নোবেল পুরস্কারের ১০৫ বছরের ইতিহাসে নোবেলজয়ী ইহুদীর সংখ্যা-১৮০, মুসলমানের সংখ্যা- ৩।
ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
স্টানলী মেজর (Stanley Mezor ) মাইক্রোপ্রসেসিং চিপসের আবিস্কারক, (micro-processing chip.) লিও সিলার্ডLeo Szilard পারমানবিক শক্তির “ চেইন রিয়্যাক্টরের এর উদ্ভাবক the first nuclear chain reactor; পিটার শুলজ (Peter Schultz) অপটিক্যাল ফাইবার কেবল the optical fibre cable; চার্লস এডলার Charles Adler – ট্রাফিক লাইট traffic lights; বেনো স্ট্রস Benno Strauss – ইস্পাত stainless steel; ইসাডর কিস- Isador Kisee - সবাক চলচিত্র sound movies; এমিল বার্লিনার Emile Berliner – টেলিফোন মাইক্রোফোন telephone microphone and চার্লস গিনসবার্গ Charles Ginsburg – ভিডিও টেপ রেকর্ডার videotape recorder.

ব্যাবসা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা -
র‍্যালফ লরেন Ralph Lauren- পোলো (Polo), লেভী স্ট্রস Levis Strauss লেভী’স জিনস(Levi's Jeans), হাওয়ার্ড শুলজ Howard Schultz স্টারবাক (Starbuck's) , সের্গেই ব্রিন Sergey Brin গুগল(Google), মাইকেল ডেল ( Michael Dell ) ডেল কম্পিউটার (Dell Computers),ল্যারি এলিসন Larry Ellison (Oracle),
প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা-
হেনরী কিসিঙ্গার (Henry Kissinger) এবং ম্যাডলিন অলব্রাইট (Madeleine Albright) আমেরিকার প্রাক্তন পররাস্ট্র মন্ত্রী (American Foreign Secretary) ) ম্যাক্সিম লিটভিনভ(Maxim Litvinov)- রাশিয়ার পররাস্ট্র মন্ত্রী (USSR Foreign Minister), ডেভিড মার্শাল David Marshal সিঙ্গাপুরের মুখ্যমন্ত্রী, বেঞ্জামিন ডিজরেলী Benjamin Disraeli বৃটিশ রাস্ট্রনায়ক ও লেখক (British statesman and author), পিয়েরে মেনডেস (Pierre Mendes )-ফরাসী প্রধানমন্ত্রী (French Prime Minister), মাইকেল হাওয়ার্ড(Michael Howard )- বৃটিশ স্বরাস্ট্রমন্ত্রী (British Home Secretary),.
মানব কল্যানে দাতা হিসেবে ইহুদী- জর্জ সরস- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানের উন্নয়নে যিনি দিয়েছেন ৪০০ কোটি ডলারের ও বেশী, ওয়াল্টার এনেনবার্গ জ্ঞান সাধনার উন্নয়ন কল্পে দিয়েছেন ২০০ কোটি ডলার।
হলিউডের প্রতিষ্ঠাতা একজন ইহুদী। হলিউডের অনেক অভিনেতা,অভিনেত্রী পরিচালক, ইহুদি।
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনের এক উল্ল্যেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল আমেরিকান ইজরায়েলী পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি American Israel Public Affairs Committee, or AIPAC.। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন পৃথিবী গোল পরদিন আমেরিকান কংগ্রেসে ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আইন পাশ করা হবে ‘ পৃথিবী গোল”
এ যাবত কালের সবচে’ বেশী ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট বা আই কিউ(২৫০-৩০০) ছিলেন একজন ইহুদী, উইলিয়াম জেমস সিডিস(William James Sidis)
প্রশ্নঃ- ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
উত্তরঃ- শিক্ষা
পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা ১৪০ কোটির ও বেশী, এই সংখ্যা হিন্দুদের বা বৌদ্ধদের দ্বিগুন, পৃথিবীতে প্রতি পাঁচজনের একজন মুসলমান, অথচ মুসলমানদের এমন দুরবস্থা কেন?
অর্গানাইজেশান অফ ইসলামিক কান্ট্রি’জ বা ও আই সি’র সদস্য সংখ্যা ৫৭, ঐ দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৫০০ , প্রতি ৩০ লক্ষ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ আমেরিকাতে প্রতি ৫৭,০০০ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় , প্রতিবেশী দেশ ভারতেই রয়েছে ৮,৪০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়।২০০৪ সালের সাংহাইয়ের জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের র‍্যাঙ্কিং এ মুসলিম দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল না।
ইউ এন ডি পি’র সুত্র অনুসারে খৃস্টান দেশ গুলোতে শিক্ষার হার ৯০ শতাংশের ও বেশী ১৫টি খৃস্টান দেশে শিক্ষার হার ১০০% আর মুসলিম দেশগুলোতে তা ৪০ শতাংশ এবং কোন মুসলমান দেশে ১০০% শিক্ষার হার নেই। খৃস্টান বিশ্বে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নিয়েছেন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ২%।
মুসলিম বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছেন ২৩০ জন বিজ্ঞানী সেখানে আমেরিকাতে রয়েছেন ৪,০০০ জন। সমগ্র আরব বিশ্বে মোট গবেষকের সংখ্যা ৩৫,০০০ এবং প্রতি ১০ লক্ষ লোকের জন্য রয়েছে ৫০জন কারিগর বা টেকনিসিয়ান খৃস্টান বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য টেকনিসিয়ান-১০০০ জন।গবেষনার পেছনে খৃস্টান বিশ্ব যেখানে খরচ করে জি,ডি,পি’র ৫% সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ০ .২%।
পাকিস্তানে প্রতি ১০০০ জনের জন্য রয়েছে ২৩টি সংবাদপত্র সেখানে সিঙ্গাপুরে তা ৩৬০টি। বৃটেনে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছে ২০০০টি টাইটেলের বই সেখানে মিশরে তার সংখ্যা মাত্র ২০।
উচ্চ প্রযুক্তি’র পন্য রফতানী জ্ঞান বিজ্ঞানের সূচক। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা ১%, সৌদি আরব, কুয়েত, মরক্কো, আলজেরিয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে তা .৩% এবং সিঙ্গাপুরে তা ৫৮%।
৫৭টি ও আই,সি দেশের জি,ডি,পি, ২ ট্রিলিয়ন সেখানে আমেরিকার ১২ ট্রিলিয়ন, চীনের ৮ ট্রিলিয়ন, জাপান ৩.৮ ট্রিলিয়ন, ভারত- ১.৭৫ ট্রিলিয়ন, জার্মানী ২.৪ ট্রিলিয়ন।( purchasing power parity basis).
সৌদি আরব, আরব আমীরাত, কুয়েত এবং কাতার মিলে উৎপাদন করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য( বেশীর ভাগ তেল) সেখানে স্পেনের তা ১ ট্রিলিয়নের উপরে, পোল্যান্ডের ৪৮৯ বিলিয়ন এবং থাইল্যান্ডের তা ৫৪৫ বিলিয়ন।
সমস্ত কিছুর কারন কি শিক্ষার অভাব নয়????
বিঃদ্রঃ - ব্লিৎস পত্রিকা ৮ই জানুয়ারী ২০১০ সংখ্যা থেকে অনুদিত। লেখক ডঃ ফারুক সালীম । লেখাটার শেষের কয়েক লাইন অনুবাদ করতে সাহস পাই নি। এ পরিবর্তনের কারন হল পরিপূর্ন অনুবাদ অনেকের কাছে সুখকর হবে না এবং ফারুক সালীমের পরিবর্তে আমার উদ্দেশ্যে”বানী” বর্ষিত হবে এমনকি ধড়ের উপরের মাথাটাও হারাতে পারি। 

40 maps that explain the Middle East

$
0
0

by Max Fisher on May 5, 2014


Maps can be a powerful tool for understanding the world, particularly the Middle East, a place in many ways shaped by changing political borders and demographics. Here are 40 maps crucial for understanding the Middle East — its history, its present, and some of the most important stories in the region today.

    Middle East History

  1. The fertile crescent, the cradle of civilization
    World History: Patterns of Interaction

    The fertile crescent, the cradle of civilization

    If this area wasn't the birthplace of human civilization, it was at least a birthplace of human civilization. Called "the fertile crescent" because of its lush soil, the "crescent" of land mostly includes modern-day Iraq, Syria, Jordan, and Israel-Palestine. (Some definitions also include the Nile River valley in Egypt.) People started farming here in 9000 BC, and by around 2500 BC the Sumerians formed the first complex society that resembles what we'd now call a "country," complete with written laws and a political system. Put differently, there are more years between Sumerians and ancient Romans than there are between ancient Romans and us.
      
  2. How ancient Phoenicians spread from Lebanon across the Mediterranean
    Philip's Atlas of World History

    How ancient Phoenicians spread from Lebanon across the Mediterranean

    The Phoenicians, who lived in present-day Lebanon and coastal Syria, were pretty awesome. From about 1500 to 300 BC, they ran some of the Mediterranean's first big trading networks, shown in red, and dominated the sea along with the Greeks, who are shown in brown. Some sailed as far as the British Isles, and many of them set up colonies in North Africa, Spain, Sicily, and Sardinia. This was one of the first of many close cultural links between the Middle East and North Africa – and why Libya's capital, Tripoli, still bears the name of the ancient Phoenician colony that established it.
      
  3. How the Middle East gave Europe religion, three times
    The Concise Atlas of World History

    How the Middle East gave Europe religion, three times

    The Middle East actually gave Europe religion four times, including Islam, but this map shows the first three. First was Judaism, which spread through natural immigration and when Romans forcibly dispersed the rebelling Israelites in the first and second century AD. In the first through third centuries A.D., a religion called Mithraism — sometimes called a "mystery religion" for its emphasis on secret rites and clandestine worship — spread from present-day Turkey or Armenia throughout the Roman Empire (at the time, most adherents believed it was from Persians in modern-day Iran, but this is probably wrong). Mithraism was completely replaced with Christianity, which became the Roman Empire's official religion, after a few centuries. It's easy to forget that, for centuries, Christianity was predominantly a religion of Middle Easterners, who in turn converted Europeans.
      
  4. When Mohammed's Caliphate conquered the Middle East
    Wikimedia

    When Mohammed's Caliphate conquered the Middle East

    In the early 7th century AD in present-day Saudi Arabia, the Prophet Mohammed founded Islam, which his followers considered a community as well as a religion. As they spread across the Arabian peninsula, they became an empire, which expanded just as the neighboring Persian and Byzantine Empires were ready to collapse. In an astonishingly short time — from Mohammed's death in 632 to 652 AD — they managed to conquer the entire Middle East, North Africa, Persia, and parts of southern Europe. They spread Islam, the Arabic language, and the idea of a shared Middle Eastern identity — all of which still define the region today. It would be as if everyone in Europe still spoke Roman Latin and considered themselves ethnically Roman.
      
  5. A map of the world at the Caliphate's height
    Wikimedia

    A map of the world at the Caliphate's height

    This is a rough political map of the world in 750 AD, at the height of the Omayyad Caliphate ("caliph" means the ruler of the global Islamic community). This is to give you a sense of how vast and powerful the Muslim empire had become, barely one century after the founding of the religion that propelled its expansion. It was a center of wealth, arts, and learning at a time when only China was so rich and powerful. This was the height of Arab power.
      
  6. The six-century rise and fall of the Ottoman Empire
    Wikimedia

    The six-century rise and fall of the Ottoman Empire

    The Ottoman Empire is named for Osman, its first ruler, who in the early 1300s expanded it from a tiny part of northwest Turkey to a slightly less tiny part. It continued expanding for about 500 years — longer than the entire history of the Roman Empire — ruling over most of the Middle East, North Africa, and southeastern Europe for centuries. The empire, officially an Islamic state, spread the religion in southeast Europe but was generally tolerant of other religious groups. It was probably the last great non-European empire until it began declining in the mid-1800s, collapsed after World War I, and had its former territory in the Middle East divided up by Western Europe.
      
  7. What the Middle East looked like in 1914
    Philippe Rekacewicz / Le Monde Diplomatique

    What the Middle East looked like in 1914

    This is a pivotal year, during the Middle East's gradual transfer from 500 years of Ottoman rule to 50 to 100 years of European rule. Western Europe was getting richer and more powerful as it carved up Africa, including the Arab states of North Africa, into colonial possessions. Virtually the entire region was ruled outright by Europeans or Ottomans, save some parts of Iran and the Arabian peninsula divided into European "zones of influence." When World War I ended a few years later, the rest of the defeated Ottoman Empire would be carved up among the Europeans. The lines between French, Italian, Spanish, and British rule are crucial for understanding the region today – not just because they ruled differently and imposed different policies, but because the boundaries between European empires later became the official borders of independence, whether they made sense or not.
      
  8. The Sykes-Picot treaty that carved up the Middle East
    Financial Times

    The Sykes-Picot treaty that carved up the Middle East

    You hear a lot today about this treaty, in which the UK and French (and Russian) Empires secretly agreed to divide up the Ottoman Empire's last MidEastern regions among themselves. Crucially, the borders between the French and British "zones" later became the borders between Iraq, Syria, and Jordan. Because those later-independent states had largely arbitrary borders that forced disparate ethnic and religious groups together, and because those groups are still in terrible conflict with one another, Sykes-Picot is often cited as a cause of warfare and violence and extremism in the Middle East. But scholars are still debating this theory, which may be too simple to be true.
      
  9. Maps of War

    An animated history of great empires in the Middle East

    You may have noticed a theme of the last eight maps: empires, mostly from outside the Middle East but sometimes of it, conquering the region in ways that dramatically changed it. This animation shows you every major empire in the Middle East over the last 5,000 years. To be clear, it is not exhaustive, and in case it wasn't obvious, the expanding-circle animations do not actually reflect the speed or progression of imperial expansions. But it's a nice primer.
      
  10. The complete history of Islamic states
    Michael Izady / Columbia University

    The complete history of Islamic states

    This time-lapse map by Michael Izady — a wonderful historian and cartographer at Columbia University, whose full collection can be found here — shows the political boundaries of the greater Middle East from 1450 through today. You'll notice that, for much of the last 500 years, most or all of the region has been under some combination of Turkish, Persian, and European control. For so much of the Arab Middle East to be under self-rule is relatively new. Two big exceptions that you can see on this map are Morocco and Egypt, which have spent more of the last 500 years as self-ruling empires than other Arab states. That's part of why these two countries have sometimes seen themselves as a degree apart from the rest of the Arab world.
      
  11. The 2011 Arab Spring
    The Economist

    The 2011 Arab Spring

    It is still amazing, looking back at early and mid-2011, how dramatically and quickly the Arab Spring uprisings challenged and in many cases toppled the brittle old dictatorships of the Middle East. What's depressing is how little the movements have advanced beyond those first months. Syria's civil war is still going. Egypt's fling with democracy appeared to end with a military coup in mid-2013. Yemen is still mired in slow-boil violence and political instability. The war in Libya toppled Moammar Qaddafi, with US and European support, but left the country without basic security or a functioning government. Only Tunisia seems to have come out even tenuously in the direction of democracy.
      

  12. The Middle East today

  13. The dialects of Arabic today
    Wikimedia

    The dialects of Arabic today

    This map shows the vast extent of the Arabic-speaking world and the linguistic diversity within it. Both go back to the Caliphates of the sixth and seventh century, which spread Arabic from its birthplace on the Arabian Peninsula across Africa and the Middle East. Over the last 1,300 years the language's many speakers have diverged into distinct, sometimes very different, dialects. Something to look at here: where the dialects do and do not line up with present-day political borders. In places where they don't line up, you're seeing national borders that are less likely to line up with actual communities, and in some cases more likely to create problems.
      
  14. The Sunni-Shia divide
    The Shia Revival by Vali Nasr

    The Sunni-Shia divide

    The story of Islam's division between Sunni and Shia started with the Prophet Mohammed's death in 632. There was a power struggle over who would succeed him in ruling the Islamic Caliphate, with most Muslims wanting to elect the next leader but some arguing that power should go by divine birthright to Mohammed's son-in-law, Ali. That pro-Ali faction was known as the "Partisans of Ali," or "Shi'atu Ali" in Arabic, hence "Shia." Ali's eventual ascension to the throne sparked a civil war, which he and his partisans lost. The Shia held on to the idea that Ali was the rightful successor, and grew into an entirely separate branch of Islam. Today about 10 to 15 percent of Muslims worldwide are Shia — they are the majority group in Iran and Iraq only — while most Muslims are Sunni. "Sunni" roughly means "tradition." Today, that religious division is again a political one as well: it's a struggle for regional influence between Shia political powers, led by Iran, versus Sunni political powers, led by Saudi Arabia. This struggle looks an awful lot like a regional cold war, with proxy battles in Syria and elsewhere.
      
  15. The ethnic groups of the Middle East
    Michael Izady / Columbia University

    The ethnic groups of the Middle East

    The most important color on this map of Middle Eastern ethnic groups is yellow: Arabs, who are the majority group in almost every MidEast country, including the North African countries not shown here. The exceptions are mostly-Jewish Israel in pink, mostly-Turkish Turkey in green, mostly-Persian Iran in orange, and heavily diverse Afghanistan. (More on the rich diversity of Iran and Afghanistan below.) That splash of red in the middle is really important: ethnic Kurds, who have no country of their own but big communities in Iran, Iraq, Syria, and Turkey. But the big lesson of this map is that there is a belt of remarkable ethnic diversity from Turkey to Afghanistan, but that much of the rest of the region is dominated by ethnic Arabs.
      
  16. Weighted Muslim populations around the world
    Pew Forum

    Weighted Muslim populations around the world

    This map makes a point about what the Middle East is not: it is not synonymous with the Islamic world. This weighted population map shows every country in the world by the size of its Muslim population. Countries with more Muslim citizens are larger; countries with fewer Muslim citizens are smaller. You'll notice right away that the Middle East makes up just a fraction of the world's total Muslim population. There are far more Muslims, in fact, in the South Asian countries of India, Pakistan, and Bangladesh. The biggest Muslim population by far is Indonesia's, in southeast Asia. And there are millions in sub-Saharan Africa as well. The Islamic world may have begun in the Middle East, but it's now much, much larger than that.
      

  17. Israel-Palestine

  18. Israel's 1947 founding and the 1948 Israeli-Arab War
    Left map: Passia; center and right maps: Philippe Rekacewicz / Le Monde Diplomatique

    Israel's 1947 founding and the 1948 Israeli-Arab War

    These three maps show how Israel went from not existing to, in 1947 and 1948, establishing its national borders. It's hard to identify a single clearest start point to the Israel-Palestine conflict, but the map on the left might be it: these are the borders that the United Nations demarcated in 1947 for a Jewish state and an Arab state, in what had been British-controlled territory. The Palestinians fought the deal, and in 1948 the Arab states of Egypt, Jordan, Iraq, and Syria invaded. The middle map shows, in green, how far they pushed back the Jewish armies. The right-hand map shows how the war ended: with an Israeli counterattack that pushed into the orange territory, and with Israel claiming that as its new national borders. The green is what was left for Palestinians.
      
  19. The 1967 Israeli-Arab War that set today's borders
    BBC

    The 1967 Israeli-Arab War that set today's borders

    These three maps (click the expand icon to see the third) show how those 1948 borders became what they are today. The map on left shows the Palestinian territories of Gaza, which was under Egyptian control, and the West Bank, under Jordanian control. In 1967, Israel fought a war with Egypt, Jordan, and Syria. The war ended with Israel occupying both of the Palestinian territories, plus the Golan Heights in Syria and Egypt's Sinai peninsula: that's shown in the right map. Israel gave Sinai back as part of a 1979 peace deal, but it still occupies those other territories. Gaza is today under Israeli blockade, while the West Bank is increasingly filling with Israeli settlers. The third map shows how the West Bank has been divided into areas of full Palestinian control (green), joint Israeli-Palestinian control (light green), and full Israeli control (dark green).
      
  20. Israeli settlements in the Palestinian West Bank
    Jan De Jong / Foundation for Middle East Peace

    Israeli settlements in the Palestinian West Bank

    Since 1967, Israelis have been moving into settlements in the West Bank. Some go for religious reasons, some because they want to claim Palestinian land for Israel, and some just because they get cheap housing from subsidies. There about 500,000 settlers in 130 communities, which you can see in this map. The settlements make peace harder, which is sometimes the point: for Palestinians to have a state, the settlers will either to have to be removed en masse, or Palestinians would have to give up some of their land. The settlements also make life harder for Palestinians today, dividing communities and imposing onerous Israeli security. This is why the US and the rest of the world opposes Israeli settlements. But Israel is continuing to expand them anyway.
      
  21. Israeli and Hezbollah strikes in the 2006 Lebanon War
    BBC

    Israeli and Hezbollah strikes in the 2006 Lebanon War

    This map shows a moment in the 2006 war between Israel and Lebanon. It also shows the way that war between Israel and its enemies has changed: Israel now has the dominant military, but the fights are asymmetrical. Israel wasn't fighting a state, but the Lebanese militant group Hezbollah. It launched many air and artillery strikes in Lebanon (shown in blue) to weaken Hezbollah, destroying much of the country's infrastructure in the process. Israel also blockaded Lebanese waters. Hezbollah fought a guerrilla campaign against the Israeli invasion force and launched many missiles into Israeli communities. The people most hurt were regular Lebanese and Israelis, hundreds of thousands of whom were displaced by the fighting.
      
  22. Which countries recognize Israel, Palestine, or both
    Wikimedia

    Which countries recognize Israel, Palestine, or both

    The Israel-Palestine conflict is a global issue, and as this map shows it's got a global divide. Many countries, shown in green, still do not recognize Israel as a legitimate state. Those countries are typically Muslim-majority (that includes Malaysia and Indonesia, way over in southeast Asia). Meanwhile, the blue countries of the West (plus a few others) do not recognize Palestine as a country. They still have diplomatic relations with Palestine, but in their view it will not achieve the status of a country until the conflict is formally resolved. It is not a coincidence that there has historically been some conflict between the blue and green countries.
      

  23. Syria

  24. Syria's religious and ethnic diversity
    Michael Izady / Columbia University

    Syria's religious and ethnic diversity

    Each color here shows a different religious group in the part of the eastern Mediterranean called the Levant. It should probably not be surprising that the birthplace of Judaism and Christianity is religiously diverse, but this map drives home just how diverse. Israel stands out for its Jewish majority, of course, but this is also a reminder of its Muslim and other minorities, as well as of the Christian communities in Israel and the West Bank. Lebanon is divided among large communities of Sunnis, Shias, Christians, and a faith known as Druze — they're at peace now, but the country's horrific civil war from 1975 to 1990 divided them. There may be a similar effect happening in Syria, which is majority Sunni Muslim but has large minorities of Christians, Druze, Shia, and a Shia sect known as Alawites whose members include Syrian leader Bashar al-Assad and much of his government.
      
  25. Current areas of control in the Syrian Civil War
    BBC, SNAP

    Current areas of control in the Syrian Civil War

    This map shows the state of play in Syria's civil war, which after three years of fighting has divided between government forces, the anti-government rebels who began as pro-democracy protestors, and the Islamist extremist fighters who have been moving in over the last two years. You may notice some overlap between this map and the previous: the areas under government control (in red) tend to overlap with where the minorities live. The minorities tend to be linked to the regime, whereas the rebels are mostly from the Sunni Muslim majority. But the anti-government Syrian rebels (in green) have been taking lots of territory. Syria's ethnic Kurdish minority also has militias that have taken over territory where the Kurds live. Over the past year, though, there's been a fourth rising faction: Islamic State of Iraq and the Levant (sometimes called ISIS, shown in blue), an extremist group based in Iraq that swears allegiance to al-Qaeda. They're fighting both the rebels and the government. So it's a three-way war now, as if it weren't already intractable enough.
      
  26. Syria's refugee crisis
    UNHCR

    Syria's refugee crisis

    Syria's civil war hasn't just been a national catastrophe for Syria, but for neighboring countries as well. The war has displaced millions of Syrians into the rest of the Middle East and into parts of Europe, where they live in vast refugee camps that are major drains on already-scarce national resources. This map shows the refugees; it does not show the additional 6.5 million Syrians displaced within Syria. Their impact is especially felt in Jordan and Lebanon, which already have large Palestinian refugee populations; as many as one in five people in those countries is a refugee. While the US and other countries have committed some aid for refugees, the United Nations says it's not nearly enough to provide them with basic essentials.
      

  27. Iran

  28. How Iran's borders changed in the early 1900s
    Wikimedia

    How Iran's borders changed in the early 1900s

    Iran is the only Middle Eastern country was never conquered by a European power, but it came pretty close in the 1900s. It lost a lot of territory to Russia (the red stripey part). After that, the Russian Empire and British Empire (the British Indian Raj was just next door) divided Iran's north and south into "zones of influence." They weren't under direct control, but the Iranian government was bullied and its economy and resources exploited. This remains a point of major national resentment in Iran today.
      
  29. Iran's religious and ethnic diversity
    Perry-Castañeda Map Library, University of Texas

    Iran's religious and ethnic diversity

    Iran is most associated with the Persians — the largest ethnic group and the progenitors of the ancient Persian empires — but it's much more diverse than that. This map shows the larger minorities, which includes Arabs in the south, Kurds in the west, and Azeris in the north (Iran used to control all Azeri territory, but much of now belongs to the Azeri-majority country Azerbaijan). The Baloch, in the southeast, are also a large minority group in Pakistan. There is significant unrest and government oppression in the "Baluchistan" region of both countries.
      
  30. Iran's nuclear sites and possible Israeli strike plans
    Reuters

    Iran's nuclear sites and possible Israeli strike plans

    This is a glimpse at two of the big, overlapping geopolitical issues in which Iran is currently embroiled. The first is Iran's nuclear program: the country's leaders say the program is peaceful, but basically no one believes them, and the world is heavily sanctioning Iran's economy to try to convince them to halt the nuclear development that sure looks like it's heading for an illegal weapons program. You can see the nuclear development sites on here: some are deep underground, while others were kept secret for years. That gets to the other thing on this map, which was originally built to show how Israel could hypothetically launch strikes against Iran's nuclear program. Israel-Iran tensions, which have edged near war in recent years, are one of the biggest and most potentially dangerous things happening right now in a part of the world that has plenty of danger already. Israel is worried that Iran could build nukes to use against it; Iran may be worried that it will forever be under threat of Israeli strike until it has a nuclear deterrent. That's called a security dilemma and it can get bad.
      

  31. Afghanistan

  32. How the colonial
    Cecile Marin

    How the colonial "Durand Line" set up Afghanistan's conflict

    So, first ignore everything on this map except for the light-orange overlay. That shows the area where an ethnic group called the Pashtun lives. Now pretend it's the 1800s and you are a British colonial officer named Mortimer Durand, and it's your job to negotiate the border between the British Indian Raj and the quasi-independent nation of Afghanistan. Do you draw the border right smack across the middle of the Pashtun areas, thus guaranteeing decades of conflict by forcing Pashtuns to be minorities in both states? If you answered "yes," then you would have made a great British colonial officer, because that's what happened. The "Durand Line," marked in red, became most of the border between modern Afghanistan and Pakistan. Many Pashtun now belong to or support a mostly-Pashtun extremist group called the Taliban, which wreaks havoc in both countries and has major operating bases (shown in dark orange) in the Pakistani side of the border. Thanks, Mortimer!
      
  33. The 1989 war that tore up Afghanistan
    Revolution Unending: Afghanistan, 1979 to the Present / Columbia University Press

    The 1989 war that tore up Afghanistan

    In 1979, the Soviet Union invaded Afghanistan to defend the pro-Moscow communist government from growing rebellions. The US (along with Saudi Arabia and Pakistan) funded and armed the rebels. The CIA deliberately chose to fund extremists, seeing them as better fighters. When the Soviets retreated in 1989, those rebel groups turned against one another, fighting a horrific civil war that you can see on this map: the red areas were, as of 1989, under government control. Every other color shows a rebel group's area of control. Some of these rebels, like the Hezb-i Islami Gulbuddin, are still fighting, though most of them were defeated when the Taliban rose up and conquered the country in the 1990s.
      
  34. How the Taliban overlaps with ethnicity
    Carnegie Endowment for International Peace

    How the Taliban overlaps with ethnicity

    This is to underscore the degree to which Afghanistan's current war (the war that began when the US and allies invaded in 2001, not the 1979 to 1989 war against the Soviets or the civil wars from 1989 to 2001) is and is not about ethnicity. The Taliban does very broadly, but not exclusively, overlap with the Pashtuns in the south and east. That's especially important since there are so many Pashtuns just across the border in Pakistan, where the Taliban have major bases of operation. But there are rebel groups besides the Taliban, not all of which are Pashtun. Generally, though, the north of the country is stabler and less violent than the south or east.
      
  35. The most important parts of the Afghan War, in one map
    Philippe Rekacewicz / Le Monde Diplomatique

    The most important parts of the Afghan War, in one map

    The Afghanistan War is extremely complicated, but this map does a remarkable job of capturing the most important components: 1) the Taliban areas, in orange overlay; 2) the areas controlled by the US and allies, in depressingly tiny spots of green; 3) the major Western military bases, marked with blue dots; 4) the areas of opium production, which are a big source of Taliban funding, in brown circles, with larger circles meaning more opium; 5) the supply lines through Pakistan, in red, which Pakistan has occasionally shut down and come under frequent Taliban attack; 6) the supply line through Russia, which requires Russian approval. If this map does not depress you about the prospects of the Afghan War, not much will.
      

  36. Saudi Arabia and Oil

  37. What Saudi Arabia and its neighbors looked like 100 years ago
    Joaquín de Salas Vara de Rey

    What Saudi Arabia and its neighbors looked like 100 years ago

    The Arabian peninsula has a very, very long history, and the Saudi family has controlled much of it since the 1700s. But to understand how the peninsula got to be what it is today, go back about a 100 years to 1905. The Saudis at that point controlled very little, having lost their territory in a series of wars. The peninsula was divided into lots of little kingdoms and emirates. The Ottoman Empire controlled most of them, with the British Empire controlling the southernmost third or so of the peninsula — that line across the middle shows how it was divided. After World War I collapsed the Ottoman Empire, the Saudis expanded to all of the purple area marked here, as the British had promised for helping to fight the Ottomans. (This deal is dramatized in the film Lawrence of Arabia). By the early 1920s, the British effectively controlled almost all of the peninsula, which was divided into many dependencies, protectorates, and mandates. But the Saudis persisted.
      
  38. Oil and Gas in the Middle East
    US Energy Information Administration

    Oil and Gas in the Middle East

    The Middle East produces about a third of the world's oil and a tenth of its natural gas. (It has a third of all natural gas reserves, but they're tougher to transport.) Much of that is exported. That makes the entire world economy pretty reliant on the continued flow of that gas and oil, which just happens to go through a region that has seen an awful lot of conflict in the last few decades. This map shows where the reserves are and how they're transported overland; much of it also goes by sea through the Persian Gulf, a body of water that is also home to some of the largest reserves in the region and the world. The energy resources are heavily clustered in three neighboring countries that have historically hated one another: Iran, Iraq, and Saudi Arabia. The tension between those three is something that the United States, as a huge energy importer, has been deeply interested in for years: it sided against Iran during the Iran-Iraq war of the 1980s, against Iraq when it invaded Kuwait and threatened Saudi Arabia in the 1990s, again against Iraq with the 2003 invasion, and now is supporting Saudi Arabia in its rapidly worsening proxy war against Iran.
      
  39. Oil, trade, and militarism in the Strait of Hormuz
    Financial Times

    Oil, trade, and militarism in the Strait of Hormuz

    The global economy depends on this narrow waterway between Iran and the Arabian Peninsula. Ever since President Jimmy Carter issued the 1980 "Carter Doctrine," which declared that the US would use military force to defend its access to Persian Gulf oil, the little Strait of Hormuz at the Gulf's exit has been some of the most heavily militarized water on earth. The US installed a large naval force, first to protect oil exports from the brutal Iran-Iraq War of the 1980s, then to protect them from Saddam Hussein in the 1990s Gulf Wars, and now to protect them again from Iran, which has gestured toward shutting down oil should war break out against Israel or the US. As long as the world runs on fossil fuels and there is tension in the Middle East, there will be military forces in the Strait of Hormuz.
      
  40. Why Egypt's Suez Canal is so important for the world economy
    Nicolas Rapp / Fortune

    Why Egypt's Suez Canal is so important for the world economy

    The Suez Canal changed everything. When Egypt opened it in 1868, after ten years of work, the 100-mile, man-made waterway brought Europe and Asia dramatically and permanently closer. The canal's significance to the global order was so immediately obvious that, shortly after the British conquered Egypt in the 1880s, the major world powers signed a treaty, which is still in force, declaring that the canal would forever be open to trade and warships of every nation, no matter what. Today, about eight percent of all global trade and three percent of global energy supply goes through the canal.
      

  41. Iraq and Libya

  42. The ethnic cleansing of Baghdad during the Iraq War
    BBC

    The ethnic cleansing of Baghdad during the Iraq War

    There are few grimmer symbols for the devastation of the Iraq War than what it did to Baghdad's once-diverse neighborhoods. The map on the left shows the city's religious make-up in 2005. Mixed neighborhoods, then the norm, are in yellow. The map on right shows what it looked like by 2007, after two awful years of Sunni-Shia killing: bombings (shown with red dots), death squads, and militias. Coerced evictions and thousands of deaths effectively cleansed neighborhoods, to be mostly Shia (blue) or mostly Sunni (red). Since late 2012, the sectarian civil war has ramped back up, in Baghdad and nationwide.
      
  43. Where the Kurds are and what Kurdistan might look like
    Philippe Rekacewicz / Le Monde Diplomatique

    Where the Kurds are and what Kurdistan might look like

    The ethnic group known as Kurds, who have long lived as a disadvantaged minority in several Middle Eastern countries, have been fighting for a nation of their own for a long time. This map shows where they live in green overlay, and the national borders that they have proposed on three separate occasions, all of them failed. The Kurds have fought many armed rebellions, including ongoing campaigns in Syria and Turkey, and suffered many abuses, from attempted genocides to official bans on their language and culture. Their one major victory in the last century has been in Iraq: as a result of the US-led invasion that toppled Saddam Hussein, Iraqi Kurds have autonomous self-rule in Iraq's north.
      
  44. A hypothetical re-drawing of Syria and Iraq
    Radio Free Europe / Radio Liberty

    A hypothetical re-drawing of Syria and Iraq

    This is an old idea that gets new attention every few years, when violence between Sunnis and Shias reignites: should the arbitrary borders imposed by European powers be replaced with new borders along the region's ever-fractious religious divide? The idea is unworkable in reality and would probably just create new problems. But, in a sense, this is already what the region looks like. The Iraqi government controls the country's Shia-majority east, but Sunni Islamist extremists have seized much of western Iraq and eastern Syria. The Shia-dominated Syrian government, meanwhile, mostly only controls the country's Shia- and Christian-heavy west. The Kurds, meanwhile, are legally autonomous in Iraq and functionally so in Syria. This map, then, is not so much just idle speculation anymore; it's something that Iraqis and Syrians are creating themselves.
      
  45. How Libya's 2011 War changed Africa
    Philippe Rekacewicz / Le Monde Diplomatique

    How Libya's 2011 War changed Africa

    Noble as the cause was, the destruction of Moammar Qaddafi's dictatorship by a spontaneous uprising and a Western intervention has just wreaked havoc in Africa's northern half. This map attempts to show all that came after Qaddafi's fall; that it is so overwhelmingly complex is precisely the point. The place to center your gaze is the patterned orange overlay across Libya, Algeria, Mali, and Niger: this shows where the Tuaregs, a semi-nomadic ethnic minority group, lives. Qaddafi used Libya's oil wealth to train, arm, and fund large numbers of Tuaregs to fight the armed uprising in 2011. When he fell, the Tuaregs took the guns back out with them to Algeria and Mali, where they took control of territory. In Mali, they led a full-fledged rebellion that, for a time, seized the country's northern half. Al-Qaeda moved into the vacuum they left, conquering entire towns in Mali and seizing fossil fuel facilities in Algeria. Criminal enterprises have flourished in this semi-arid belt of land known as the Sahel. So have vast migration routes, of Africans looking to find work and a better life in Europe. At the same time, armed conflict is getting worse in Nigeria and Sudan, both major oil producers. Qaddafi's fall was far from the sole cause of all of this, but it brought just the right combination of disorder, guns, and militias to make everything a lot worse.
      

  46. Points of Light

  47. Mapped by Internet connections (top) and by tweets (bottom)
    Left map: Gregor Aisch; right map: Eric Fischer

    Mapped by Internet connections (top) and by tweets (bottom)

    These maps are two ways of looking at a similar thing: the digitalization of the Middle East. The map on top is actually a population map: the dots represent clusters of people, but the dots are colored to show how many IP addresses there are, which basically means how many internet connections. The blue areas have lots of people but few connections: these are the poorer areas, such as Yemen, Pakistan, and Syria. White and red show where there are lots of connections: rich countries like Israel and the United Arab Emirates, but also parts of Egypt and Iran and Turkey, the populations of which are increasingly wired, to tremendous political consequence. The map on the bottom shows tweets: lots of dots mean lots of tweets from that area. They're colored by language. Notice where these two maps are different: Iran has lots of internet connections but almost no tweets; like Facebook, Twitter has been banned since the 2009 anti-government protests. Saudi Arabia, on the other hand, lights right up: its modestly sized population is remarkably wired. The significance of that became clear, for example, with the 2012 and 2013 social media-led campaigns by Saudi women to drive en masse, in protest of the country's ban on female drivers. The consequences of internet access and lack of access will surely continue to be important, and perhaps hard to predict, for the region.
      
  48. The Middle East at night from space
    NASA Earth Observatory

    The Middle East at night from space

    I'm concluding with this map to look at the region without political borders, without demographic demarcations of religion or ethnicity, without markers of conflict or oil. Looking at the region at night, from space, lets those distinctions fall away, to see it purely by its geography and illuminated by the people who call it home. The lights trace the rivers that have been so important to the Middle East's history, and the world's: the Nile in Egypt, the Tigris and Euphrates that run through Iraq and Syria, the Indus in Pakistan. They also show the large, and in many cases growing, communities along the shores of the Persian Gulf, the eastern Mediterranean, and the southern end of the Caspian. It's a beautiful view of a really beautiful part of the world ............. source : http://www.vox.com/a/maps-explain-the-middle-east


শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পরিচিতি

$
0
0
আব্দুল কাদের মোল্লা সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী  সামাজিক নেতা হিসাবে আব্দুল কাদের মোল্লা একটি পরিচিত নাম। তার জন্ম ১৯৪৮ সালে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার জরিপারডঙ্গী গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ধার্মিক একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। বড় হন তার পরিবার একটি । তার গ্রামের জরিপারডঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। বরাবরই তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইন্সিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক পরিক্ষায় কৃতকার্য হন।  এরপর তিনি একই জেলার রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে ১৯৬৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন তিনি। ১৯৬৮ সালে তিনি একই কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। কিন্তু প্রবল আর্থিক সংকটের কারনে এরপর তাকে শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া হয়নি তখন আর। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধের কারনে ১৯৭১ সালে তার মাস্টার্স পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনাই। ১৯৭৫ সালে তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রশাসনের ডিপ্লোমায় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তিনি শিক্ষা প্রশাসন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এখানেও তিনি প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। জনাব মোল্লা তার ছাত্র জীবন থেকেই শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকার বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।  তার এম,এড পরীক্ষার রেজাল্টের পরে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে সংস্কৃতি কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে রিসার্স স্কলার হিসাবে বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টারে যোগ দেন। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি হিসাবে ছিলেন। ১৯৮১ সালে জনাব মোল্লা বিখ্যাত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে যুক্ত হন। তখন থেকেই তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত রয়েছেন।  জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার রয়েছে সংগ্রামী রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালেই তিনি কম্যূনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং কম্যূনিষ্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে তিনি বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ মাওলানা মওদূদী লিখিত তাফহীমুল কুরআনের সাথে পরিচিত হন। আগ্রহের সাথে তিনি এ গ্রন্থ পড়তে থাকেন।  তাফহীমুল কুরআনের হৃদয়স্পর্শী ছোঁয়ায় তিনি ইসলামের প্রতি প্রবল আকর্ষীত হন এবং ১৯৬৬ সালে তৎকালীন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্বপাকিস্তান শাখায় যোগদান করেন। ১৯৭০ সালে তিনি এ সংগঠনের সদস্য হন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী ছাত্রসংঘের শহিদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রসংঘের ঢাকা বিশব্বিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। অতঃপর তার উপর ঢাকা নগরী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারীর দায়িত্ব অর্পিত হয়। একই সাথে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন।  তার বর্নীল ছাত্রজীবন শেষে ১৯৭৭ সালের মে মাসে তিনি বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যোগ দেন এবং ১৯৭৮ সালের নভেম্বর মাসে রুকন শপথ নেন। অতঃপর তাকে প্রবীণ বর্ষীয়ান নেতা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের ব্যাক্তিগত সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি জামায়াত ঢাকা মহানগরীর শূরা সদস্য ও কর্মপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। অল্পদিনের ব্যাবধানে তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশ-এ-শূরার সদস্য হন। ১৯৯২ সালে তাকে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা মহানগরীর নায়েব-এ-আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।  ১৯৮৫ সালে জনাব মোল্লা জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আমীর নির্বাচিত হন এবং কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদের সদস্য হন। ১৯৯১ সালে তাকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং উক্ত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করতে থাকেন। ২০০০ সালে তাকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত দায়িত্বের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি চার দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির গুরুত্বপূর্ন সদস্য হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।  জনাব মোল্লাকে বিভিন্ন মেয়াদে চার চারবার জেলে যেতে হয়। আইয়ুব সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দায়ে ১৯৬৪ সালে প্রথমবারের মত তিনি গ্রেপ্তার হন। জেলে যেতে হয়। বিনা উস্কানীতে ১৯৭২ সালে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। কিন্তু স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পুলিশ তাকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন কাস্টোডী থেকেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কারনে আব্দুল কাদের মোল্লাকে আবারও আটক করে রাখা হয়। পরে উচ্চ আদালত তার এ আটকাদেশকে আবৈধ ঘোষণা করলে চার মাশ পরে তিনি মুক্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করায় তৎকালীন বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে আটক করে।  জনাব মোল্লা একজন উত্তম সমাজসেবক। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে তিনি পরপর দুই বছর ঢাকা ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (ডি ইউ জে) এর সহসভাপতি নির্বাচিত হন।  তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংস্থার সাথে যুক্ত । এদের মধ্যে বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোসাইটি ও এর স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, সদরপুর মাদরাসা ও এতিমখানা, ফরিদপুর জেলার হাজিডাঙ্গি খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা ও এতিমখানা, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী একাডেমী অন্যতম। তিনি এসব মাদরাসা ও এতিমখানার উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি পরপর তিন মেয়াদের জন্য বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট ও এর ট্রাস্টের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন। জনাব মোল্লা দেশ বিদেশের সমসাময়িক বিষয়ের উপর কলাম ও প্রবন্ধ লিখে আসছেন। ইসলামের বিভিন্ন দিকের উপরো তার লেখা পাওয়া যায়। তার সুচিন্তিত কলাম ও প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বস্তুবাদ, কম্যূনিজমের উপরে তার বৈজ্ঞানিক সমালোচনা শিক্ষিত মহলের কাছে সমাদৃত হয়েছে।  জনাব মোল্লা ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন। এরই মধ্যে তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও ভারতে সফর করেছেন।  জনাব মোল্লা বেগম সানোয়ার জাহানের সাথে ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পুত্র ও চার কন্যার সুখি সংসার তাদের। সব সন্তানই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছেন। সবাই ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত। বেগম সানোয়ার জাহান জামায়াতের রুকন ।  জনাব মোল্লা নিয়মিত কুরআন পড়তে ও কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করেন। তিনি সাংগঠনিক ব্যাস্তময় সময় থেকে তিনি বিভিন্ন বিখ্যাত লেখক, কবি- যেমন আল্লামা ইকবাল, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী, সাইয়্যেদ কুতুব, মোহাম্মাদ কুতুব, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমেদ সহ বিখ্যাত লেখকদের লেখা পড়ার জন্য নিয়মিত সময় বেড় করেন।  এই জাতীয় দেশ বরেন্য সংগঠক ও শিক্ষাবিদ আজ আওয়ামী দুশাসনের স্বীকার হয়ে মিথ্যা অপবাদে জেল খানার মধ্যে আটক রয়েছেন। দেশবাসী তার সম্মানজনক মুক্তির জন্য অপেক্ষায় আছেন।  আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তার বিরুদ্ধের বিচারের রায় ঘোষনা চলছে। মহান আল্লাহ-র কাছে অগণিত মানুষ আজ তার জন্য দোয়া করছেন। আল্লাহ যেন তাকে খুব সম্মানজনকভাবে মুক্তি দিয়ে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেন। আমীন।
সামাজিক নেতা হিসাবে আব্দুল কাদের মোল্লা একটি পরিচিত নাম। তার জন্ম ১৯৪৮ সালে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার জরিপারডঙ্গী গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ধার্মিক একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। বড় হন তার পরিবার একটি । তার গ্রামের জরিপারডঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। বরাবরই তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইন্সিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক পরিক্ষায় কৃতকার্য হন।

এরপর তিনি একই জেলার রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে ১৯৬৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন তিনি। ১৯৬৮ সালে তিনি একই কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। কিন্তু প্রবল আর্থিক সংকটের কারনে এরপর তাকে শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া হয়নি তখন আর। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধের কারনে ১৯৭১ সালে তার মাস্টার্স পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনাই। ১৯৭৫ সালে তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রশাসনের ডিপ্লোমায় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তিনি শিক্ষা প্রশাসন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এখানেও তিনি প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। জনাব মোল্লা তার ছাত্র জীবন থেকেই শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকার বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।



তার এম,এড পরীক্ষার রেজাল্টের পরে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে সংস্কৃতি কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে রিসার্স স্কলার হিসাবে বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টারে যোগ দেন। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি হিসাবে ছিলেন। ১৯৮১ সালে জনাব মোল্লা বিখ্যাত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে যুক্ত হন। তখন থেকেই তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত রয়েছেন।

জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার রয়েছে সংগ্রামী রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালেই তিনি কম্যূনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং কম্যূনিষ্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে তিনি বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ মাওলানা মওদূদী লিখিত তাফহীমুল কুরআনের সাথে পরিচিত হন। আগ্রহের সাথে তিনি এ গ্রন্থ পড়তে থাকেন।

তাফহীমুল কুরআনের হৃদয়স্পর্শী ছোঁয়ায় তিনি ইসলামের প্রতি প্রবল আকর্ষীত হন এবং ১৯৬৬ সালে তৎকালীন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্বপাকিস্তান শাখায় যোগদান করেন। ১৯৭০ সালে তিনি এ সংগঠনের সদস্য হন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী ছাত্রসংঘের শহিদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রসংঘের ঢাকা বিশব্বিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। অতঃপর তার উপর ঢাকা নগরী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারীর দায়িত্ব অর্পিত হয়। একই সাথে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন।

তার বর্নীল ছাত্রজীবন শেষে ১৯৭৭ সালের মে মাসে তিনি বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যোগ দেন এবং ১৯৭৮ সালের নভেম্বর মাসে রুকন শপথ নেন। অতঃপর তাকে প্রবীণ বর্ষীয়ান নেতা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের ব্যাক্তিগত সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি জামায়াত ঢাকা মহানগরীর শূরা সদস্য ও কর্মপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। অল্পদিনের ব্যাবধানে তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশ-এ-শূরার সদস্য হন। ১৯৯২ সালে তাকে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা মহানগরীর নায়েব-এ-আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৫ সালে জনাব মোল্লা জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আমীর নির্বাচিত হন এবং কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদের সদস্য হন। ১৯৯১ সালে তাকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং উক্ত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করতে থাকেন। ২০০০ সালে তাকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত দায়িত্বের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি চার দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির গুরুত্বপূর্ন সদস্য হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।

জনাব মোল্লাকে বিভিন্ন মেয়াদে চার চারবার জেলে যেতে হয়। আইয়ুব সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দায়ে ১৯৬৪ সালে প্রথমবারের মত তিনি গ্রেপ্তার হন। জেলে যেতে হয়। বিনা উস্কানীতে ১৯৭২ সালে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। কিন্তু স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পুলিশ তাকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন কাস্টোডী থেকেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কারনে আব্দুল কাদের মোল্লাকে আবারও আটক করে রাখা হয়। পরে উচ্চ আদালত তার এ আটকাদেশকে আবৈধ ঘোষণা করলে চার মাশ পরে তিনি মুক্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করায় তৎকালীন বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে আটক করে।

জনাব মোল্লা একজন উত্তম সমাজসেবক। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে তিনি পরপর দুই বছর ঢাকা ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (ডি ইউ জে) এর সহসভাপতি নির্বাচিত হন।

তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংস্থার সাথে যুক্ত । এদের মধ্যে বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোসাইটি ও এর স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, সদরপুর মাদরাসা ও এতিমখানা, ফরিদপুর জেলার হাজিডাঙ্গি খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা ও এতিমখানা, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী একাডেমী অন্যতম। তিনি এসব মাদরাসা ও এতিমখানার উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি পরপর তিন মেয়াদের জন্য বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট ও এর ট্রাস্টের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন। জনাব মোল্লা দেশ বিদেশের সমসাময়িক বিষয়ের উপর কলাম ও প্রবন্ধ লিখে আসছেন। ইসলামের বিভিন্ন দিকের উপরো তার লেখা পাওয়া যায়। তার সুচিন্তিত কলাম ও প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বস্তুবাদ, কম্যূনিজমের উপরে তার বৈজ্ঞানিক সমালোচনা শিক্ষিত মহলের কাছে সমাদৃত হয়েছে।

জনাব মোল্লা ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন। এরই মধ্যে তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও ভারতে সফর করেছেন।

জনাব মোল্লা বেগম সানোয়ার জাহানের সাথে ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পুত্র ও চার কন্যার সুখি সংসার তাদের। সব সন্তানই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছেন। সবাই ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত। বেগম সানোয়ার জাহান জামায়াতের রুকন ।

জনাব মোল্লা নিয়মিত কুরআন পড়তে ও কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করেন। তিনি সাংগঠনিক ব্যাস্তময় সময় থেকে তিনি বিভিন্ন বিখ্যাত লেখক, কবি- যেমন আল্লামা ইকবাল, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী, সাইয়্যেদ কুতুব, মোহাম্মাদ কুতুব, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমেদ সহ বিখ্যাত লেখকদের লেখা পড়ার জন্য নিয়মিত সময় বেড় করেন।

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা সমগ্র

$
0
0


১) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পরিচিতি

http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2014/07/blog-post_83.html


২) বিচার প্রক্রিয়া : শহীদ হওয়ার দিন পর্যন্ত : বাংলাদেশ ওয়ারক্রাইম ব্লগ।  ডেভিড বার্গমেন http://bangladeshwarcrimes.blogspot.co.uk/search/label/Molla 
৩) শহীদ হওয়ার আগে কর্মীদের প্রতি আব্দুল কাদের মোল্লার নসিহত : আমার অনুরোধ, আমার শাহাদাতের পর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যেন ধৈর্য্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেয় - আব্দুল কাদের মোল্লা
http://jamaat-e-islami.org/details.php?artid=MTU1MzE=

৪) কাদের মোল্লা, কসাই কাদের ও কিছু প্রশ্ন
http://nuraldeen.com/2013/12/24/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%93/ 
৫) কাদের মোল্লাকে নিয়ে জামায়াতের সাইটের আরো থ্রেড :
http://jamaat-e-islami.org/categorypage.php?catid=45 

৬) কাদের মোল্লার জানাজা : 
ছবি কি বলে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা কি আসলেই কসাই কাদের? 
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4901/Banglardamalsontan/33596#.U9rp5vldWSo  
সারাদেশে কার গায়েবানা জানাজা দেখলাম ? একজন অপরাধী হলে তো এমন হবার কথা নয় ?
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/33569#.U9rxc_ldWSo

৭) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার জানাজার নামাজ ও দাফনের চিত্র 
https://www.youtube.com/watch?v=eOccVIgH-ro 

৮) দেখুন আইন না মেনেই আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসী
https://www.youtube.com/watch?v=tpralS05Rmg 

৯) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে নিয়ে ডুকুমেন্টারী 
https://www.youtube.com/watch?v=GqmAx4KLwgI
১০) Sacrifices of Islamists throughout the ages..Martyrdom 
https://www.youtube.com/watch?v=i1p8WbikTZk 
১১) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা সম্পর্কে গ্রামবাসী #
https://www.youtube.com/watch?v=GviYYnUAUyc
১২) মুক্তিযুদ্বা শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা,অথচ তিনি যুদ্বাপরাধী 
https://www.youtube.com/watch?v=6ZFwLEmltgg
১৩) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে লেখা তাঁর সন্তানদের চিঠি 
https://www.youtube.com/watch?v=FvSwVqRVMpE
১৪) প্রিয়তমা স্ত্রীকে লেখা শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার শেষ চিঠি 
https://www.youtube.com/watch?v=M66aWuhfdkI
১৫) আব্দুল কাদের মোল্লার রায় কার্যকরের বিরোদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংঘঠন  
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/33392#.U9rxe_ldWSo 

শাহাদাতের পর লিখনি :
১৬) 

আমাদের প্রেরনার বাতিঘর: আবদুল কাদের মোল্লা:ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

http://www.parisvisionnews.com/2011-07-14-13-39-37/123-articales/9480-2014-01-29-21-49-33.html

http://chhatrasangbadbd.com/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/ 
১৮) সারাদেশে শিবিরের দোয়া দিবস পালন : শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার খুনের বদলা নেয়া হবে - ছাত্রশিবির
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/12/15/228567#.U9rqDfldWSo
১৯) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার রক্তে রঞ্জিত হলো বাংলার সবুজ জমিন: মতিউর রহমান আকন্দ  ..... http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=134460
২০) Bangladesh Islamist Abdul Kader Mullah hanged for war crimes
http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-25356034 

২১) Bangladesh: Between justice and politics

What is really behind the verdict for Abdul Kader Mullah, held responsible for hundreds of deaths in the 1971 war? 

http://www.aljazeera.com/programmes/insidestory/2013/09/20139187522848484.html 


http://tribune.com.pk/story/646260/abdul-quader-molla-was-innocent-imran-khan/ 

২৩) Last Letter of Mullah Abdul Qadir From Jail to His Wife Before Hanging ---
http://www.pakistantv.tv/2013/12/20/last-letter-of-mullah-abdul-qadir-from-jail-to-his-wife-before-hanging/#sthash.gmThaXkI.dpbs  

২৪) কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাজা

http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=MzA1Mg==&s=MjM=

২৫) কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/12/16/228691#.U9r4TfldWSo

http://dhakatimes.com.bd/2013/12/14/24436/turky-hackers-hacked-bd-govt-websites/ 

২৭) Bangladesh braced for clashes as Islamist leader Abdul Kader Mullah is sentenced to death
http://www.independent.co.uk/news/world/asia/bangladesh-braced-for-clashes-as-islamist-leader-abdul-kader-mullah-is-sentenced-to-death-8821136.html

২৮) Bangladesh court upholds Abdul Kader Mullah execution
http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-25344886

২৯) Bangladesh court orders Jamaat-e-Islami party member Abdul Kader Mullah to be hanged
http://www.dnaindia.com/world/report-bangladesh-court-orders-jamaat-e-islami-party-member-abdul-kader-mullah-to-be-hanged-1932058

৩০) Abdul Qader Mullah: The long arm of the law
http://gulfnews.com/opinions/columnists/abdul-qader-mullah-the-long-arm-of-the-law-1.1233429

http://nepalesevoice.com.au/bangladesh-hangs-islamist-leader-abdul-kader-mullah/

৩২) 

Critics denounce Bangladesh death sentence

Unprecedented life-to-death penalty change for convicted Jamaat official sparks violence and controversy.

http://www.aljazeera.com/indepth/features/2013/09/201391912365797583.html

৩৩) 

Bangladesh strike enters second day

Jamaat-e-Islami supporters stage protests against death sentence handed to one of its top leaders for 1971 war crimes.

http://www.aljazeera.com/news/asia/2013/09/201391944024408917.html

৩৪) 

Hanging of top Islamist leader Abdul Quader Mollah triggers Bangladesh violence

Deadly violence rocks Bangladesh as Islamist supporters vent anger over Abdul Quader Molla hanging

http://www.scmp.com/news/asia/article/1379732/bangladesh-executes-top-islamist-leader-abdul-quader-molla-war-crimes

৩৫) 

কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে সারাদেশে জমায়াত শিবিরের তাণ্ডব 

https://www.youtube.com/watch?v=sQGJpYOfMvE 

৩৬) 

আব্দুল কাদের মোল্লা'র ফাঁসি কার্যকরের পরে সত্যবাক অনুষ্ঠানে অ্যাড. তাজুল ইসলাম

https://www.youtube.com/watch?v=Ldw_AxsuCtI 

৩৭) 

আ: কাদের মোল্লার পারিবারিক জীবন নিয়ে কথা বললেন তার স্ত্রী সানোয়ারা জাহান

https://www.youtube.com/watch?v=WmhkTCluoh0&list=UUbRI6X1o9ItVlnUQq40gETA 

38) প্রজন্ম তুমি ভুল মানুষকে ফাঁসি দিয়েছ এবং একজন কানাডিয়ান মোজাম্মেলের মিথ্যাচার
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2014/03/blog-post_5503.html 

39) এমপি রনির চ্যালেঞ্জ ‘কাদের মোল্লা নিরাপরাধ’
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2014/01/blog-post_4.html

40) মোমেনার সাক্ষী আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ড ও বিচারের নীতি..অলিউল্লাহ নোমান

http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_14.html

41) ইতিহাসের কসাই কাদের, মিডিয়া কতৃক একটি মৃত্যুদণ্ড এবং প্রগতিশীলতার উল্লাস
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_7614.html

42) সুপ্রিমকোর্টে আব্দুল কাদের মোল্লার গায়েবানা জানাযা
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_15.html

43) আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিবেন। কিসের ভিত্তিতে ??
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_8664.html

44) কাদের মোল্লার ফাঁসিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের দুঃখ প্রকাশ
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_16.html

45) কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে : ড. ইউসুফ আল কারযাবি
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_6418.html

46) কাদের মোল্লা, কসাই কাদের ও কিছু প্রশ্ন
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_3589.html

47) Sole witness in Molla death penalty case gave contradictory accounts
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/10/sole-witness-in-molla-death-penalty.html

48) মোল্লার মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্যে গরমিল

http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/10/blog-post_2937.html

49) ভিন্নমত পোষণকারী বিচারপতির রায়ে ৫ অভিযোগ থেকেই খালাস মোল্লা
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_9.html

50) কাদের মোল্লার মামলা : সাক্ষী নিয়ে ভয়াবহ জালিয়াতির অভিযোগ (ভিডিও
http://www.onbangladesh.net/newsdetail/detail/200/58016

51) কাদের মোল্লার রায় : নেপথ্যে ভয়াবহ অবহেলার অভিযোগ ::তিনি ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছেন !
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_10.html

52) Why I am against the execution of Abdul Kader Mollah...David Bergman
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/why-i-am-against-execution-of.html

53) কাদের মোল্লার স্ত্রীর আক্ষেপ...
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_12.html

54) আয়রনি
মূল: সাদিয়া হোসেইন
সম্পাদনা: শরীফ আবু হায়াত অপু
http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_13.html








GERMANY 1940---------------------------------ISRAEL 2014

$
0
0

GERMANY 1940               ISRAEL 2014

জাসদ কি কাফফারা দিচ্ছে? ....মাহমুদুর রহমান মান্না

$
0
0
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফোন করেছিলেন। বললেন, জাসদ নিয়ে অনেক কথাবার্তা লেখালেখি হচ্ছে। আপনি কিছু বলছেন না যে? আপনি তো জাসদের জন্ম থেকে ছিলেন। অনেক কিছু জানেন যা আমাদেরও জানার প্রয়োজন হতে পারে। লিখুন না।
আবু সালেহ সেকেন্দার হয়তো জানেন না জাসদ নিয়ে এ পত্রিকায় ৯ জুলাই আমি একটি লেখা লিখেছিলাম। মাত্র ২২ বছর বয়সে আমি জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। তখনো আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চাকসুর সাধারণ সম্পাদক। স্বাধীনতার পরে এই একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছাত্রলীগ জিতেছিল। তখনো ছাত্রলীগ ভাঙেনি। কেন্দ্রসহ সারা দেশে মুজিববাদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের লড়াই শুরু হয়েছে। স্পষ্টত সমাজ বিপ্লবের বক্তব্য দিয়ে ওই নির্বাচনে আমি অংশ নিয়েছিলাম এবং জয়লাভের পরে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলাম। '৭২-এ পল্টনে ছাত্রলীগের সম্মেলনে সে কারণে আমাকে বিশেষ বক্তা রাখা হয়েছিল রাতের অধিবেশনে। কিন্তু ছাত্রলীগের এক নেতা, মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর ইনস্ট্রাকচার, পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, '৭৩-এ হাইজ্যাক হয়ে যাওয়া ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী সহ-সভাপতি আ ফ ম মাহবুবুল হক রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত একনাগাড়ে ৪ ঘণ্টা বক্তৃতা করেন। যখন তার বক্তৃতা শেষ হয় তখন আমি আর বক্তৃতা করিনি। কিন্তু একটি আবেশ আমাকে জড়িয়ে রেখেছিল। রাত ২টা পর্যন্ত এই যে ছাত্রকর্মীদের বক্তৃতা শোনা, এখন তো কল্পনাই করতে পারি না।

তখন আমি বলতে পছন্দ করতাম, জাসদ আমার প্রথম প্রেম। এটি একটি ভালোবাসার ও নিবেদনের কথা। ভালোবাসা কেবল যে নারী-পুরুষেই হয় এমন তো নয়। ভালোবাসা একটি আদর্শের প্রতি, দলের প্রতি, দেশের প্রতিও হতে পারে এবং কোনো কোনো সময় তা মানব-মানবীর প্রেমের চেয়েও বড় হতে পারে। উদারহণ দেওয়া যাবে কিন্তু তাতে লেখার কলেবর বাড়বে। আমি এ কথাগুলো বললাম এ কারণে যে, তারুণ্যের ওই সময় জাসদকে যে ভালোবাসতাম তা মনে পড়লে কষ্ট পাই। কী অদ্ভুত সম্ভাবনা ছিল আমাদের মধ্যে। '৭৩-এর ডাকসু নির্বাচনে, যে নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছিল মুজিববাদী ছাত্রলীগ। আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্ররা সমর্থন জানিয়েছিল। আমাদের প্যানেল মাহবুব-জহুর পরিষদকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিল। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম এক স্বপ্নের বাংলার। সোনার বাংলার। গড়ে কত বয়স হবে জাসদ নেতা-কর্মীদের? জাসদ সভাপতি মেজর জলিল বোধহয় ৩০ পার হয়েছিলেন, সাধারণ সম্পাদক আ স ম রব ৩০ ছুঁতে পারেননি। অথচ প্রচণ্ড তেজে, অমিত সাহসে যখন তারা রুখে দাঁড়াল আওয়ামী লীগের রিলিফ চুরি, লুটপাট আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তখন মানুষ তাদেরই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে গ্রহণ করে নিল। আওয়ামী লীগ আর জাসদ রাজনীতির মাঠে, এ দুটোই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল। দুটোই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আজ গণজাগরণ মঞ্চ যে আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছে সেটা গড়ে উঠেছিল তখন। অথচ ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, রাজনীতির পুরো দৃশ্যে পাঠটাই বদলে গেছে, কেন?
বোম্বের এক হিন্দি ছবির নায়ক-নায়িকার দেখা হয়েছে দীর্ঘদিন পরে। দুজনেই দুজনকে চাইত। তবুও দীর্ঘদিন পর দেখা। কার দোষে? নায়িকা জিজ্ঞাসা করল, সব দোষ কি আমারই ছিল! নায়কের জবাব- কিছু দোষ তোমার ছিল, কিছু ছিল আমার। আর কিছু ছিল আমাদের দুজনের সম্মিলিত।
পাঠকবৃন্দ, আমি কোনো সিনেমার কাহিনী বানাচ্ছি না। বাস্তব সিনেমা থেকে অনেক আলাদা। আর রাজনীতি তো আরও নিষ্ঠুর। যে সিরাজুল আলম খান ছিলেন কারও কারও মতে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে আস্থাভাজন মানুষ, তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন শ্রেণী সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কর। শ্রেণী সংগ্রাম কি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আর বিরোধিতাকারী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কি একই শ্রেণীভুক্ত? তাদের মধ্যে সংগ্রামটাই তো চূড়ান্ত। অতএব জাসদের মধ্য থেকে বক্তব্যে এসেছিল আওয়ামী সরকারকে উৎখাত কর। এখানে কোনো পেইন নেই, ভালোবাসা নেই। বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারটাও দেখুন, সবাইকে ভালোবাসেন তিনি, সবাইকে বকেনও কিন্তু গেলেন রেসকোর্সে মুজিববাদীদের সম্মেলনে। সিরাজুল আলম খানের সম্মেলনে নয়। নিজের ভাগিনা শেখ মণির সম্মেলনস্থলে। যদি তিনি তখনই কোথাও না যেতেন তাহলে তখনো ছাত্রলীগ ভাঙত না।
এ কথাগুলো বলছি আমার গত লেখার কথা স্মরণ করে। জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেছিলেন, পিতার সমালোচনা করে যদি কোনো ভুল করে থাকি তবে সেই ভুলের কাফফারা দিচ্ছি এখন। একই কথা তিনি অতঃপর চট্টগ্রামের এক সংবাদ সম্মেলনে বললেন। কি লজ্জা। পিতার সমালোচনা করা পাপ নাকি? ছেলে কি পিতার সব কথা শোনে। পিতার কথার অবাধ্য হয়ে যে নিজের পছন্দমতো বিয়ে করে তা কি পাপ? আর কি কাফফারা দিচ্ছেন তারা? ভুল যদি করে থাকেন তবে সেটা হলো স্বাধীনতার পরপরই শ্রেণী সংগ্রামের বক্তৃতা দেওয়া, সদ্য প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী সরকার উৎখাতের আহ্বান জানানো। আর সে জন্য গণআন্দোলনের ছেদ ঘটিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া, গণবাহিনী গড়ে তোলা। কিন্তু তারপরেও জাসদ তো সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিত্রতা করেছে। জাসদ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক আ স ম আবদুর রব আওয়ামী সরকারের সময় মন্ত্রী হয়েছেন আর বর্তমান সভাপতি হাসানুল হক ইনু আরও দীর্ঘ সময় মন্ত্রী থাকার জন্য প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়াকে তুলাধোনা করতে ছাড়ছেন না। বলি হারি যাই এদের অমিত যোগ্যতা দেখে। আর শেখ হাসিনা পারেনও বটে। কখনো রব কখন ইনু। কী অদ্ভুত কম্বিনেশন।
১৯৭৪-র ১৭ মার্চের পর থেকে '৭৫-র ৭ নভেম্বর পর্যন্ত জাসদের রাজনীতি ছিল অ্যাডভেঞ্চারে ভরা। গণবাহিনী, সমরসেন হাইজ্যাকের চেষ্টা, ৭ নভেম্বর এবং তার পরবর্তী অভ্যুত্থানের চেষ্টা- সবই ছিল উগ্র হঠকারিতায় ভরপুর। ফলে তছনছ হয়ে যায় জাসদ, আবারও গণআয়তনে ফিরে আসার সুযোগ পায় দলটি। কিন্তু তীব্র মতবাদিক সংগ্রামে আরও বিদীর্ণ হয় তারা। যাও ভুল হয়েছিল তা বুঝে, ধরতে পেরে সুধরে নেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু তখনকার প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব কোনো ভুল স্বীকার করতে রাজি হননি। ফলে শক্তি সঞ্চয় করার বদলে দলটি ভেঙে চৌচির হয়ে গেল।
আমার খানিকটা দায় আছে। খানিকটা নয়, হয়তো অনেকটাই। জাসদ ছিল মূলত ছাত্র তরুণদের ওপর নির্ভর এবং সেই ছাত্র সংগঠনের সব গুরুদায়িত্বই আমি পালন করেছি। ততখানি দায় তো আমার আছেই। সেই বোধ থেকেই তৎকালীন পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে আমাদের করণীয় সম্পর্কে একটি লেখা লিখেছিলাম। 'শুধুমাত্র সদস্যদের জন্য'এ শিরোনামে ওই লেখাটি একটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। পুস্তিকাটি এখন আমার কাছে নেই। এ সুযোগে আমি পাঠকদের অনুরোধ করছি, যদি কারও কাছে বইটি থাকে মেহেরবাণী করে আমাকে জানালে বাধিত হব। আগ্রহীদের আমি বই পড়ে দেখতে অনুরোধ করব। আমার কোনো দায় থাকলে আমি তা মাথা পেতে নেব। কিন্তু তখনকার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনো কারণ ছাড়া বইটি নিষিদ্ধ করলেন কেন? তাও জানা দরকার। দোষ নিশ্চয়ই একা কারও নয়। কিন্তু ইতিহাস যার দায়িত্ব যতখানি নির্দিষ্ট করেছে ততখানি তো তাকে নিতে হবে।
মঈনুদ্দিন খান বাদল যে কাফফারা দেওয়ার কথা বললেন, সে কোনো ভুলের? আমি যা বললাম (যা বিস্তারিত বলতে পারলাম না) তার জন্য? ভুল বা অন্যায় তখনকার সরকার করেনি? বঙ্গবন্ধু করেননি? '৭৩-এর ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট বাক্স হাইজ্যাকের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো অনুশোচনা আছে? জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০-১২ আসন ছিনিয়ে নেওয়া হলো, সেটি কি গণতন্ত্র হত্যার সূচনা নয়? যে খন্দকার মোশতাককে এখন বঙ্গবন্ধুর খুনি বলা হচ্ছে (তাতে সন্দেহ করছি না) সেই পরাজিত খন্দকার মোশতাককে বিজয়ী করার জন্য দাউদকান্দি থেকে তার ব্যালট বাক্স ঢাকায় আনা হয়নি? শতমুখী প্রচারণার পরেও বাকশালের গঠন একটি সঠিক পদক্ষেপ ছিল বলে কি প্রমাণ করা গেছে? বঙ্গবন্ধু কাকে বেশি পছন্দ করতেন, খন্দকার মোশতাক নাকি তাজউদ্দীন আহমদ? সে প্রশ্নের কি জবাব ইতিহাসের কাছে আছে? এ প্রশ্ন কি করা যাবে? মঈনুদ্দিন খান বাদল কোন ভুলের কথা বলছেন যে, ভুলের কাফফারা তিনি দিচ্ছেন এখন? কি কাফফারা দিচ্ছেন? তারা যে জোটের অংশীদার তাদের দলের কয়েকজন ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের এমপি, একজন দাপুটে মন্ত্রী, এটা কি কাফফারা দেওয়া।
লেখক : রাজনীতিক, আহ্বায়ক নাগরিক ঐক্য।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2014/08/27/26366#sthash.IDUoC3Yt.n0tmcuLP.dpuf

পঁচাত্তরের পালাবদল এবং জাসদের দায়

$
0
0
এরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে নিদারুণ দমননীতির মাধ্যমে। এ দমননীতি চালানো হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায়।...বিগত তিন বছরে অপদার্থ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে খুন করেছে, হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীকে জেলে পুরেছে, বিদেশি শক্তির সহায়তায় ঘৃণ্য রক্ষীবাহিনী ও গুপ্তঘাতক বাহিনী গঠন করে জনসাধারণের ওপর চালিয়েছে অমানুষিক অত্যাচার ও নিষ্পেষণ।...বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই আমাদের সংগ্রামের প্রধান রূপ হচ্ছে যুদ্ধ আর সংগঠনের প্রধান রূপ হচ্ছে সৈন্যবাহিনী।...বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেক প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীর কর্তব্য হচ্ছে বিপ্লবী গণবাহিনীতে যোগ দেওয়া...।
চুয়াত্তরের ১৭ মার্চ ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর বাড়ি ঘেরাওয়ের পর জাসদ তার রণনীতি পাল্টাতে থাকে। শুরু হয় গণবাহিনী গড়ার প্রক্রিয়া। এর একটা সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড়িয়ে যায় চুয়াত্তরের নভেম্বরের মধ্যে। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজার বিভাগের পরিচালক পদে চাকরিরত অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আবু তাহেরকে ফিল্ড কমান্ডার এবং জাতীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনুকে ডেপুটি কমান্ডার করে গণবাহিনী গঠন করা হয়েছিল। হাসানুল হক ইনু বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং জাসদের সভাপতি। গণবাহিনীর অনেকেই এখন আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি মাদারীপুর জেলা গণবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।

কাজী ফিরোজ রশীদের দলেও জাসদ ও গণবাহিনীর অনেক নেতা আছেন। বগুড়ার জাসদ নেতা প্রয়াত এ বি এম শাহজাহান একসময় এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিবও হয়েছিলেন। গণবাহিনীর উত্তরাঞ্চলের (রাজশাহী বিভাগ) কমান্ডার ছিলেন তিনি। জাতীয় পার্টির পরবর্তী মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার একসময় জাসদ করতেন। পরে তিনি কয়েক বছর বিএনপির সঙ্গে ঘরকন্না করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। জাতীয় পার্টির বর্তমান মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু একসময় জাসদ করতেন। পরে জাসদ ভেঙে তিনি বাসদে যান এবং পরে জেনারেল এরশাদের পক্ষপুটে আশ্রয় নেন। জাতীয় পার্টির ভেতরে বর্তমানে যে দলাদলি চলছে, তারই অংশ হিসেবে জিয়াউদ্দিন বাবলুর বিরুদ্ধে পরোক্ষ প্রচারণার একটি প্রতিফলন হয়তো দেখা যায় ফিরোজ রশীদের সাম্প্রতিক জাসদবিরোধী বিষোদ্গারে।
জাসদের বিরুদ্ধে শুধু মোজাম্মেল হক নন, পুরো আওয়ামী লীগের রয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ। তাঁরা মনে করেন, জাসদের রাজনীতির কারণেই পঁচাত্তরের পালাবদলের পটভূমি তৈরি হয়েছে। এটা সত্য যে জাসদ জমিতে চাষ দিয়েছে, বীজ বুনেছে, সেচ দিয়েছে। কিন্তু ফসল তুলে নিয়েছে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে ফারুক-রশীদ চক্র এবং পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান।তখন থেকেই রাজনীতির দাবার ঘুঁটি সেনাবাহিনীর হাতে। আমি মনে করি না, জাসদ চক্রান্ত করে সেনাবাহিনী আসার পথ তৈরি করে।পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের জন্য একটা শক্ত ভিত প্রস্তুত করে দিয়েছিল। বরং বলা চলে, জন্মলগ্ন থেকেই জাসদের রাজনীতি ছিল শেখ মুজিব এবং তাঁর সরকারকে উৎখাত করা।এই কাজটি তারা সচেতনভাবেই করেছিল।এখন যদি তারা মনে করে তারা ভুল করেছে, তাহলে তারা তা বলতেই পারে। তবে তাদের কারণে তাদের যে অগণিত কর্মী মারা গেছেন, তার দায়ও তাদের নিতে হবে।কেননা, তাঁদের রক্তের ওপর পা দিয়েই তাদের অনেকে সাংসদ ও মন্ত্রী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগকেও ভাবতে হবে, পঁচাত্তরের আগে তারা দেশে কী পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।বাহাত্তরের নির্বাচনে যে সংসদ গঠিত হয়েছিল, তাতে কোনো বিরোধী দল ছিল না। আর বিরোধী দল ছাড়া পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র কার্যকর হয় না। বর্তমান জাতীয় সংসদও অনেকটা সে রকমের। যে জাসদ একসময় কথায় কথায় ‘ফ্যাসিস্ট মুজিব সরকারের’ উৎখাত চাইত, এখন তারা একই ধরনের সরকারের অংশ। যারা তাদের উৎখাত চায়, তাদের জাসদ নেতারা কী বলবেন?
জাসদ নেতারা আরও বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রকারীরা।’ কথাটা অর্ধসত্য। অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ছিল। বাইরে ছিল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, যার দায় কিংবা কৃতিত্ব অনেকটাই জাসদের। যখন তারা অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কথা বলে, তারা তখন ‘বিএনপি’র সুরে কথা বলে। কেননা, বিএনপির নেতারাও বলে থাকেন যে শেখ মুজিবকে দলের লোকেরাই ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছেন, তাঁরাই পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় এসেছেন মোশতাকের হাত ধরে। বিএনপি দাবি করে, জিয়াউর রহমান সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি তো কোনো ষড়যন্ত্র করেননি।
জাতীয় সংসদের সাম্প্রতিক বিতর্ক রাজনীতির ময়দানে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমি মনে করি এর একটা বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা এবং মীমাংসা হওয়া দরকার। সে জন্য প্রয়োজন প্যান্ডোরার বাক্সগুলো পুরোপুরি খুলে ফেলা। মনে হয়, আমরা ধীরে ধীরে সে পথেই যাচ্ছি। ইতিহাসের মাইনফিল্ডে নিরাপদে হাঁটার জন্য এখন প্রয়োজন মাইনগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া।
মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক।

পিডিবির তার সরবরাহে ভয়াবহ জালিয়াতি..৩৯ কোটি টাকায় ৩৬ শ’ খালি ড্রাম!

$
0
0
প্রতি ড্রামে বৈদ্যুতিক তার থাকার কথা এক হাজার ৭০০ মিটার। কর্মকর্তারা যে ক’টি ড্রাম খুলে পরিমাপ করেছেন সেগুলোর প্রত্যেকটিতে পেয়েছেন মাত্র ৪০০ মিটার। অর্থাৎ প্রতি ড্রামে এক হাজর ৩০০ মিটার তার কম পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় একটির পর একটি ড্রাম যতই মাপছিলেন ততই গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল ইন্সপেকশন টিমের সদস্যদের। এত বড় দুর্নীতি দেখে তারাই হতভম্ব হয়ে যান। তারা একপর্যায়ে ড্রাম খোলা বা মাপা বন্ধ করে দিয়ে বাকিগুলো নেড়েচেড়ে ওজন অনুমান করার চেষ্টা করেছেন। এতে ড্রামের গঠন ও ওজন আন্দাজ করে তাদের আশঙ্কা সব ড্রাম খোলা হলে হয়তো কোনো কোনোটিতে আরো কম এমনকি খালিও পাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগে নজিরবিহীন এই ঘটনায় আঁতকে ওঠেন সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকতে পারে, এ আশঙ্কায় পরিদর্শক দলের সদস্যরা ভয়ে তদন্তকাজ অসমাপ্ত রেখেই ঢাকায় ফিরে যান। 
গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) টঙ্গীর কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারে ঘটেছে ভয়াবহ এ জালিয়াতির ঘটনা। ভাণ্ডারে গত জুন মাসে ১১০ ট্রাকে তিন হাজার ৬৩০ ড্রাম বৈদ্যুতিক অ্যালুমিনিয়াম তার সরবরাহ করে সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। পরিদর্শক দলের তদন্তে পুকুর চুরি ধরা পড়ায় তারা বর্তমানে চাপের মধ্যে রয়েছেন ও একই সাথে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।


বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল নিয়ে গঠিত ‘সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট’-এর জন্য ৪৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫২ দশমিক ৭২ ইউএস ডলার বা প্রায় ৩৯ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক অ্যালুমিনিয়াম তার সরবরাহের কার্যাদেশ (নম্বর- ঢ়ফ/পুঢ়ফঢ়/নঢ়ফন/ঢ়শম-১৭/৬৮১, ফধঃব- ২২-১২-২০১৩) পায় ভিয়েতনামের এল এস ভিনা ক্যাবল অ্যান্ড সিস্টেম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ভিয়েতনাম থেকে এসব মাল শিপমেন্ট হওয়ার আগেই নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে ৯০ ভাগ বিল পরিশোধ করে পিডিবির সেন্ট্রাল জোন কর্তৃপ। অ্যালুমিনিয়াম তার প্রস্তুতকারক এল এস ভিনা তাদের বাংলাদেশের এজেন্ট এসকিউ গ্র“পের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান টেকনো ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের মাধ্যমে তারগুলো গত জুনে পিডিবির টঙ্গীর কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারে হস্তান্তরের মাধ্যমে রিসিভ (গ্রহণ) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। যে তার পাঠানো হয়েছে তার মূল্য মাত্র ৯ কোটি টাকা। তারা বাকি ১০ ভাগ বিলও উত্তোলনের জন্য পরিদর্শক দলের প্রতিবেদনের (ইন্সপেকশন রিপোর্ট) অপোয় ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে পুকুর চুরি ফাঁস হয়ে ‘আরঅ্যান্ডআই’ (রিসিভ অ্যান্ড ইন্সপেকশন) প্রক্রিয়া আটকে যাওয়ায় অবশিষ্ট বিল উত্তোলন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। প্রাথমিক তদন্তে পিডিবি যে পরিমাণ (এক-চতুর্থাংশের চেয়েও কম) মাল পেয়েছে তার মূল্য অবশিষ্ট ১০ ভাগ টাকার চেয়েও কম। আর যে পরিমাণের বিল পরিশোধ করা হয়েছে সেই পরিমাণ মাল পিডিবির ভাণ্ডারে আসেনি। এ অবস্থায় বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে কার্যাদেশ অনুযায়ী বাকি মাল আদায় করা অথবা টাকা ফেরত আনার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে গ্রিন সিগনাল ছাড়া এ ধরনের পুকুর চুরি সম্ভব নয় বলে সূত্র দাবি করে আরো জানিয়েছে, ইন্সপেকশন টিমের কার্যক্রম শুরুর আগ পর্যন্ত ভাণ্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে রহস্যজনক গোপনীয়তা অবলম্বন করেন। 
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পিডিবির টঙ্গীর কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারের উপপরিচালক পান্না কুমার ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গোপনীয়তা অবলম্বনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মালামাল রিসিভ করার দায়িত্ব আমাদের। আর মালামালের গুণগত মান ও পরিমাণ ঠিক আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ইন্সপেকশন টিমের। তারের ড্রাম খোলা না ইনটেক অথবা কম না বেশি এগুলো দেখার দায়িত্বও ভাণ্ডার কর্মকর্তাদের নয় বলেও তিনি দাবি করেন। পিডিবির কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারগুলো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরিদফতরের অধীনে পরিচালিত। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরিদফতরের পরিচালক এ জে এম লুৎফর রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আলোচিত ঘটনাটি তাকে ভাণ্ডারের প থেকে জানানো হয়নি। মালগুলো ভাণ্ডারে রিসিভ করার দেড় মাস পর ইন্সপেকশন টিমের সদস্যরা প্রতি ড্রামে এক হাজার ৭০০ মিটারের স্থলে ৪০০ মিটার তার পাওয়ার বিষয়টি তাকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইন্সপেকশন টিমের মাপে যাতে কম ধরা না পড়ে সেজন্য ঠিকাদারেরা এমনিতেই প্রতি ড্রামে দুই-তিন ফুট তার বেশি দিয়ে থাকেন। কারণ ইন্সপেকশন টিম সব মাল পরিমাপ করেন না। তারা প্রথম পাঁচ-ছয়টি ড্রাম মেপে যে পরিমাণ তার পান সেই পরিমাণেই সরবরাহকৃত সব তারের বিল নির্ধারণ করা হয়। এ দিকে এ ব্যাপারে পাঁচ সদস্যের ইন্সপেকশন টিমের প্রধান সেন্ট্রাল জোন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাসিতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও প্রকল্প পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো: মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ভিয়েতনামের এল এস ভিনা কর্তৃপকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মালগুলো পুনরায় পরীা-নিরীা করা হবে। তবে কবে নাগাদ বিদেশী প্রতিনিধিরা আসবেন এ ব্যাপারে এখনো পিডিবিকে জানানো হয়নি বলেও তিনি জানান। পিডি আরো বলেন, যেহেতু আরঅ্যান্ডআই হয় নাই, সেহেতু এই মাল এখনো আমাদের মাল হিসেবে গণ্য হবে না। মাল বুঝে না পেলেও ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ বিল পরিশোধের বৈধতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পটি যেহেতু জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত সেহেতু জাইকার নিয়ম অনুযায়ীই বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এখানে পিপিআর (সরকারি ক্রয়নীতিমালা) প্রযোজ্য নয়। বিদেশী কোম্পানি ধরা না দিলে কিভাবে ধরবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পুরো মাল আদায় করেই ছাড়ব। সে ধরনের ডিড ডকুমেন্ট ও জামানত আছে বলেও তিনি দাবি করেন। এ সময় তিনি একটি ডিডের কপিও প্রদর্শন করেন। যাতে এল এস ভিনার পে তাদের এজেন্ট টেকনো ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক (টেকনিক্যাল) নাফিজা ইসলামের স্বার রয়েছে। টেকনো ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড এসকিউ গ্র“পের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এর প্রধান অফিস ঢাকার বনানী সি ব্লকের ১৭ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাড়ি ‘বাসতি হরিজন’ টাওয়ারের ১২তম তলায়। এ ব্যাপারে টেকনো ইলেকট্রিক্যালসের মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম চৌধুরীর সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিক পরিচয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে এ মুহূর্তে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও অন্য সময় অফিসে যেতে অনুরোধ জানান।
পিডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে পাঁচ বছরমেয়াদি বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প ‘সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট’-এর কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ২৩ মার্চ। আগামী বছর জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বৈদ্যুতিক তার ক্রয়ে আলোচিত জটিলতার কারণে যথাসময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকার মধ্যে দেশীয় অর্থ রয়েছে ৪৩৯ কোটি টাকা। বাকি পুরো টাকাই জাপানভিত্তিক দাতা সংস্থা ‘জাপান ইন্টারন্যশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা)। প্রকল্পটির একটি বড় অংশ বৈদ্যুতিক তার ক্রয়ের েেত্র পুকুর চুরি ধরা পড়ায় এর অন্যান্য দিক বাস্তবায়নের েেত্রও কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখারও দাবি উঠেছে।
http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=Njc4OTM%3D&s=MQ%3D%3D

শেখ কামালের কিছু অপকীর্তি

$
0
0
আওয়ামীলীগ নেতা গাজি গোলাম মোস্তফার ছেলে ছিল শেখ কামালের বন্ধু। এদের প্রায় ৩০ জনের একটা দল ছিল। বিভিন্ন জায়গায় এরা আড্ডা মারত। আবার সেনাবাহিনীর অফিসারদের কোন পার্টি হলে সেখানেও এই দলটি উপস্থিত হত। দলের মধ্যে একজন তৎকালীন প্রেসিডেন্টের ছেলে হওয়ায় দলটির ক্ষমতাই ছিল অন্যরকম। কাউকে তোয়াক্কা করত না তারা। একটি বিয়ের পার্টিতে মেজর ডালিমের বউকে দেখে আওয়ামীলীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে তার উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে। এবং এক পর্যায়ে মেজর ডালিমের স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে।এ অবস্থায় ডালিম বাধা দিতে এগিযে গেলে তার সাথে গোলাম মোস্তফার ছেলের ঝগড়া হয়। শেখ কামাল সেখানে উপস্থিত ছিলো। সে সরাসরি তার বন্ধুর পক্ষ নেয় এবং মেজর ডালিমের বউকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই তুলে নিয়ে যায়। ( তিনটি অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা---লে, কর্নেল (অব) এম এ হামিদ পি এস সি)


সময়কাল ১৯৭৩ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত। শেখ কামাল ও তার সহযোগীরা অস্ত্র হাতে ঢাকার রাস্তায় কুখ্যাত সাদা রঙ এর মাইক্রোবাস নিয়ে নেমেছে। উদ্দেশ্য ব্যাংক ডাকাতি। অন্যদিকে শহরজুড়ে সিরাজ শিকদারের আগমনধ্বনিতে কম্পমান মুজিব ও তার চ্যালা চামুন্ডারা। পুলিশ বাহিনী চরম স্নায়ুচাপে ভুগছে। ব্যাংক ডাকারি চেষ্টাকালে শেখ কামালের দলবলকে সিরাজ শিকদারের দল মনে করে গুলি চালায় সার্জেন্ট কিবরিয়া। আহত হয় শেখ কামাল। পরদিনের গণকণ্ঠ পত্রিকায় বিস্তারিত ছাপা হয় মুজিব পুত্রের ব্যাংক ডাকাতির কাহিনী। (মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব) বীরবিক্রম)
সময়কাল ১৯৭৫।



সদ্য বিবাহিত এক নবদম্পতি গাড়িতে বেরিয়েছেন। প্রকাশ্যেই স্বামী এবং গাড়ির ড্রাইভারকে হত্যা করে মেয়েটাকে তুলে নিয়ে যায় মুজিবের স্নেহধন্য, শেখ কামালেরে সহযোগী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোজাম্মেল। ধর্ষিত মেয়েটির রক্তাক্ত মৃতদেহ তিনদিন পর পাওয়া যায় টঙ্গী ব্রিজের নিচে। মেজর নাসের গ্রেপ্তার করেন মোজাম্মেলকে। মোজাম্মেল হাসতে হাসতে বলে, আমাকে ছেড়ে দেন। নাহলে আপনিই বিপদে পড়বেন। মেজর নাসের ছাড়লেন না মোজাম্মেলকে। পরেরদিনই শেখ মুজিবের নির্দেশে ছাড়া পায় মোজাম্মেল। শাস্তির মুখোমুখি হন মেজর নাসের। (দেয়াল-হুমায়ুন আহমেদ, Bangladesh Legacy of Blood- Anthony Mascarenhass)



সদ্য স্বাধীন দেশে লাম্পট্য, সন্ত্রাস আর পৈশাচিকতার নজির গড়ে তুলেছিলেন তিনি। রাজনৈতিক নেতার পুত্র মানেই সন্ত্রাসী, লম্পট, ধর্ষক, পিশাচ- সাধারণের মনে এই ধারণার প্রবর্তক তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় '৭২-'৭৫ এর এক কুৎসিত চরিত্র তিনি। হ্যা, তিনি হচ্ছেন শেখ কামাল। কুখ্যাত শেখ কামাল। আজ তার জন্মদিন। আজ বড় দুঃখের দিন সেই ধর্ষিত, নিহত মেয়েগুলোর। আজ বড় দুঃখের দিন '৭৪ এর দুর্ভিক্ষ পীড়িত সেই কঙ্কালদের। আজ বড় দুঃখের দিন বীর সন্তান মেজর নাসেরের। শেখ কামাল নামের এক কুলাঙ্গারের জন্ম এই দেশে হওয়াতেই '৭২-'৭৫ এর কালো সময় হয়েছিলো আরো কালো। আরো বিভিষীকাময়। আমরা অবশ্যই বলব, এরকম অশুভ জন্ম যাতে আর কখনো এই দেশে না হয়।

বাংলাদেশ-ভারত তো ‘এক’... স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

$
0
0
আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশ-ভারত তো ‘এক’ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও সংস্কৃতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমরা অভিন্ন দেশ, আমরা কথা বলি এক ভাষায়, আমাদের খাদ্য একই। আমাদের দুই দেশের নাম ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমরা তো এক।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত মৈত্রী উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটা আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। সুখে-দুঃখে আমরা পাশে থাকবো।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভারত সরকার আমাদের অস্ত্র, খাদ্য, থাকার জায়গা এবং ট্রেনিং দিয়ে যেভাবে যুদ্ধের জন্য তৈরি করে দিয়েছিল তা কখনও ভুলবার নয়। আমি যতদিন বেচে থাকবো ততদিন মনে রাখবো।’
‘ভারত আমাদের বিদ্যুৎ দিচ্ছে, রেলওয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে তারা আরো সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাপার সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. অরুনোদয় সাহা, উত্তর-পূর্ব ভারতের বেসরকারি চ্যানেল খবর৩৬৫ এর সম্পাদক অরুণ চক্রবর্তী ও জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রমুখ।

Six Abductees in N'ganj.... Murdered brutally, dumped into river

$
0
0
City erupts in fury as decomposed bodies found floating, tied to bags filled with bricks
Star Report
One of the six bodies found in the river Shitalakkhya at Narayanganj is being pulled towards the shore yesterday. The photo was partly pixelated.  Photo: Courtesy/TV grab
One of the six bodies found in the river Shitalakkhya at Narayanganj is being pulled towards the shore yesterday. The photo was partly pixelated. Photo: Courtesy/TV grab
In a shocking turn of events, the bodies of Narayanganj city councillor Nazrul Islam and five others were found floating in the Shitalakkhya river yesterday, three days after seven people, including Nazrul, were kidnapped in broad daylight in Narayanganj.
The six victims were killed and their bodies were dumped into the river in similar manner. The murderers cut the victims' bellies and then tied the bodies to sacks full of bricks before throwing into water, according to police.

They were blindfolded, and their hands and legs were tied with ropes, said law enforcers.
Police suspect the same gang was behind the abductions and the killings.
Among the dead are Chandan Sarkar, senior lawyer at Narayanganj District Judge's Court, and his driver Ibrahim.
Two other victims were identified as Nazrul's aides Moniruzzaman Swapan, local Jubo League activist, and Tajul Islam, president of Siddhirganj unit of Sheikh Russell Jatiya Shishu Kishore Parishad.
The identity of the other could not be known.
The injuries on the victims' bodies and heads were caused by heavy objects. They had been strangled, said Asaduzzaman, resident medical officer of General (Victoria) Hospital, who performed autopsies on the victims.

Nazrul Islam
Nazrul Islam


He said they might have been killed 48 to 72 hours earlier.
Locals of Shantinagar in Kalagachhiya union first noticed two bloated bodies floating amid water hyacinth near the river bank around 3:00pm, and informed the police.
The law enforcers then launched a search operation, and found by the evening four more bodies floating in the river.
The bodies were so decomposed that the victims' relatives found it difficult to identify those.
Nazrul's younger brother Abdus Salam identified the councillor's body by his clothes. The other victims were identified by the special marks on their bodies, and clothes.
The relatives of five of the victims pointed fingers at ward-4 councillor Nur Hossain, and Siddhirganj Thana Awami League general secretary Hazi Yasin, who are aides to AL lawmaker Shamim Osman.
Locals and victims' family members alleged that the duo run drugs racket in the area.
Nazrul's wife Selina Islam filed an abduction case against Nur, Yasin and four others on Monday.   
“Oh Allah … what Shamim Osman has done … the day before his [Nazrul] abduction, he met Shamim Osman and pleaded to bhai [Shamim] to protect him, saying he would go to the court the next day,” Selina told reporters after her husband's body was recovered.
Each of the bodies was tied to sacks full of bricks, as seen in the photo. Photo: Courtesy/TV grab
Each of the bodies was tied to sacks full of bricks, as seen in the photo. Photo: Courtesy/TV grab
Shamim Osman, however, refuted the allegations of any involvement in the incident.
“She is not in right frame of mind now. My brother died the very day she found her husband's body. I can realise what it feels when people lose their dear ones,” he said, referring to the death of his elder brother and JP lawmaker Nasim Osman.   
Chandan's son-in-law Ranjit Debnath said his father-in-law had no enmity with anyone.
The news of the murder of the six caused widespread anger among locals in Narayanganj.
Angry locals blocked the Dhaka-Chittagong highway at Sanarpar in Siddhirganj and also Dhaka-Narayanganj link road around 4:00pm. Vehicular movement on the highway remained suspended till 3:00am today.
They also damaged and set ablaze vehicles.


Murdered brutally, dumped into river

Around 7:00pm, locals set fire to Shams Filling Station owned by Hazi Yasin at Mouchak on Dhaka-Chittagong highway.
Blaming the administration for deterioration of law and order in Narayanganj, City Mayor Selina Hayat Ivy told a private TV channel last night, “If it had acted promptly immediately after the abductions three days back, it would have been possible to rescue them alive”.
Meanwhile, Prime Minister Sheikh Hasina directed the law enforcement agencies to arrest the culprits as soon as possible.
State Minister for Home Affairs Asaduzzaman Khan Kamal informed reporters about it after a meeting with the PM at the Gono Bhaban.
“The government is trying its best to arrest the culprits,” he said.
Nazrul, his three aides and driver were abducted near Adalat Para on Sunday while they were returning by a car from Narayanganj District Judge's Court. Earlier, he had appeared in the court in connection with a case.
Police found Nazrul's car abandoned in Rajendrapur area of Gazipur that night.
At about the same time, lawyer Chandan and his driver Ibrahim were kidnapped from the court area in Narayanganj. Chandan's car was found abandoned in the capital's Gulshan area.
In the meantime, the National Human Rights Commission expressed concern over the recent incidents of abductions and extrajudicial killings.
“We have repeatedly asked the government to be very strict in dealing with the issues of abduction, forced disappearance and extra-judicial killing … But such incidents keep recurring and have created a sense of insecurity among people,” Kazi Reazul Hoque, full-time member of the commission, told The Daily Star last night.
He said they will discuss the issue at the next meeting on May 5, and request the government to take effective steps to “dispel fear from people's mind”.
Akbar Ali Khan, former adviser to a caretaker government, said, “We are very worried about the current situation … we want to see it improved.”
The government has taken some steps. But it should do to more, or else the problems will deepen, he said.
Narayanganj Superintendent of Police Syed Nurul Islam told The Daily Star yesterday that he had received a withdrawal order.
Nurul, Deputy Commissioner Manoj Kanti Baral, Rab-11 Commanding Officer Lt Col Tareque Sayeed Mohammad, and the OCs of Fatullah and Siddhirganj police stations Akhtar Hossain and Abdul Matin were withdrawn after the abduction of the seven.
(Our Narayanganj correspondent contributed to this report)
http://www.thedailystar.net/newsarchive/murdered-brutally-dumped-into-river-22345

7 bodies found afloat in N’ganj river, ditch

$
0
0
Supporters of abducted councillor, others on rampage all day long
Our Correspondent . Narayanganj
Agitated local people set a filling station on fire after six bodies, including that of Narayanganj city ward councillor Nazrul Islam, were recovered from the River Sitalakhya on Wednesday.  — New Age photo
Agitated local people set a filling station on fire after six bodies, including that of Narayanganj city ward councillor Nazrul Islam, were recovered from the River Sitalakhya on Wednesday.
— New Age photo
The police on Wednesday found bodies of seven people, including city councillor Nazrul Islam and lawyer Chandan Kumar Sarker, abducted three days ago, afloat in a river and a ditch in Narayanganj.
Six of them were found afloat in the River Sitalakhya in the Bandar police area and the other, yet to be identified, in a ditch at Fatullah.
The bodies each had the hands and the legs tied to two sacks, each containing 12 bricks, witnesses said. The bodies were almost decomposed. Four of them were associates of the city councillor.
The Fatullah police officer-in-charge, Md Akhter Hossain, said, ‘The
case of abduction will now turn into a murder case.’

Supporters of the councillor, joined in by a large number of people, on demonstrations for the third consecutive day, rampaged through the Dhaka–Chittagong Highway at the news of the recovery of the bodies.
They set a filling station on fire at Mouchak in the Siddhirganj police area and damaged about 70 vehicles during the violent protests that were continuing till 8:00pm.
The Bandar police found six of the bodies afloat in the River Sitalakhya at Kalagachhia in the afternoon.
Selina Islam, wife of panel mayor Nazrul Islam, also a ward 2 councillor councillor and former Chhatra League leader, identified the body of her husband.
Family members break down at Victoria Hospital in Narayanganj after the body of Narayanganj city councillor Nazrul Islam was recovered from the River Sitalakhya on Wednesday. — New Age photo
Family members break down at Victoria Hospital in Narayanganj after the body of Narayanganj city councillor Nazrul Islam was recovered from the River Sitalakhya on Wednesday. — New Age photo
Selina alleged that ruling Awami League lawmaker Shamim Osman was behind the abduction of her husband.
Bodies of Nazrul’s associates Swapan and Tajul Islam and of Ibrahim, driver of lawyer Chandan Kumar, missing since Sunday, were recovered from the river and were identified, the police said.
Nazrul along with four of his associates was abducted at gun point by people who passed themselves off as law enforcers at Shibu Market on the Dhaka–Narayanganj Link Road at Fatullah on  April 27 when the councillor was on his way home from court.
Hours after the incident, Chandan Kumar Sarker and his driver were also abducted when they were going to Dhaka.
The mayor of Narayanganj, Selina Hayat Ivy, also alleged that crime bosses in the district were behind the abduction.
Nazrul’s wife on April 28 filed an abduction case with the Fatullah police against Ward 4 councillor Noor Hossain, the Siddhirganj unit Awami League’s general secretary Yasin Mia, Hasu, Raju Iqbal and Anwar.
Lawyers stage a demonstration blockading the Link Road on Dhaka-Narayanganj Highway on Wednesday, protesting at the abduction of Advocate Chandan Sarkar and demanding his rescue. — New Age photo
Lawyers stage a demonstration blockading the Link Road on Dhaka-Narayanganj Highway on Wednesday, protesting at the abduction of Advocate Chandan Sarkar and demanding his rescue. — New Age phot4
Md Anisur Rahman, the deputy commissioner of Tangail, meanwhile, was transferred to Narayanganj to replace Manoj Kanti Boral, who was sent to the fisheries ministry as joint secretary on the day.
The home ministry on Tuesday ordered withdrawal of the Rapid Action Battalion 11 commanding officer, Tareque Sayeed Mohammad, and the superintendent of police, Syed Nurul Islam, amid protests in the district.
The Fatullah police officer-in-charge, Akhter Hossain, and the Siddhirganj police officer-in-charge, Abdul Matin, were closed to the police headquarters.
Witnesses said that several thousand supporters of Nazrul brought out a procession about 9:00am against the abduction.
They later took to the streets, blocked a stretch of the Dhaka–Chittagong Highway, from Sanarpar to Signboard, by starting fire with tyres. The blockade caused a long tailback and sufferings to people using the road.
They also demanded an immediate arrest of Noor Hossain and Siddhirganj unit Awami League’s general secretary Yasin Miah for their suspected involvement in the abduction.
Lawyers also rallied and boycotted court in the district town for the third consecutive day to rally for the rescue of of Chandan Kumar.
The police set up a three-member committee, with a deputy inspector general of police as its head, to investigate the abduction of the seven people in the district where incidents of abduction and killing have been rampant in recent times.
http://newagebd.net/?p=7706

মীর কাশেম আলীঃ মাত্র এক বোতল পানির জন্য কি না করলেন

$
0
0
মাত্র এক বোতল পানির জন্য ইনসান এমন করতে পারে, তা আপনি না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু এই কাজটি ঘটেছে মীর কাশেম আলীর বেলায়। আমার এই এজহারের সাক্ষী হবেন শিবিরের এক জামানার কেন্দ্রীয় সভাপতি, যিনি এখন দিগন্ত টেলিভিশনের বড় কর্মকর্তা। আমার বিশ্বাস তিনি তিনি সাক্ষী দেবেন।
মীর কাশেম আলী মানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা। তিনি-
১. জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ বডি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য।
২. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম।
৩. ইবনে সিনার ডাইরেক্টর ও সর্বোচ্চ নির্বাহী।
৪. দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশন-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান।
৫. মেসার্স কেয়ারী ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান।
২০১০ এ তিনি দেশ থেকে বিদেশে গেলেন বা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেন।পালিয়ে গেলেন ঢাকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে। বিভিন্ন দেশ ঘুরে আসলেন মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে। উদ্দেশ্য আল জাজিরা টেলিভিশনের সাথে দিগন্ত টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্পর্কিত চূক্তি করা। সাথে দিগন্ত মিডিয়া কপোরেশনের শেয়ার বিক্রি। দেশের প্রায় সকল পত্রিকায় মোটা হরফে নিউজঃ মীর কাশেম আলী দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি অবশ্য বিবৃতি দিলেন যে, তিনি পালিয়ে যাননি, কাজে এসেছেন এবং কাজ শেষে আবার দেশে ফিরবেন সহসাই। তার সফর সংগী ছিলেন শিবিরের এক সময়ের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজিবুর রাহমান মনজু।
তার সেই সফরেই তিনি মাত্র এক বোতল পানির জন্য যে কান্ডটাই না ঘটালেন, তা শুনলে বিশ্বাস করবেন না।

মীর কাশেম আলীকে বলা হয় জামায়াতের শিল্পপতি। কথিত আছে যে, তার ব্যবসা কোটি টাকার অংক ছাড়া নেই নাকি। দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের শেয়ার হোল্ডার কাতারে আছে প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। আর তিনি সেই কোটি কোটি টাকার ব্যবসার নির্বাহী। কাতারে এসে উঠেছেন স্থানীয় সফিটেল হোটেলে। সফিটেল হোটেল থেকে তিনি গেলেন কমিউনিটির এক মতবিনিময় সভায়। আমি সেই সভায় হাজির থাকার সুযোগ হয়েছিল। সভার শেষে আয়োজকরা তার সম্মানে রাতের খাবারের আয়োজন করেন। আমিও সেদিন খেয়েছি পেট পুরে। কিন্তু খাবার শেষ হতে না হতেই তিনি মাত্র এক বোতল পানি নিয়ে ঘটালেন বিরাট কান্ড। পাঠক ধৈর্য্য ধরুন আসছি সেই প্রসংগে। তার আগে আরেকটি বিষয়।
সেদিনের অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, জামায়াতে বিরুদ্ধে এতো এতো ষড়যন্ত্র। কিন্তু কেন। তিনি জবাবে বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামী এখন বালেগ হয়ে গেছে। অর্থাৎ কৈশোর পেরিয়ে এখন জামায়াত যৌবনে। তাই জামায়াতের উপর এই জুলুম নির্যাতন ইত্যাদি আসবে, এটাই নিয়ম। তিনি আরো বললেনঃ
১. সারা জীবন আমরা (জামায়াতের নেতারা) শাহাদাতের মর্যাদা, ইসলামী আন্দোলনে জুলুম নির্যাতন ইত্যাদি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছি। এখন সময় এসেছে সেই সব বক্তব্যের উপর আমল করে দেখিয়ে দেয়ার। এই কাফেলায় শত শত কর্মী শাহাদাত বরণ করেছে। নেতারা কি শাহাদাত বরণ করার প্রয়োজন নেই।
২. বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে সকল দেশের সকল ইসলামী আন্দোলনে শীর্ষ নেতারা সর্বোচ্চ ত্যাগ প্রদর্শন করেছেন। এমন কি তাদেরকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী যদি সেই ইসলামী আন্দোলন হয়, তাহলে একই ধারাবাহিকতায় নেতাদেরকে শহীদ হতে হবে।
চলে আসি মীর কাশেম আলীর পানির বোতল প্রসংগে। মীর কাশেম আলী যথারীতি খাওয়া শেষ করলেন। খাওয়া শেষ করেই তিনি পাশে রাখা দেড় লিটারের একটি পানির বোতল বগল দাবা করলেন। এর পর তিনি অনুষ্ঠানে ছিলেন কমপক্ষে আধা ঘন্টা। কিন্তু পানির বোতল তার বগলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত তার শুভাকাংখির কেউ কেউ চেষ্টা করেছেন বোতলটা নিয়ে নেবার। কিন্তু এমন শক্ত করে ধরেছেন যে, তার একটি মনযোগ এই বোতলের দিকে। অনুষ্ঠান ছেড়ে যখন চলে যাচ্ছেন, তখন একজন বলেই বসলেনঃ পানির বোতল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন। উত্তরে মীর কাশেম আলী বললেন, এসেছি দিগন্ত মিডিয়ার কাজে। থাকছি দিগন্ত মিডিয়ার খরচে। খাচ্ছি দিগন্তের ফান্ড থেকে। যে হোটেলে আছি, সেখানে এই এক বোতল পানির দাম মাত্র ২০ রিয়াল (হোটেলের বাহিরে মাত্র ১ রিয়াল)। তাই ২০ রিয়াল বাঁচানোর জন্য এক বোতল পানি নিয়ে যাচ্ছি। দিগন্তে টাকা আমার কাছে বলে যেমনে খুশি তেমনে তো খরচ করতে পারিনা।
তার এ বক্তব্য শুনে উপস্থি সবাই থ হয়ে গেলেন। দিগন্তের শেয়ার হোল্ডার যারা ছিলেন তারা সাংঘাতিক রকমের তৃপ্তি পেলেন। আশ্বস্ত হলেন এই ভেবে যে, যে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী এমন মিতব্যয়ী, সেখানে আমাদের টাকার ব্যাপারে কোন টেনশন নেই।
পাঠক! মীর কাশেম আলীর একটা বক্তব্য দিয়েই শেষ করতে চাই। তিনি বলেছিলেন "জামায়াত এখন বালেগ হয়ে গেছে"। কিন্তু অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক প্রাক্তণ শিবির তার এ বক্তব্যে পুরো আশ্বস্থ হতে না পেরে তাকে প্রশ্ন করার জন্য সুযোগ খুজছিলেন। এক সময়ে সুযোগ পেয়ে প্রশ্ন করলেন "যে জামায়াতকে বালেগ হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করলেন, সেই জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় দায়িত্বশীলগন যদি জেলে চলে যান, তাহলে যাদের উপর জামায়াত পরিচালনার দায়িত্ব আসেব-তারা কি দায়িত্বশীল হিসাবে বালেগ হয়েছেন বলে আপনি মনে করেন?"
উত্তরে মীর কাশেম আলী বললেনঃ ওরা আমাদের চেয়ে অনেক যোগ্য অনেক অনেক পারদশী।
আজ যখন রাজপথে সমাবেশে দেখি হামীদুর রাহমান আযাদ, সেলিমুদ্দিন আর শফিকুল ইসলাম মাসুদরা জামায়াতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ত্ব করছে। যখন দেখি সামান্য একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সারা দেশ থেকে জামায়াত শিবিরের মিছিলের ছবি। তখন আশ্বস্থ হই, ভাবি "হ্যাঁ! জামায়াত সত্যিই বালিগ হয়ে গেছে।"
এক বোতল পানির জন্য যে সিনিয়র এমন করতে পারে, তার জুনিয়ররা তারই রঙে হবে রঙিন এইতো নিয়ম এইতো বিধান।

নির্মূল কমিটির হিসাবে ৫ মে নিহত ৩৯

$
0
0

রাজধনীর শাপলা চত্বরে গত ৫ মে হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিতে ৩৯ জন নিহত হয়েছে বলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে।

সংগঠনটির উদ্যোগে ওইদিনের ঘটনায় ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ নামে একটি কমিশন গঠন করে এ তদন্ত করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। আর সদস্য সচিব ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ‘হেফাজত-জামায়াতের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ৪০০ দিন’  নামে একটি শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সেখানেই এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।


মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘শাপলা চত্বরে ৫ মের সমাবেশকে ঘিরে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন।’ তবে এ ঘটনায় হেফাজতের তালিকা অনুযায়ী ৭৯ জন এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাবে ৬১ জনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেগুলোকে তিনি অতিরঞ্জিত ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেন। ঘটনার কয়েকদিন পর সরকার এক প্রেসনোটে জানায়, ওই দিন ১১ জনের বেশি নিহত হয়নি।

তিনি বলেন, ‘৫ মে এর ঘটনা তদন্তে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। সেই কমিশন এক হাজার মাদরাসা ঘুরে ঘুরে এ বিষয়ে তদন্ত করেছে।’
৫ মে এর ঘটনায় নিহত ৩৯ জন পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে শাহরিয়ার কবির সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ওই সমাবেশের পর হাজার হাজার আলেম হত্যার যে প্রচার চালানো হয় এর পরিপ্রেক্ষিতেই শ্বেতপত্রটি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানান শাহরিয়ার কবির।

কমিশনের সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক কামাল লোহানী, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মূল কমিটির একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শ্বেতপত্রের কপি দেয়।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzA4LTEwNS02MTQyMA==

ফিরে আসছে আওয়ামীলীগের সেইসব 'গুণধরের'স্মৃতি!

$
0
0
ফিরে আসছে সেইসব 'গুণধরের'স্মৃতি!
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত হত্যার ঘটনায় যে র‍্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে একজন হলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাইদ মাহমুদ। তিনি নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
সাত খুনের ঘটনায় আলোচনা যতোই গভীরে ঢুকছে ততোটাই অভিযুক্ত হচ্ছেন মায়ার পরিবারের এই সদস্য। অবশ্য শুধু তিনি নন, তার সাথে ত্রাণমন্ত্রীর ছেলের নামও এসেছে। নিহত কাউন্সিলর নজরুলের পরিবারের ভাষ্যমতে, মন্ত্রীপুত্র ওই ঘটনায় লেনদেনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখেন।

আগে অনেক প্রভাবশালী নেতার সন্তানরা নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়েছেন। এবার সেই তালিকায় অভিযুক্ত হলো জামাতার নামও। সেই সাথে আলোচনা সমালোচনায় চলে আসছে নেতা-পুত্রদের অতীত কর্মকাণ্ডও।
'৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর দেশে যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয় তার মধ্যে অনেকগুলো আলোচিত ঘটনার সাথেই যুক্ত ছিলেন তখনকার প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেরা। সেই সময় মায়ার ছেলে দীপু চৌধুরীর নামও ছিলো সেই সমালোচিতদের তালিকায়। রীতিমত আত্মঙ্কের নাম হয়ে ওঠেন দীপু চৌধুরীসহ বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতার ছেলেরা। তাদের সেই সব কর্মকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে।
সম্প্রতি সেই মায়ারই জামাতার নাম যুক্ত হওয়ায় অনেকেই বলতে শুরু করছেন, এবারও কি সেই পথেই এগুচ্ছে আওয়ামী লীগ?
৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহনের পর যেসব প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের ছেলেরা নানা অপকর্ম করে দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তার কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো-
মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে দীপু : ৯৬ সালে আওয়ামী নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সেই সময় ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় জমি দখলসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে নাম জড়িয়ে যায় দীপু চৌধুরীর। উত্তরায় ঠিকাদার তরাজউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন দিপু।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে সাদেক, মইন, আশিক : একই আমলে সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাসের মদদ দেয়ায় পুরো মেয়াদ জুড়েই আলোচনায় ছিলো তার ছেলেরা। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বড় ছেলে সাদেক আবদুল্লাহ কলাবাগানে বহুতল বিশিষ্ট একটি বাড়ি দখল করে তখন আলোচিত হন।
এসএ মালেকের ছেলে মামুন : শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন এসএ মালেক। তার ছেলে ডা. মামুন বিএমএতে দলীয়করণ এবং সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত হন। স্বাস্থ্য সেক্টরে হয়ে ওঠেন গডফাদার।
কামাল মজুমদারের ছেলে জুয়েল : তরুণ ব্যবসায়ী শিপুকে গুলি করে হত্যার পর আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগের এমপি কামাল মজুমদারের ছেলে জুয়েল।
সাবেক মেয়র হানিফের ছেলে সাইদ খোকন : সাবেক মেয়র হানিফের ছেলে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সময়ে গুলশান লেক দখল করে বাড়ি তৈরি ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের ছেলে সুমু: তৎকালীনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে সুমু গাড়িতে একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয় সেই সময়ে।
মকবুল হোসেনের ছেলে মাসুদ : তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি মকবুল হোসেনের ছেলে মাসুদুর রহমান বহু চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন তারা।
আখতারুজ্জামান বাবুর ছেলে জাভেদ : তৎকালীন সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবুর ছেলে জাভেদ চট্টগ্রাম চেম্বার দখল করে নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
লক্ষীপুরের তাহের বাহিনী : লক্ষীপুরের মূর্তিমান আত্মঙ্কের নাম এম এ তাহের ও তার ছেলে বিপ্লব। তাহের বাহিনী হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন তার ছেলে বিপ্লব। তারা ওই অঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন যা সরকারের ভাবমূর্তিকে দেশব্যাপী সংকটে ফেলে দেয়।
দীর্ঘ ২১ বছর পর '৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছিলো সন্ত্রাসের কারণে। এসব সন্ত্রাসে একদিকে যেমন দলীয় নেতাকর্মীসহ শীর্ষ নেতারা যুক্ত ছিলেন, অন্যদিকে তাদের অনেকেরই পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত। প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা এসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় অনেকেই প্রতিকার পায়নি। সঠিক বিচারও পায়নি। যার ফল পরবর্তী নির্বাচনে ভোগ করতে হয়েছে।
http://www.poriborton.com/post/54368/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF

10 Evil Crimes Of The British Empire

$
0
0
MORRIS M. :At its height, the British Empire was the largest to have ever existed. Aside from covering most of the globe, it was responsible for some of the greatest advances in engineering, art, and medicine that the world will ever know. The Empire gave us steam engines, penicillin, radar, and even television.
However, life under the British wasn’t all just incredible inventions. Alongside the good stuff the Empire did sat a whole ream of not-so-good stuff, and alongside that a whole load of other stuff so evil it’d make Dick Dastardly balk.

10The Boer Concentration Camps

01
We all now know about the horrors of concentration camps, but during the time of Boer Wars, rounding up tens of thousands of innocent people anddetaining them in camps seemed like a stroke of genius. The British needed the South African populace under control and had the means and manpower to detain them. What could possibly go wrong?

Try just about everything. Pitched under the white hot African sun andcrawling with flies, the camps were overcrowded, underequipped, and lethally prone to disease outbreaks. Food supplies were virtually non-existent, and the callous guards would dock people’s meager rations for the slightest perceived offense. The result: sickness and death spread like wildfire, killing women by the thousands and children by the tens of thousands. In a single year, 10 percent of the entire Boer population died in the British camps—a figure that gets even worse when you realize it includes 22,000 children.
But the atrocity didn’t stop there. While rounding up the Boers, the British also decided to detain any black Africans they encountered, 20,000 of whom were worked to death in slave labor camps. All told, British policy in the war killed 48,000 civilians. That’s 18,000 more than the number of soldiers lost on both sides.

9Aden’s Torture Centers

02
The Aden Emergency was a 1960s scramble to control the once-vital port of Aden in modern Yemen. Although the port had long been under British rule, a nationalist wave sweeping Yemen led to strikes, riots, and a general desire that the Brits leave as soon as possible. A desire the British decided to quell by opening torture centers.
Harsh and brutal, these centers housed the sort of horrors that would make Kim Jong-Un feel ill. Detainees were stripped naked and kept in refrigerated cells, encouraging frostbite and pneumonia. Guards would stub their cigarettes out on prisoner’s skin and beatings were common. But perhaps worst of all was the sexual humiliation. Locals who had been detained could expect to have their genitals crushed by guards’ hands, or to be forced to sit naked on a metal pole; their weight forcing it into their anus.
By 1966, an Amnesty report on these abuses had caused global outrage. Faced with international condemnation, the British apologized. They then kept right on using the torture centers for another full year.

8The Chinese “Resettlement”

03
Photo credit: L joo
In 1950, the Empire had a problem. Armed Communist insurgents were trying to take over Malay and most of the population seemed willing to let them do so. Reasoning that their forces stood no chance against a hidden army that could call upon the peasants for supplies, the British hit upon an ingenious solution. Rather than fight, they’d simply imprison all the peasants.
Known as “New Villages,” the camps constructed to house Malay’s poor were heavily fortified and watched over by trigger-happy guards. Inmates were forced to do hard labor in return for scraps of food, and contact with the outside world—including family—was forbidden. Once in a village, you lost all right to freedom and privacy. At night, harsh floodlights flushed out the shadows to stop clandestine meetings. Expressing any political sentiment could get your rations docked.
But perhaps most uncomfortable of all was the racist nature of the camps. Of the 500,000 people detained during the decade-long Emergency, only a handful were anything other than ethnic Chinese. Outside the barbed wire walls, another half a million Chinese were meanwhile being deported, sent into exile, or forced from their homes. In short. it was a racist policy that harmed nearly a million people, all so the British could cut off supplies to a handful of rebels.

7The Amritsar Massacre

04
On April 13, 1919, thousands of peaceful protesters defied a government order and demonstrated against British rule in Amritsar, India. Men, women, and children all descended on the walled Jallianwala Gardens, hoping to make their voices heard. What happened next was one of the lowest points in British history.
At 4.30pm, troops blocked the exits to the Garden and opened fire on the crowd. They kept firing until they ran out of ammunition. In the space of ten minutes, they killed between 379 and 1,000 protesters and injured another 1,100. A stampede caused a lethal crush by the blocked exits. Over 100 women and children who looked for safety in a well drowned. Rifle fire tore the rest to shreds.
When the news reached London, Parliament was so shocked it recalled the man who ordered the massacre, Brigadier Reginald Dyer. In a depressing twist of fate, the British public labeled him a hero and raised £26,000 (around $900,000 in today’s money) for “the man who saved India.” He died peacefully, convinced right to the end that his mindless slaughter had been morally justifiable.

6The Cyprus Internment

05
The big myth of the British Empire is that it nobly withdrew from its colonies when it realized the days of Imperialism were over. Yet one look at Cyprus proves the myth to be just a feel-good fairy tale. Between 1955 and 1959, the British responded to a Cyrpus rebel bombing campaign by rounding up and torturing 3,000 ordinary Cypriots.
The victims of this internment campaign were often held for years without trial and violently abused for being “suspected” terrorists. Detainees received regular beatings, waterboarding, and summary executions. Children as young as 15 had burning hot peppers rubbed in their eyeballs, while others reported being flogged with whips embedded with shards of iron. Those found guilty of rebel sympathies were relocated to London, where a UK opposition party inspection found inmates with their arms broken and jagged scars running across their necks. In short, it was an appallingly sadistic policy, one that showed the British to be even lower than the terrorists they were meant to be fighting.

5Crushing The Iraqi Revolution

06
In 1920, the newly-formed nation of Iraq was tiring of British rule. Charged with guiding the new state towards independence, the Empire had instead installed puppet leaders. turning the place into a de facto colony. Fed up with their imperial overlords, the Iraqis turned to revolution, only for the British to unleash wave after wave of atrocities against them.
First the RAF conducted nighttime bombing raids on civilian targets. Then they deployed chemical weapons against the fighters, gassing whole groups of them. But the real horrors came in the aftermath, when the victorious British decided to use collective punishment against the offending tribes.
From that point on, any tribe that caused a fuss would have one of its villages randomly annihilated. Specific orders were given to exterminate every living thing within its walls, from animals to rebels to children. Other villages were subject to random searches. If the British found a single weapon, they would burn the place to the ground, destroy the crops, poison wells, and kill livestock. They’d sometimes target weddings to terrorize the population. In short, the British deliberately targeted civilians in a campaign that lasted the better part of half a decade, all because a few Iraqis had dared to ask for their country back.

4The Partitioning Of India

07
As a servant of the British Empire in 1947, Cyril Radcliffe has the distinction of killing more people with the stroke of a pen than anyone else in history. With almost zero time to prepare himself, Radcliffe was tasked with drawing the border between India and newly-created Pakistan that would split the subcontinent forever along religious lines. It was a tricky task, one that had the potential to cause massive displacement and ethnic violence even if handled carefully. Radcliffe, on the other hand, was asked to make some of the most-important decisions during the course of a single lunch.
The result was a border that made no ethnic or geographical sense. Terrified of being caught on the wrong side, Hindus in modern Pakistan and Muslims in modern India upped sticks and ran. The result was 30 million people trying desperately to escape one country or the other, a situation that quickly spiraled into mind-numbing violence.
Gangs of armed Muslims held up border trains and slaughtered any non-Muslims onboard. Hindu mobs chased and battered Muslim children to death in broad daylight. Houses were ransacked, villages burnt, and half a million people killed. It was a ridiculous waste of life, one that could have been largely avoided simply by giving the unfortunate Cyril Radcliffe enough time to do his job properly.

3Exacerbating The Irish Famine

08
If you want to see why large parts of Ireland still despise anything remotely British, look no further than the Irish Famine. What started out as an ordinary if brutal famine soon became something more like genocide when London sent the psychopathic Charles Trevelyan to oversee relief work.
A proud Christian who believed the famine was God’s way of punishing the “lazy” Irish, Trevelyan was also a fierce devotee of Adam Smith. How fierce? Well, he passionately felt that government should never, ever interfere with market forces, to the extent that he refused to hand out food to the starving Irish. Instead, he instituted a public works program that forced dying people into hard labor building pointless roads so they could afford to buy grain. The only problem was he refused to control the price of grain, with the result that it skyrocketed beyond what the road builders could afford. Trevelyan thought this would encourage cheap imports. Instead it led to a million people starving to death.
To cap it all off, Trevelyan also launched a PR blitz in Britain that encouraged people to blame the Irish for their own poverty. Suddenly Irish emigrants looking for work found themselves unemployable and subject to violence, even as their friends and families starved to death back home. Because fate laughs in the face of justice, Trevelyan was later officially honored for his “relief work.”

2The Kenyan Camps

09
Photo credit: La Salle University
In the 1950s, the people of Kenya decided they wanted their nation back. Unfortunately, the people they wanted it back from just happened to be the same guys responsible for every other atrocity on this list. Fearing a countrywide rebellion, the British rounded up 1.5 million people and placed them in concentration camps. What happened in these camps will turn your stomach.
Under slogans like “labor and freedom” and other variations on ” Arbeit macht frei,” inmates were worked to death as slave labor filling in mass graves. Random executions were not-uncommon and the use of torture was widespread. Men were anally raped with knives. Women had their breasts mutilated and cut off. Eyes were gouged out and ears cut off and skin lacerated with coiled barbed wire. People were castrated with pliers then sodomized by guards. Interrogation involved stuffing a detainee’s mouth with mud and stamping on his throat until he passed out or died. Survivors were sometimes burned alive.
The official body count is under 2,000, but more reliable estimates place the total dead in the tens or hundreds of thousands. Most of them were civilians or children, detained on vague, trumped-up charges of aiding the rebels. And it was all for nothing. Kenya was declared independent in 1963. In using those camps, the British lost both their African outpost and their souls.

1The Bengal Famine

10
In 1943, a deadly famine swept the Bengal region of modern East India and Bangladesh. Between one and three million people died in a tragedy that was completely preventable. At the time, the extent of suffering was put down to an incompetent British government too busy dealing with a war to look after its empire properly. But in 2010 a new book came out claiming the lack of famine relief was deliberate and that the deaths of those millions had been intentionally engineered by one man: Winston Churchill.
According to the book, Churchill refused to divert supplies away from already well-supplied British troops, saying the war effort wouldn’t allow it. This in itself wouldn’t be too damning, but at the same time he allegedly blocked American and Canadian ships from delivering aid to India either. Nor would he allow the Indians to help themselves: the colonial government forbade the country from using its own ships or currency reserves to help the starving masses. Meanwhile, London pushed up the price of grain with hugely inflated purchases, making it unaffordable for the dying and destitute. Most-chillingly of all, when the government of Delhi telegrammed to tell him people were dying, Churchill allegedly only replied to ask why Gandhi hadn’t died yet.
If all this is true—and documents support it—then Winston Churchill, the British war hero who stood up to the Nazis, may well have starved to death as many innocent people as Stalin did in the Ukrainian genocide. Could the man who held out against Hitler really be capable of such an atrocity? Judging by the rest of this list, it wouldn’t be surprising. 
http://listverse.com/2014/02/04/10-evil-crimes-of-the-british-empire/

30 Things to Stop Doing to Yourself. #10 Is An Absolute Must.

$
0
0

Marc and Angel, two passionate writers, life-hackers and “admirers of the human spirit,” have come up with an amazing list of 30 things to stop doing to yourself. If you like their list, make sure you check out their site and sign up to their amazing newsletter.
#1. Stop spending time with the wrong people. – Life is too short to spend time with people who suck the happiness out of you.  If someone wants you in their life, they’ll make room for you.  You shouldn’t have to fight for a spot.  Never, ever insist yourself to someone who continuously overlooks your worth.  And remember, it’s not the people that stand by your side when you’re at your best, but the ones who stand beside you when you’re at your worst that are your true friends.
#2. Stop running from your problems. – Face them head on.  No, it won’t be easy.  There is no person in the world capable of flawlessly handling every punch thrown at them.  We aren’t supposed to be able to instantly solve problems.  That’s not how we’re made.  In fact, we’re made to get upset, sad, hurt, stumble and fall.  Because that’s the whole purpose of living – to face problems, learn, adapt, and solve them over the course of time.  This is what ultimately molds us into the person we become.

gvFK22m

#3. Stop lying to yourself. – You can lie to anyone else in the world, but you can’t lie to yourself.  Our lives improve only when we take chances, and the first and most difficult chance we can take is to be honest with ourselves.
#4. Stop putting your own needs on the back burner. – The most painful thing is losing yourself in the process of loving someone too much, and forgetting that you are special too.  Yes, help others; but help yourself too.  If there was ever a moment to follow your passion and do something that matters to you, that moment is now.
pinterest
pinterest
#5. Stop trying to be someone you’re not. – One of the greatest challenges in life is being yourself in a world that’s trying to make you like everyone else.  Someone will always be prettier, someone will always be smarter, someone will always be younger, but they will never be you.  Don’t change so people will like you.  Be yourself and the right people will love the real you.
dzzFJz1

#6. Stop trying to hold onto the past. – You can’t start the next chapter of your life if you keep re-reading your last one.
Max Rossi / Reuters
Max Rossi / Reuters
#7. Stop being scared to make a mistake. – Doing something and getting it wrong is at least ten times more productive than doing nothing.  Every success has a trail of failures behind it, and every failure is leading towards success.  You end up regretting the things you did NOT do far more than the things you did.
funny_dog_make_a_mess_1014

#8. Stop berating yourself for old mistakes. – We may love the wrong person and cry about the wrong things, but no matter how things go wrong, one thing is for sure, mistakes help us find the person and things that are right for us.  We all make mistakes, have struggles, and even regret things in our past.  But you are not your mistakes, you are not your struggles, and you are here NOW with the power to shape your day and your future.  Every single thing that has ever happened in your life is preparing you for a moment that is yet to come.
maxresdefault

#9. Stop trying to buy happiness. – Many of the things we desire are expensive.  But the truth is, the things that really satisfy us are totally free – love, laughter and working on our passions.
402f7d9f0b7641d517b28962e3218719

#10. Stop exclusively looking to others for happiness. – If you’re not happy with who you are on the inside, you won’t be happy in a long-term relationship with anyone else either.  You have to create stability in your own life first before you can share it with someone else.
#11. Stop being idle. – Don’t think too much or you’ll create a problem that wasn’t even there in the first place.  Evaluate situations and take decisive action.  You cannot change what you refuse to confront.  Making progress involves risk.  Period!  You can’t make it to second base with your foot on first.
#12. Stop thinking you’re not ready. – Nobody ever feels 100% ready when an opportunity arises.  Because most great opportunities in life force us to grow beyond our comfort zones, which means we won’t feel totally comfortable at first.
#13. Stop getting involved in relationships for the wrong reasons. – Relationships must be chosen wisely.  It’s better to be alone than to be in bad company.  There’s no need to rush.  If something is meant to be, it will happen – in the right time, with the right person, and for the best reason. Fall in love when you’re ready, not when you’re lonely.
#14. Stop rejecting new relationships just because old ones didn’t work. – In life you’ll realize that there is a purpose for everyone you meet.  Some will test you, some will use you and some will teach you.  But most importantly, some will bring out the best in you.
7-inspiring-photograph-love

#15. Stop trying to compete against everyone else. – Don’t worry about what others are doing better than you.  Concentrate on beating your own records every day.  Success is a battle between YOU and YOURSELF only.
#16. Stop being jealous of others. – Jealousy is the art of counting someone else’s blessings instead of your own.  Ask yourself this:  “What’s something I have that everyone wants?”
Stuface
Stuface
#17. Stop complaining and feeling sorry for yourself. – Life’s curveballs are thrown for a reason – to shift your path in a direction that is meant for you.  You may not see or understand everything the moment it happens, and it may be tough.  But reflect back on those negative curveballs thrown at you in the past.  You’ll often see that eventually they led you to a better place, person, state of mind, or situation.  So smile!  Let everyone know that today you are a lot stronger than you were yesterday, and you will be.
#18. Stop holding grudges. – Don’t live your life with hate in your heart.  You will end up hurting yourself more than the people you hate.  Forgiveness is not saying, “What you did to me is okay.”  It is saying, “I’m not going to let what you did to me ruin my happiness forever.”  Forgiveness is the answer… let go, find peace, liberate yourself!  And remember, forgiveness is not just for other people, it’s for you too.  If you must, forgive yourself, move on and try to do better next time.
#19. Stop letting others bring you down to their level. – Refuse to lower your standards to accommodate those who refuse to raise theirs.
76xv4wd

#20. Stop wasting time explaining yourself to others. – Your friends don’t need it and your enemies won’t believe it anyway.  Just do what you know in your heart is right.
#21. Stop doing the same things over and over without taking a break.– The time to take a deep breath is when you don’t have time for it.  If you keep doing what you’re doing, you’ll keep getting what you’re getting.  Sometimes you need to distance yourself to see things clearly.
#22. Stop overlooking the beauty of small moments. – Enjoy the little things, because one day you may look back and discover they were the big things.  The best portion of your life will be the small, nameless moments you spend smiling with someone who matters to you.
#23. Stop trying to make things perfect. – The real world doesn’t reward perfectionists, it rewards people who get things done.
#24. Stop following the path of least resistance. – Life is not easy, especially when you plan on achieving something worthwhile.  Don’t take the easy way out.  Do something extraordinary.
ba2ec232f32be8f724cc13e9921edc03

#25. Stop acting like everything is fine if it isn’t. – It’s okay to fall apart for a little while.  You don’t always have to pretend to be strong, and there is no need to constantly prove that everything is going well.  You shouldn’t be concerned with what other people are thinking either – cry if you need to – it’s healthy to shed your tears.  The sooner you do, the sooner you will be able to smile again.
#26. Stop blaming others for your troubles. – The extent to which you can achieve your dreams depends on the extent to which you take responsibility for your life.  When you blame others for what you’re going through, you deny responsibility – you give others power over that part of your life.
#27. Stop trying to be everything to everyone. – Doing so is impossible, and trying will only burn you out.  But making one person smile CAN change the world.  Maybe not the whole world, but their world.  So narrow your focus.
#28. Stop worrying so much. – Worry will not strip tomorrow of its burdens, it will strip today of its joy.  One way to check if something is worth mulling over is to ask yourself this question: “Will this matter in one year’s time?  Three years?  Five years?”  If not, then it’s not worth worrying about.
#29. Stop focusing on what you don’t want to happen. – Focus on what you do want to happen.  Positive thinking is at the forefront of every great success story.  If you awake every morning with the thought that something wonderful will happen in your life today, and you pay close attention, you’ll often find that you’re right.
#30. Stop being ungrateful. – No matter how good or bad you have it, wake up each day thankful for your life.  Someone somewhere else is desperately fighting for theirs.  Instead of thinking about what you’re missing, try thinking about what you have that everyone else is missing.
33f180304110b9841cdbd4898d891297

This is such a beautiful list, and we all are guilty of some of these. The best thing to do is just remember each day to appreciate and reflect a bit, even if it's only a few minutes. Share this amazing list by clicking below. 
http://www.lifebuzz.com/just-stop/#!USLqL

বিদ্যুতের খাম্বা কিনতে লুটপাট

$
0
0
অবিশ্বাস্য দামে কেনা হচ্ছে কাঠ ও সিমেন্টের (এসপিসি পোল) তৈরী খাম্বা। প্রতিটি এসপিসি পোল ১৯ হাজার ৪২০ টাকায় আর কাঠের খাম্বা ১৮ হাজার ৯০৩ টাকায় কেনা হচ্ছে। এমন বেশি দামে খাম্বা কিনতে গিয়ে কোটি কোটি টাকার লুটপাট শুরু হয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পবিবো)-এ। চলছে ঠিকাদারদের সুবিধামতো টেন্ডার প্রক্রিয়া। কাঠ ও সিমেন্টের খাম্বা কিনতে এসব টেন্ডারে ঘুরেফিরে কয়েকটি মুখচেনা কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। তারা দর উল্লেখ করছে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে অনেক বেশি। এরপরও প্রস্তাবগুলো পার করে দিচ্ছে খাম্বা কেনা সংক্রান্ত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। কোন কিছুতেই যেন সমস্যা হচ্ছে না। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সব কিছু ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। গত ১৫ই জুন দুই লাখ ৪১ হাজার ৭১০টি খাম্বা কেনার প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। 


গতকাল দুইটায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাম্বা কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ওঠে। এখন প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করিয়ে নেয়ার জন্য রিহার্সেল শুরু হয়েছে। পবিবো সূত্রে জানা গেছে, এসপিসি পোল কেনার দরপত্রে মেসার্স কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড এবং মেসার্স কনটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেড মূল দরপত্রদাতা থেকে অন্য আরও তিনটি কোম্পানিকে সহযোগী হিসেবে রেখেছে। এসপিসি পোল কেনার সবগুলো দরপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সাব-প্যাকেজ নং ৪৮-১১৩-এর দরপত্রে ৩২ হাজার ২৫০টি পোল কিনতে ৬২ কোটি ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে মেসার্স কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড। এ দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা ছাড়া মেসার্স চরকা এসপিসি পোলস লিমিটেড এবং মেসার্স ক্যাসেল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড অংশ নেয়। সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতার পার্থক্য খুব বেশি নয়। এছাড়া, এ প্যাকেজে প্রাক্কলিত দরের সঙ্গে সর্বনিম্ন দরদাতার পার্থক্য ১০ কোটি টাকার বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমঝোতার মাধ্যমে দর উল্লেখ না করলে এত বেশি দাম হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে প্যাকেজ নং ৪৮-১১৪ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ দরপত্রেও মেসার্স কনটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, মেসার্স কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড এবং মেসার্স রয়েল গ্রীন প্রোডাক্টস লিমিটেড অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ২৫০টি এসপিসি পোল কেনার জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে মেসার্স কনটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। তারা দর দিয়েছে ৬২ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা। এসব দরপত্রে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর দরও কাছাকাছি। সর্বনিম্ন দরদাতা কোম্পানি প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১৮ দশমিক ৭৪ ভাগ বেশি দর দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাক্কলিত দরের সঙ্গে তাদের দামের পার্থক্য ১০ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি। 

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কাঠের খাম্বা কেনার দরপত্রে অংশ নেয় মাত্র একটি কোম্পানি। ১২,৬৫০টি খাম্বা কিনতে মেসার্স নরডিক উডস লিমিটেড ২৫ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দর দিয়েছে। তাদের দাম প্রাক্কলিত দরের চেয়ে তিন কোটি টাকা বেশি অর্থাৎ শতকরা ৭ দশমিক ৯১ ভাগ। এ দরপত্র নিয়েও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নানা কথা চালু রয়েছে। অন্যদিকে আলাদা কয়েকটি দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬০টি এসপিসি পোল কেনা হচ্ছে। এসব পোল কেনা নিয়েও নানা কথা রয়েছে। ওদিকে পল্লী এলাকায় ১৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে জিওবি অর্থায়নে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ২০১২ সালের ৩১শে জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয় ২০১৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ৪৫৩টি উপজেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, নতুন ৩৩ কেভি লাইন নির্মাণ, বিদ্যমান লাইনের নবায়ন বা পুনর্বাসন, নতুন ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন নির্মাণ, পুরনো ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো, পূর্ত নির্মাণ কাজ এবং ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় করা হচ্ছে ডিপিপিতে উল্লেখ করা অর্থ। পবিবো সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৩৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৩০ কোটি টাকা দিয়ে মালামাল কেনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অর্থের মধ্যে বেশির ভাগ অর্থেরই অপচয় হচ্ছে। খুব একটা কাজ হচ্ছে না।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=+MjkxNjc%3D&s=Mw%3D%3D

ট্রাইব্যুনালে নতুন কেলেঙ্কারী

$
0
0
ঢাকা: ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের মধ্যকার পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ এখনো চলমান। ঠিক সেই মুহূর্তে নতুন বিতর্কের জন্ম নিল। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার মাঝেও রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌশলী ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজের নিজস্ব কম্পিউটার থেকে মানবতাবিরোধী মামলার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত খোয়া গেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
এমনকি এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রুমটি সাময়িক সময়ের জন্য সিলগালা করে দেন।

রোববার দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটি শেষে ট্রাইব্যুনালে যোগদানের পর দুপুরে নিজ কক্ষে অবস্থানকালে এ বিষয়টি প্রথম তুরিন আফরোজের নজরে আসে।


ঘটনার সত্যতার বিষয়ে ড. তুরিন আফরোজ বাংলামেইলকে বলেন, ‘ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে দুপুরে ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব কক্ষে প্রবেশ করি। উদ্দেশ্য ছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে দুটি সাবমিশন তৈরি করবো। কিন্তু সিটে বসতে গিয়ে টেবিলের সবকিছু ওলট-পালট অবস্থায় দেখতে পাই। দেখি কম্পিউটারের লাইন জানালার বাইরে ঝোলানো। কম্পিউটারের সিপিইউ থেকে মনিটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন। পরে একজন সহকারীকে দিয়ে কম্পিউটার খুলে এর মধ্যে থাকা র‌্যাম, হার্ডডিস্ক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পাই।’

তুরিন আফরোজ আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছি এর মধ্যে থেকে হয়তোবা কোনো তথ্য সরানো হতে পারে। তাই শাহবাগ থানায় একটি জিডি করে রেখেছি। পুলিশ আইটি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে আগামীকাল সোমবার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’

উল্লেখ্য, বেশকিছু দিন ধরে ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে পরস্পর বিরোধ চলে আসছে। এছাড়াও বিদেশি আইনজীবীদের সঙ্গে স্কাইপ কথোপকথোন ফাঁস ও সালাউদ্দিন চৌধুরীর রায়ের কপি ফাঁস নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এছাড়াও ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পান প্রসিকিউটর হায়দার আলী। তবে গত কয়েকদিন ধরে তিনিও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDE0XzA2XzIyLTc1LTk3MDc0

এবার টয়লেট দখল করলেন ছাত্রলীগ সভাপতি!

$
0
0
24 Jun, 2014

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই টয়লেটটি দখল করে ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান বসিয়েছেন ছাত্রলীগ 

পরিবহনে চাঁদাবাজি, বার্গার হাউসে ফাও খাওয়া নিয়ে মারামারি, দলীয় কর্মীর হাতে চড় খাওয়ার মতো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পর এবার টয়লেট দখলের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। দখলের পর টয়লেটটিতে ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার আন্দোলনের সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সমবায় ব্যাংকের ওই জায়গাসহ টয়লেটটি দখল করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে ওই জায়গাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক কর্মচারী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি শুরুর পর ১৬ জুন রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম তাঁর লোক দিয়ে টিএসসির টয়লেট পরিষ্কার করে অনুমোদনহীন বিদ্যুতের লাইন টেনে সেখানে ফটোকপি ও স্টেশনারির দোকান বসিয়েছেন। ছুটি শেষে ২২ জুন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে বিষয়টি দেখতে পান। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা হলের দাবিতে আন্দোলনের সময় এ ফাঁকা জায়গাটি দখল করেছিলাম। এখন দেখি সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের ব্যবসা চলছে। তাহলে কি তাঁরা ব্যবসার জন্যই আমাদের সঙ্গে হল আন্দোলনে নেমেছিলেন?'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমরা ওই জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে নিয়েছি। কিন্তু ওই স্থানে থাকা একটি টয়লেটে ফটোকপির দোকান দিয়েছেন শরীফুল ইসলাম ও তাঁর পক্ষের কয়েকজন কর্মী।'

টয়লেট দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম বলেন, 'জায়গাটি আমি দখল করিনি, অন্য কেউ দখল করে আমার নামে অপপ্রচারণা চালাচ্ছে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসার কামাল হোসেন সরকার বলেন, সমবায় ব্যাংকের ওই জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে কারা জমিটিতে ব্যবসা করছে, তিনি তা জানেন না বলে দাবি করেন।
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/82376

শাঁখারী বাজারে মন্দির দখল করলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

$
0
0
03 Jul, 2014
হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণের সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভয় দেখিয়ে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে একটি সম্পত্তিসহ মন্দির দখলের অভিযোগ উঠেছে সরকার সমর্থক সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দলীয় প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে ইতিমধ্যে ওই ভবনটির ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করেছেন ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ (দক্ষিণ) এর সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস।

শাঁখারী বাজার এলাকার ১৪ নম্বর ভবনটির ২য় তলায় ‘শ্রী শ্রী কালা চাঁদ দেবের’ একটি মন্দির রয়েছে। ভবনের অন্যান্য অংশে বাস করছেন অন্তত ১০টি পরিবার।

শাঁখারী বাজারের ১৪২ টি সংরক্ষিত (হেরিটেজ) ভবনের মধ্যে রয়েছে ১৪ নম্বর ভবনটিও, যেগুলো ইতিমধ্যে সরকারি গ্যাজেটভুক্ত হয়েছে।

মন্দিরের পুরোহিত বিজয় ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই মন্দিরটি দেবোত্তর সম্পত্তি। আমরা কয়েক পুরুষ ধরে এই মন্দিরে পূজা দিয়ে আসছি। আমার বাবা পুরোহিত ছিলেন, এরপর আমার দাদা (ভাই) আর এখন আমি পূজা দেই।

“দেবাশীষদা বেশ কয়েকদিন ধরে আমাকে নক করছেন। পরে আমাকে না পেয়ে আমার বড় ভাইকে গত সোমবার ডেকে নিয়ে যান। তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছাড়তে বলে এবং তার হাতে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়।”

বিজয় বলেন, “তিনি (দেবাশীষ) এলাকায় অনেক প্রভাবশালী, তার সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।”

যে পরিবারগুলো এতদিন ভবনটিতে থেকে আসছিলেন তাদের সবাইকে ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান বিজয়।

“এখন আমাদের পরিবার সহ ৩টি পরিবার এ ভবনটিতে থাকছে। কিন্তু আমরাও কতদিন থাকতে পারবো তা জানি না।”

শাঁখারী বাজারকে প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০০৯ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ২০ কোটি টাকায় একটি প্রকল্প চালু হয়। এর আওতায় শাঁখারী বাজারের ঝুকিপূর্ণ ভবনগুলোর সংস্কার এবং পয়নিষ্কাশনসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করার কথা ছিলো। কিন্তু তা আর হয়নি।

শাঁখারী বাজার এলাকার আরো কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারাও অভিযোগ করেন দেবাশীষের বিরুদ্ধে।

তবে এদের কেউই ভয়ে নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে চান নি।

এলাকার এক প্রবীণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি যতটুকু জানি এটি একটি হেরিটেজ। প্রায় ৫ বছর আগে একবার এটি ভাঙ্গার কথা হয়েছিলো। কিছু অংশ ভেঙ্গেও ফেলা হয়, সেসময় সরকার পুরো এলাকাকে হেরিটেজ ঘোষণা করায় তা বন্ধ হয়ে যায়।

“গত কয়েকদিন ধরে আবারও এ ভবনটি ভাঙ্গার একটি চক্রান্ত হচ্ছে যার সাথে একজন সরকার সমর্থক নেতা জড়িত। ভবনের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে ভয় ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। এখন পুরোহিত সহ দুটি পরিবার রয়েছে। তাদেরকেও ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।”

ওই প্রবীণের কাছে জানা যায়, জানকী দেবী নামে একজন ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ সালের দিকে এ ভবনটি মন্দিরের নামে উইল করে যান। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় জানকী দেবীর পুরো পরিবার ভারতে চলে যায়।

“তার পরিবারের কেউই এখানে থাকে না। জানকী দেবীর উইল অনুসারে এটি মন্দিরের সম্পত্তি। এটি সংস্কার করা যাবে, তবে ভাঙা যাবে না।”

শাঁখারী বাজারের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অজয় কুমান নন্দী বলেন, “আমরা যতোদূর জানি যারা ডেভেলপার তারা রাজউকের অনুমতি নিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে চাইছে।”

রাজউক কোন ভবন ভাঙার অনুমতি দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “না, এ ধরনের কোন অনুমতি রাজউক দেয় নি। শাঁখারী বাজার পুরো এলাকাটি হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। আইন অনুসারে এ এলাকার কোন ভবন ভাঙা যাবে না। তবে রাজউকের অনুমতি নিয়ে মূল নকশা ঠিক রেখে সংস্কার করা যাবে।”

কোন ভবন ভাঙা হলে সেটি শাস্তিমুলক অপরাধ বলে জানান তিনি।

“ভবনটি ভাঙার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে এটি শোনার পরে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তেমন কিছু চোখে পড়ে নি। এ ভবনগুলো এমনিতেই অনেক ঝুকিপূর্ণ। তারপরেও যেহতু সরকার এগুলোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি যেন কোন ভবন ভাঙা না হয়।”

ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “এটা কোন দেবোত্তর সম্পত্তি না। বিশ্বজীত দত্ত ভুলুর পারিবারিক সম্পত্তি সেটি তার পরিবার ডেভেলপারকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শুনেছি। এখানে অন্য কারো আপত্তি থাকার কথা না। আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সত্যি না। আমি কেন এগুলো করতে যাবো।”

শাঁখারী বাজার এলাকা হেরিটেজভুক্ত হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ভাই আমরা তো সমাজ নিয়ে চলি, সমাজের সকলে মিলে যে সিদ্ধান্ত নেয় তা পালনের চেষ্টা করি। আমরা এ এলাকায় কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করি, আমাদের সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ আশ্বস্ত করেছেন সংস্কৃতি মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন।”

১৪ নম্বর ভবনটিকে রক্ষা করতে বৃহস্পতিবার গৃহায়ণ মন্ত্রনালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়, রাজউক, প্রত্নতত্ব বিভাগ, ঢাকা জেলা প্রসাশক এবং পুলিশ কমিশনারকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে আরবান স্টাডি গ্রুপ (ইউএসজি) নামে একটি বেসরকারী সংস্থা।

ইউএসজি এর প্রধান নির্বাহী তৈমুর আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি তারা যেন এ এলাকাটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। প্রত্নতত্ব এবং স্থাপত্য বিষয়ে এলাকাটির একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে, এজন্যই এটিকে সংরক্ষণ করা উচিত।”

“আমরা সরকারকে বলেছিলাম যেন লাইভলিহুড বজায় রেখে এ অঞ্চলে সংস্কার চালানো হয়। কিন্তু সরকারের দীর্ঘসূত্রতায় অনেক জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।”

রাজধানী ঢাকার প্রায় ৪শ’ বছরের পুরনো এ এলাকার নামটি এসেছে শাঁখারীদের পেশা থেকে। শাঁখারীরা বংশগতভাবে শাঁখা তৈরির কাজে নিয়োজিত। শাঁখা, সিঁদুর থেকে শুরু করে পূজার যে কোনো সামগ্রী পাওয়া যায় এ বাজারে। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার হিন্দু বসবাস করছেন শাঁখারী বাজারে।
উৎসঃ   বিডিনিউজ২৪
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/83486

যুদ্ধকালে আওয়ামীলীগ নেতাদের শরনার্থী জীবনের যত কীর্তি….

$
0
0
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হামলার মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতা অনিবর্তনীয় হয়ে ওঠে। রাত বারোটার পরে ঢাকায় যখন চলছিল স্বেচ্ছা-আত্মসমর্পন পর্ব, ঠিক প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে গর্জে ওঠে- “উই রিভোল্ট!” স্বাধীন বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়ে জন্মযুদ্ধে, যার ডাক আসে কালুরঘাট বেতার থেকে। মেজর জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে মরনপণ লড়াইয়ে সামিল হয় বাঙ্গালি সেনা, পুলিশ, রাইফেলসের ১১ হাজার যোদ্ধা।

২৫ মার্চ সন্ধার পর থেকে আওয়ামীলীগের নেতারা ভিড় করতে থাকেন শেখ মুজিবের ৩২ ধানমন্ডির বাড়িতে। দলীয় সাধারন সম্পাদক তাজউদ্দীন মুজিবের কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করার উদ্দেশ্যে টেপরেকর্ডার নিয়ে গেলে “রাষ্ট্রদ্রোহিতার ভয়ে” মুজিব ফিরিয়ে দেন, বরং তাজউদ্দীনকে “নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে” নির্দেশ দেন (আহমদ, শারমিন, ২০১৪,‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’)। দলীয় নেতাদের নিরাপদে সরে পড়ার নির্দেশ দিয়ে সকল পরমার্শ অগ্রাহ্য করে মুজিব স্বেচ্ছায় ধরা দেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন, যদিও তার আগেই স্বেচ্ছাসেবক নেতা আবদুর রাজ্জাক মারফত তিনি আগাম জেনে যান ইয়াহিয়ার বাহিনীর আক্রমনের খবর। সার্বিক ধংসযজ্ঞের মুখে ২৭ মার্চ সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মুজিব সুটকেস গুছিয়ে গ্রেফতার হওয়ার অপেক্ষায় রইলেন নিজ বাসভবনে।


এরপরে মুজিব গ্রেফতার হলেন। “অপারেশন সার্চ লাইটে” বিরামহীন ৩৩ ঘন্টার হত্যাযজ্ঞের শিকার হয় হাজার হাজার বাঙ্গালি নরনারী। ঢাকার পিলখানা, রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুরানা ঢাকায়, এবং চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর ক্যান্টনমেন্টে বাঙালী পুলিশ, ইপিআর এবং ইবিআর-এর সৈন্যদের পাইকারীভাবে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী। আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক তাজউদ্দীন প্রথমে ঢাকার শহরতলীতে আত্মগোপন করলেও পরে বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করে আমিরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া হয়ে কোলকাতা গিয়ে হাজির হন ৩০ মার্চের সন্ধ্যায়। শেখ মুজিবের নির্দেশমত আওয়ামীলীগ দলীয় নেতারা শহর ছেড়ে গ্রামে এবং গ্রাম ছেড়ে ভারতের সীমানা অতিক্রম করে কোলকাতা, আগরতলা, শিলিগুড়ি বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। সারা দেশ থেকে মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করতে থাকে, ভারতের বিভিন্নস্থানে  শরনার্থী শিবিরে আশ্রিতের সংখ্যা অর্ধ কোটিতে ছড়িয়ে যায় কয়েক মাসের মধ্যে।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতে পুর্ববাংলার সেনা কর্মকর্তারা বাংলাদেশ রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখেন। এপ্রিলের ৪ তারিখে ভারতীয় সীমান্তঘেষা হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার  তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে যুদ্ধরত সেনা কমান্ডার কর্নেল রব্, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর সফিউল্লা, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর মমিন চৌধুরী এবং আরও কয়েকজন মিলিত হয়ে কর্নেল ওসমানীর নেতৃত্বে গঠন করেন “সম্মিলিত মুক্তিফৌজ।” অন্যদিকে ভারত সরকারের সাহায্য ও সমর্থন লাভের আশায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাজউদ্দীন সাক্ষাৎ করেন ৪ এপ্রিল। তাজউদ্দিনের ধারনা ছিল, শেখ মুজিব আগে থেকেই একটি আপদকালীন ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছেন, কিন্তু তার ধারনা কার্যত ভূল প্রমানিত হয়, এবং তাজউদ্দীনকে গোড়া থেকেই শুরু করতে হয়। ৮ এপ্রিল কোলকাতার ভবানীপুর এলাকার রাজেন্দ্র রোডের এক বাড়ীতে আওয়ামী ও যুবনেতাদের সভায় ভারত সরকারের সাথে বোঝাপড়া সম্পর্কে অবহিত করেন তাজউদ্দীন এবং একটি প্রবাসী সরকার গঠনের লক্ষে কাজ শুরু করেন। শুরুতেই তাজউদ্দীনের নেতৃত্ব ও কতৃত্ব নিয়ে শুরু হয় বাদানুবাদ ও নেতৃত্বের কোন্দল। শেখ মুজিবের ভাগ্নে শেখ মনি নিজেকে মুজিবের অনুপস্থিতিতে একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি দাবী করে তাজউদ্দীনের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেন, এবং চিত্ত সুতারের নেতৃত্বে ৪২ জন আওয়ামী লীগ ও যুব নেতা স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তাজউদ্দীনের সরকার গঠন ও বেতার বক্তৃতা বন্ধ করার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক আবেদন পাঠান। শুরু হলো দলাদলি। নির্বাচিত গণপরিষদের নেতারা বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় তাদের একত্র করা দূরুহ কাজ ছিল বটে। এ অবস্থায়, তাজউদ্দীন নিজেই বেড়িয়ে পড়েন তাদের খুঁজতে। ১১ এপ্রিল আগরতলায়  সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, আবদুল মান্নান, খোন্দকার মোশতাক আহমদ এবং কর্নেল ওসমানীসহ অন্যান্যদের সাথে ব্যাপক আলাপ আলোচনা করে প্রবাসী সরকারের অবয়ব তৈরী করে ঐদিনই আকাশবানী শিলিগুড়ি বেতারকেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দান করেন তাজউদ্দীন। ১৭ এপ্রিল প্রবাসী সরকার শপথ নেয় মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায়।

মে-জুন মাস থেকে শুরু হয় মুক্তিবাহিনী গঠনের কাজ। ন’মাস যুদ্ধকালে প্রায় লাখ খানেক মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং নেয়, এদের তাদের মধ্যে শতকরা ১ ভাগেরও কম ছিল শরনার্থী শিবিরের। জীবনের ভয়ে পালিয়ে আসা বেশীরভাগ শরনার্থী ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের, যাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই ছিল ট্রেনিং নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা সম্পন্ন। তাছাড়া শরনার্থী শিবিরে পরিবারের জন্য রেশন কার্ডের ভিত্তিতে কিছু খাদ্যদ্রব্য ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছিল বিধায় যুদ্ধে যাওয়ার তাড়না ছিল কম। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে থেকে নানা কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ও সাহসী যুব ও ছাত্ররা সীমান্ত পেরিয়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগদানের জন্য সচেষ্ট ছিল। সাহায্যের পরিবর্তে তাদের পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। চেষ্টা চরিত্র করে আওয়ামীলীগ দলীয় সনদ জোগাড় হলেও স্বাধীনতা সংগ্রামে আগ্রহী ছাত্র-যুবকদের নিয়োগে আওয়ামীলীগ নেতাদের মারাত্মক স্বজনপ্রীতি বাহিনী গঠনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। আওয়ামীলীগের বাইরের নানা দল ও মতের ছাত্র-যুবকদের মুক্তি বাহিনীতে নিয়োগে বাধা দেয়া ও নিরুৎসাহিত করা হতো। সেপ্টেম্বরে নাগদ রিক্রুটিং-এর ক্ষেত্রে দলীয় বৈষম্যের নীতি অনেকখানি হ্রাস পেলেও মুক্তিযোদ্ধাদের পর্যায়ে অবিশ্বাস, রেষারেষি ও দ্বন্দ্বের জের মূলত চলতেই থাকে (মঈদুল হাসান, ২০০৬)।

অপরদিকে শেখ মুজিবের ভাগিনা যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির (শেখ সেলিমের বড় ভাই) বাড়াবাড়িতে ভারতীয় জেনারেল উবানের তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় ’মুজিব বাহিনী’ বা বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)। এই বাহিনী না ছিল তাজউদ্দীন সরকারের নিয়ন্ত্রনে, না ছিল ওসমানীর অধীনে, এমনকি জেনারেল অরোরার কমান্ডেও ছিল না। এই রহস্যজনক এলিট বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল ছাত্রলীগের তিন জঙ্গি ছাত্রনেতা আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ ও সিরাজুল আলম খান এবং যুবলীগ নেতা শেখ মনি। হাসানুল হক ইনুর মত উগ্রপন্থী বামপন্থী নেতা ছিলেন মুজিব বাহিনীর রাজনৈতিক প্রশিক্ষকদের একজন। মুজিব বাহিনীর অনেকেই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে নামার সুযোগ পাননি। আবার স্বাধীনতার পর তাঁরাই পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়েছেন রক্ষীবাহিনী ও গণবাহিনীর আদলে। কার্যত মুজিব বাহিনীর জন্মই হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশকে বামদের হাত থেকে রক্ষার জন্য, তার অচিরেই তারা হত্যাকান্ডে জড়িয়ে পরে দেশ স্বাধীনের পরে (আহমদ ছফা)। ভারতের টেন্ডুয়ায় প্রায় দশ হাজার যুবকে মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, মুজিবের অনুপস্থিতিতে এ বাহিনীর সদস্যদের শেখ মনির প্রতি আনুগত্যের শপথ পড়ানো হতো। মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং, অস্ত্র এমনকি খাবারের যখন ছিল অভাব, তখন মুজিব বাহনীর অস্ত্র, টেনিং ও সুযোগসুবিধা ছিল উন্নতমানের। নিরন্তর মুজিব বাহিনী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের আনুগত্য পরিবর্তন করে তাদের বাহিনীতে যোগ দেবার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে, কোথাও কোথাও অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে এবং এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু কিছু সংঘর্ষও অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য গোড়া থেকেই ‘মুজিব বাহিনী’ প্রবাসী সরকার গঠনের তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে এসেছে যে, তারা এ সরকারকে স্বীকার করে না (মূলধারা ৭১)। শেখ মনি কেবল মুজিব বাহিনী বানিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না, বরং নিজের সম্পাদিত পত্রিকা সাপ্তাহিক “বাংলার বাণী’তে মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব হাইজ্যাক করে মুজিব বাহিনীর নামে খবর ছাপেন। এ ধরনের প্রোপাগান্ডায় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধনায়ক জেনারেল ওসমানী রুষ্ট হয়ে মুজিব বাহিনীর তৎপরতা বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনকে অনুরোধ করেন, অন্যথায় তিনি নিজেই পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছিলেন (মঈদুল হাসান)। যুদ্ধের মাঝামাঝি পর্বে মুক্তিযুদ্ধকে ‘জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে’ রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা লাভ ও বিজয় ত্বরান্বিত করতে প্রবাসী সরকার যখন পাঁচটি দলকে নিয়ে “জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি” গঠনে চেষ্টারত, তখন মুজিব বাহিনী ছিল প্রবাসী সরকার ভেঙ্গে দিয়ে যুব কমান্ডের কাছে কতৃত্ব আনয়নের লক্ষে উপদলীয় সংগ্রামে রত। শেখ মনির ‘মুজিব বাহিনী’ ছাড়াও খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ফরিদপুরের ৪০ জন জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের বিরুদ্ধে লিখিত অনাস্থা ঘোষণা করেন, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মণির নিকটাত্মীয় আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং শেখ আবদুল আজিজ। মূলত, প্রবাসী সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ মহলে তাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে জোর প্রচারণা শুরু হয় শেখ মনির নেতৃত্বে, এমনকি তাজউদ্দীনকে প্রাণনাশের চেষ্টাও করা হয়। এসময় তারা প্রচার করতে থাকে ‘তাজউদ্দীনই বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার হওয়ার কারণ’,‘তাজউদ্দীন যতদিন প্রধানমন্ত্রী, ততদিন ভারতের পক্ষে বাংলাদেশের স্বীকৃতিদান অসম্ভব’, ‘তাজউদ্দীন ও মন্ত্রিসভা যতদিন ক্ষমতায় আসীন ততদিন বাংলাদেশের মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়’ (২১ ও ২৭শে অক্টোবর আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটির সভায় আবদুল মমিন তালুকদার, শামসুল হক, নুরুল হক, আবদুল মালেক উকিল ও আবদুল হান্নান প্রমুখ)। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের জন্য কোনো সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই, ভারতের সাথে এমন একটি গোপন চুক্তির প্রেক্ষিতে এই মুজিব বাহিনী হতেই পরবর্তীকালে গঠন হয় মুজিবের কুখ্যাত ’রক্ষী বাহিনী’, যাদের হাতে নিহত হয়েছিল হাজার হাজার যুবক।

একদিকে রণাঙ্গনে যখন চলছিল স্বাধীনতার যুদ্ধ, তখন অপরদিকে ভারতে আশ্রয় নেয়া আওয়ামীলীগের আরেকদল নেতৃবর্গ মুজিব-ইয়াহিয়ার মার্চ-এর আলোচনার সূত্র ধরে ”পাকিস্তান কনফেডারেশন” প্রস্তাবের ভিত্তিতে গোপনে সমঝোতার আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকে। আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা আবদুল মালেক উকিল অলি আহাদকে জানান যে, তিনি এই আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে আশাবাদী (জাতীয় রাজনীতি, পৃষ্ঠা ৪২৪)। যুদ্ধের মাঝামাঝি পর্বে ৭ই আগস্ট ইয়াহিয়ার সরকার শেখ মুজিব সহ আওয়ামী লীগের ৭৯ জনের নাম জাতীয় পরিষদের সদস্যপদ বাতিল করে (The Times, 11 October 1971), কিন্তু পরবর্তীতে লায়ালপুর কোর্টের ট্রায়াল ও মার্কিন কূটনীতির প্রভাবে  বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্যদের পূর্ববর্তী তালিকা ১০ই অক্টোবরে কিঞ্চিত পরিবর্তিত হয়, যাতে শেখ মুজিবের জাতীয় পরিষদ সদস্যপদ বহাল থাকে (International Herald Tribune, 1 November 1971), এমনকি শেখ মুজিবের পরিবারে জন্য ইয়াহিয়া সরকার মাসিক ১৫০০ রুপী (যার বর্তমান মূল্যমান ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) ভাতা চালু থাকে (অলি আহাদ, জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫)। এ ছাড়া আওয়ামীলীগ দলীয় ৮৮ জন জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যকে পিন্ডি থেকে বৈধ বলে আলাদা গেজেট জারী ইয়াহিয়ার সরকার। অর্থাৎ মুজিব এবং ৮৭ জন আওয়ামীলীগ সদস্য পাকিস্তানের জন্য নিরাপদ হিসাবে বিবেচিত! খবরে বলা হয়, বাকীদেরও পরিস্কার হওয়ার সুযোগ ছিল। বিষয়টি রহস্যজনক বৈ কি!

কোলকাতার ৫৮ বালিগঞ্জ বাড়িটি ছিল প্রবাসী সরকারের আবাসিক কার্যালয়। ওই ভবনেই বসবাস ও দাপ্তরিক কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলাম। প্রয়োজনের তুলনায় ছোট এ বাড়িটিতে সারাক্ষন “জয় বাংলা”র লোকের ভিড় লেগেই থাকত। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি, নেতা, আমলা, কর্মী, আত্মীয়স্বজন, আমত্য, চামচা সবার জন্য এ বাড়িটি ছিল অবারিত। ঢালাওভাবে ভাত-গোশত দিয়ে ভুড়ি ভোজ এমনকি নিশি যাপনেও কোনো কার্পণ্য ছিল না। অভ্যাগতদের প্রত্যেকের হাতে দেখা যেত একটা নতুন ব্রিফকেস কিংবা ছোট এট্যাচী, কোন কোন নেতার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। আহার নিদ্রা, এমনকি প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদনের সময়ও এসব ব্যাগ কাছছাড়া করতো না কেউ। এমন একটি ঘটনায় সেনা কর্মকর্তারা একজন অতিথির ব্রিফকেস পরীক্ষা করে ১২ লাখ পাকিস্তানী রুপী (বর্তমান মূল্য প্রায় ৪৩ কোটি টাকা) উদঘাটিত হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় কর্নেল ওসমানীর জেরার মুখে ভদ্রলোকটি টাকার কথা চেপে যান। পরে উদ্ধারকৃত বিপুল টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা করে দেয়া হয়। মূলত: দেশ ছাড়ার আগে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা পূর্ব বাংলার ব্যাংক ট্রেজারীগুলো সব উজাড় করে অর্থ ও সোনাদানা নিয়েই পাড়ি জমান ভারতবর্ষে। আহমদ ছফা এ জাতীয় আরেকটি ঘটনার কথা বর্ণনা করেন এভাবে, “এই সোনা তো বাংলাদেশের জনগনের সম্পত্তি।…যে তিনজন আমরা সোনা নিয়ে এসেছিলাম তারমধ্যে একজন এমপি’র আপন ছোট ভাই। আরেকজন স্থানীয় আওয়ামীলীগ প্রেসিডেন্টের শালা। তারা এখন কোথায় আছে কি করছে, কিছু জানিনে। অথচ এদিকে শুনতে পাচ্ছি সেই সোনা ইতোমধ্যে ভাগভাটোয়ারা হয়ে গেছে।.....সত্যিই তো এরকম একজন মানুষ দেড় মন সোনা বয়ে নিয়ে এসেছে শুনলে এখনকে বিশ্বাস করবে? (অলাতচক্র, পৃষ্ঠা ৬২)।

বিভিন্ন শরনার্থী শিবির পরিচালনার দায়িত্বে ভারত সরকারের লোকের পাশাপাশি আওয়ামী নেতারাও ছিলেন। এসব নেতাদের বেশীরভাগই পরিবার পরিজন সমেত বেশ আয়েশী জীবন যাপন করতেন। এমনকি অভিজাত দোকান, সুরিখানা ও নাইটক্লাবগুলো জয়বাংলার লোকে ছিল জমজমাট। তখন পশ্চিম বাংলায় “জয় বাংলা”র লোক মানেই বাড়তি খাতির। এ নিয়ে ৮নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল লিখেছেন,“আমি যখন তাদেরকে দেখেছি কোলকাতার অভিজাত এলাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে জমজমাট আড্ডায় ব্যস্ত। একাত্তরের সেই গভীর বর্ষায়ত দিনরাতে কোলকাতার অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে গিয়ে হাটুতক কাদা জলে ডোবান্ত মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং শিবিরগুলোতে অবস্থানরত হাজার হাজার তরুনের বেদনাহত চেহারাগুলো তারা একবারও দেখেছে কিনা তা আজও  আমার জানতে ইচ্ছা করে। আমার জানতে ইচ্ছে করে কোলকাতার পার্ক স্ট্রীটের অভিজাত নাইট ক্লাবগুলোতে ‘বীয়ার’ হুইসকি পানরত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মনোমুকুরে একবারও ভেসে উঠেছে কিনা সেই গুলিবিদ্ধ কিশোর কাজলের কথা যে মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত চীৎকার করে ঘোষণা করেছে ‘জয় বাংলা’। আমার জানতে ইচ্ছে করে আরো আরো অনেক কিছু। কিন্তু জানতে ইচ্ছে করলেই তো আর জানা যায় না।” কলকাতা ও আগরতলার নাইট ক্লাব ও বেশ্যালয়ে প্রবাসী নেতাদের অনেকেরই নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল। প্রবাসী সরকারের একজন মন্ত্রী সোনাগাছির বেশ্যালয়ে মারামারি করে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অবশেষে মুজিবনগর সরকারের কাছে হস্তান্তরিত হয়। আহমদ ছফা ঘটনাটিকে এভাবে বর্ণনা করেছেন, “যে সকল মানুষকে দেশে থাকতে শ্রদ্ধা করতাম, কলকাতায় অনেকের আচরণ দেখে সরল বাংলায় যাকে বলে কিংকর্তব্যবিমুঢ়- তাই হতে হচ্ছে। এখনও তোমরা স্যার ডাকছ তার বদলে শালা বললেও অবাক কিছু ছিল না। এখানকার একটা সাপ্তাহিক খবরটা ছেপেছে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী নাকি সোনাগাছিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জানেন তো স্যার, সোনাগাছি কি জন্য বিখ্যাত?…পুলিশ অফিসারের জেরার মুখে ভদ্রলোককে কবুল করতেই হল, তিনি ভারতে প্রবাসী সরকারের একজন মন্ত্রী। পুলিশ অফিসার তখন বললেন, তাহলে স্যারের গুডনেমটা বলতে হয়। মন্ত্রী বাহাদুর নিজের নাম প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভেরিফাই করে দেখে যে বক্তব্য সঠিক। পুলিশ অফিসারটি দাঁতে জিভ কেটে বললেন, স্যার কেন মিছিমিছি সোনাগাছির মত খারাপ জায়গায় নিজেকে নাহক ঝুট-ঝামেলার মধ্যে পড়বেন। আর ভারত সরকারের আতিথেয়তার নিন্দে করবেন। আগে ভাগে আমাদের স্মরণ করলেই পারতেন, আমরা আপনাকে ভিআইপি-র উপযুক্ত যায়গায় পাঠিয়ে দিতাম (ছফা, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ২০-২১)। এসব নেতাদের কীর্তিকলাপ নিয়ে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র ঘৃনা উঠে এসেছে আহমদ ছফার কলমে, “কলকাতা এলে মাথায় খুন চেপে বসে। ইচ্ছা জাগে এই ফর্সা কাপড় পরা তথাকথিত নেতাদের সবকটাকে গুলি করে হত্যা করি। এ্যায়াসা দিন নেহি রয়েগা। একদিন আমরা দেশে ফিরে যাব। তখন সব কয়টা বানচোতকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে মারব। দেখি কোন বাপ সেদিন তাদের উদ্ধার করে। কলকাতার নরম বিছানায় ঘুমিয়ে পোলাও-কোর্মা খাওয়ার মজা ভাল করে ‍দেখিয়ে দেব” (ছফা, ৮১)।



“স্টপ জেনোসাইড” খ্যাত চলচ্চিত্রকার কাজী জহির রায়হান যুদ্ধকালে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে আওয়ামীলীগ নেতাদের অপকর্মের অনেক ফুটেজ ও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন, যা দিয়ে তিনি ডকুমেন্টারী বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধপরবর্তী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট পাপিষ্ঠরা এসব কারনে জহির রায়হানকে গায়েব করে দেয়, তার লাশটিও খুঁজে পাওয়া যায় নি। জহির রায়হান সংবাদ সম্মেলন করে এসব চিত্র প্রকাশের হুমকি দিয়েছিলেন। আর এ হুমকির পরই তাঁর অন্তর্ধানের ঘটনা ঘটে। জহির রায়হানের ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার যুদ্ধকালে ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর দ্বারা অপহৃত হন। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারী ভাইকে খোঁজার নাম করে জহির রায়হানকে ডেকে নেয় স্বাধীন বাংলার প্রশাসন পরিচিতরা। এরপর থেকে জহির নিখোঁজ। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুজিব সকারের পুলিশ ও মিরপুর এলাকা নিয়ন্ত্রকারী বাহিনী জহির রায়হানের পরিবারকে সাহায্য করার পরিবর্তে এড়িয়ে যেতেন। জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ. জলিল লিখেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের আওয়ামীলীগ নেতাদের কুকীর্তি ফাঁস করে দিতে চাওয়ায় নিখোঁজ হন সাংবাদিক জহির রায়হান। ভারত অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অনেক কিছুই জানতে চেয়েছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক এবং চিত্র নির্মাতা কাজী জহির রায়হান। তিনি জেনেছিলেন অনেক কিছু, চিত্রায়িতও করেছিলেন অনেক দুর্লভ দৃশ্যের। কিন্তু অতসব জানতে বুঝতে গিয়ে তিনি বেজায় অপরাধ করে ফেলেছিলেন। স্বাধীনতার ঊষালগ্নেই তাকে সেই অনেক কিছু জানার অপরাধেই প্রাণ দিতে হয়েছে। ভারতের মাটিতে অবস্থান কালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের চুরি, দুর্নীতি, অবৈধ ব্যবসা, যৌন কেলেংকারী, বিভিন্ন রূপ ভোগ-বিলাস সহ তাদের বিভিন্নমূখী অপকর্মের প্রমাণ্য দলীল ছিল- ছিল সচিত্র দৃশ্য। আওয়ামী লীগের অতি সাধের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজী জহির রায়হানের এতবড় অপরাধকে স্বার্থান্বেষী মহল কোন যুক্তিতে ক্ষমা করতে পারে? তাই বেঁচে থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী রূপ দেখে যাওয়ার সুযোগ আর হয়নি জহির রায়হানের। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৩ নম্বর আসামী স্টুয়ার্ড মুজীবেরও ঘটেছিল এই পরিণতি। এই দায়িত্বশীল নিষ্ঠাবান তেজোদীপ্ত যুবক স্টুয়ার্ড মুজীব ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে এবং পরে ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছে। তার মত নির্ভেজাল ত্বরিতকর্মা একজন দেশপ্রেমিক যুদ্ধা সত্যিই বিরল। প্রচন্ড সহস ও বীরত্বের অধিকারী স্টুয়ার্ড মুজীব ছিল শেখ মুজিবের অত্যন্ত প্রিয় অন্ধভক্ত। মাদারীপুর থানার অন্তর্গত পালং অধিবাসী মুজীবকে দেখেছি বিদ্যুতের মতই এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ছুটোছুটি করতে। কি করে মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করা যায়, ভারতের কোন নেতার সাথে যোগাযোগ করলে মুক্তিযুদ্ধের রসদ লাভ করা যায় কেবল সেই চিন্তা এবং কর্মেই অস্থির দেখেছি স্টুয়ার্ড মুজীবকে। মুজীব ভারতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেক কুকীর্তি সম্পর্কেই ছিল ওয়াকিফহাল। এতবড় স্পর্ধা কি করে সইবে স্বার্থান্বেষী মহল। তাই স্বাধীনতার মাত্র সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই ঢাকা নগরীর গুলিস্তান চত্তর থেকে হাইজ্যাক হয়ে যায় স্টুয়ার্ড মুজীব। এভাবে হারিয়ে যায় বাংলার আর একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। (পৃষ্ঠা ৫৫, ৫৬)

জহির রায়হানের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে তার সহধর্মীনি চিত্রনায়িকা সুচন্দা বলেন,”জহির বেঁচে থাকা অবস্থায় সর্বশেষ প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে এক বক্তব্যে বলেছিলেন­, যারা এখন বড় বড় কথা বলেন, নিজেদের বড় বড় নেতা মনে করেন, তাদের কীর্তি কাহিনী, কলকাতায় কে কী করেছিলেন, তার ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। তাদের মুখোশ আমি খুলে দেবো।’ এই কথা তিনি মুখ দিয়ে প্রকাশ্যে বলে ফেলার পরই তার উপর বিপদ নেমে আসে। এই বলাটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।” জহির রায়হানের বোন নাসিমা কবির যখন নিখোঁজ জহির রায়্হারের খুঁজে বড় বড় নেতাদের কাছে রাত দিন পাগলের মত ছুটে গেছেন। ১৯৭২ সালে পত্রিকা গুলোতে বেশ লেখালেখি শুরু হয়। যে রফিকের ফোন পেয়ে জহির রায়হান ঘর থেকে বের হয়ে যেন, সেই রফিককে একদিন হঠাৎ করে সপরিবারে আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। জহির রায়হানের বড় বোন নাসিমা কবিরকে ডেকে নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি বললেন - ”জহিরকে নিয়ে বেশি চিৎকার করলে তুমিও নিখোঁজ হয়ে যাবে” (দৈনিক আজকের কাগজ,৮ ডিসেম্বর ১৯৯৩)। অর্থাৎ শেখ মুজিব নিজেও জহির রায়হানের গুমকারীদের সঙ্গে আপোষ করেছিলেন!

কেবল জহির রায়হানই নয়, যুদ্ধকালে প্রবাসী সরকারের বিভিন্ন নেতাদের দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে শেখ মুজিবের কাছে ট্রাইবুনাল গঠন করার বিচার ও তাদেরকে দল থেকে বহিস্কারের দাবীও তোলে স্বাধীন বাংলা যুব কমান্ড। মুজিব নগর সরকারের ১০০ কোটি রূপী (বর্তমান মূল্য প্রায় ৩৫,৭০০ কোটি টাকা) খরচের কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি (ইত্তেফাক ১৫ আগষ্ট ১৯৭২)। প্রবাসী সরকারের কর্তাব্যক্তি এবং নেতাদের দুর্নীতি ও নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নানা প্রমানাদি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে - জনতার আদালতে বিচারের সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

লেখক: মোঃ শামসুল আলম
ডেপুটি সেক্রেটারী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

র‌্যাব সদর দপ্তরে ছিনতাইকারী কামালের তথ্য...যুবলীগ নেতার নির্দেশে ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাই!

$
0
0
গ্রাফিকসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ। গ্রাফিকস: মো. জহির উদ্দিনগ্রাফিকসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ। গ্রাফিকস: মো. জহির উদ্দিনময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জেএমবির তিন সদস্যের একজন হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে ছিনতাই করা হয়েছে ভালুকা থানার যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান কামালের নির্দেশে। এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী কামাল হোসেন ওরফে সবুজ আজ বুধবার র‌্যাবের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

নিষিদ্ধঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের তিন জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন সময় টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ থেকে আটজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তাঁদের উপস্থিতিতে আজ রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিনতাইকারী দলটির দলনেতা কামাল হোসেন ওরফে সুবজ এসব তথ্য জানান।


আটক হওয়া অন্যরা হলেন মো. সোহেল রানা (২৮), মোরশেদ আলম (২২), আনোয়ার হোসেন (৪০), মো. বাছির উদ্দিন (২০), মো. ইউসুফ আলী (২০), মো. ইলিয়াস উদ্দিন (৩৪) ও আবু বকর সিদ্দিক (২৭)।ত্রিশালে জেএমবির তিন জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন সময় টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ থেকে আটজনকে আটক করেছে র্যাব। ছবি: ফোকাস বাংলা

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে এবং এক পুলিশকে হত্যা করে জেএমবির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা।
ছিনিয়ে নেওয়া তিন জঙ্গি হলেন জেএমবির মজলিসে শুরা সদস্য 

পেশাজীবীদের জন্য কানাডায় আবার অভিবাসনের সুযোগ

$
0
0
30 Apr, 2014
কানাডা সরকার আবার দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য ‘Federal Skilled Worker (FSW)’ প্রোগ্রামের অধীনে আবেদন গ্রহণ শুরু করছে।

মে মাসের ১ তারিখ থেকে এ আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।

কানাডায় ইমিগ্রেশনের জন্য আগ্রহী অনেক পেশাজীবী অনেক দিন ধরে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। এই প্রোগ্রামের অধীনে কানাডা সরকার ২৫ হাজার আবেদন গ্রহণ করবে।

৫০ ধরণের বিভিন্ন পেশার অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা এই প্রক্রিয়ায় আবেদনের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন এবং আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট পেশায় কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

যে ৫০ পেশার জন্য আবেদনকারীরা উপযুক্ত হবেন নিচের লিংকে তার একটি লিস্ট দেয়া আছে:

http://www.canadavisa.com/new-instructions-federal-skilled-worker-applications.html

নিচের লিংকে ‘Federal Skilled Worker’ প্রোগ্রামের অধীনে যারা আবেদন করতে চান তাদের যোগ্যতা এবং আবেদনপত্র পাওয়া যাবে: http://www.cic.gc.ca/english/immigrate/skilled/apply-how.asp

এছাড়া নিচের লিংকে অন্যান্য যাবতীয় তথ্যাদি যেমন আবেদনের সঙ্গে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন তার বিস্তারিত বর্ণনা, আবেদনপত্র, আবেদন ফি, ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের জন্য তথ্য ইত্যাদি বিস্তারিত পাওয়া যাবে:


http://www.cic.gc.ca/english/information/applications/skilled.asp

আপনি আবেদনের যোগ্য কিনা?

কোনো আবেদনকারীর আবেদনের জন্য ১০০ পয়েন্ট এর মধ্যে নূন্যতম ৬৭ পয়েন্ট থাকতে হবে। নিচের লিংকে আপনার আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা আছে কিনা তার বিস্তারিত দেয়া আছে যা আপনি নিজে নিজে সহজেই যাচাই করতে পারবেন।

http://www.cic.gc.ca/english/immigrate/skilled/apply-factors.asp

এছাড়া ৬৭ পয়েন্ট গণনার জন্য ভাষা, শিক্ষা, বয়স, চাকুরী এবং অর্থনৈতিক যোগ্যতা ইত্যাদির বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন:


http://www.cic.gc.ca/english/immigrate/skilled/apply-who.asp