Image may be NSFW.
Clik here to view.
অনেক ভাইকে স্টাটাস দিতে দেখেছি , তাদের কনসার্ন হলো জামায়াত কি জাসদের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে ? তারা উদাহরণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবের রক্ষী বাহিনীর মত বাংলাদেশের কসাই হাসিনা ও র্যাব দিয়ে নিরপরাধ জামায়াত কর্মীদের হত্যা করছে। আসলে আমাদের এতো তাড়াতাড়ি এই রকম জাস্টিফিকেশনে যাওয়া উচিত না। আমাদের বুঝতে হবে জামায়াত আর জাসদের আদর্শ এক না। জামায়াত আল্লাহর উপর নির্ভর করে ইসলামিক আন্দোলন করেতেছে আর জাসদ নাস্তিকতার উপর।অন্যদিকে কসাই হাসিনার এখন শেষ সময়। তাই মরার আগে একটু বেশি লাফাচ্ছে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই।
আর যারা দুনিয়ার ইসলামিক আন্দোলনের খোজ খবর রাখেন তাদের বুঝা উচিত বর্তমান জামায়াত শিবির থেকে ও বিশ্বের অন্যান্য ইসলামিক আন্দোলনগুলো আরো বেশি ত্যাগ করেছে , ধৈর্য্য ধরেছে। কই মুসলিম ব্রাদারহুডের তো একে পার্টির মত অবস্থা হয়নি ? তুরুস্কের একে পার্টি ক্ষমতায়। মুর্সিকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরালে ও মিশরের ৬৮ % মানুষ মূর্সিকে এখনো ক্ষমতায় চায়। মুর্সিকে যখন ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রতিবাদে রাবেয়া স্কয়ারে অবস্থানরত মুসলিম ব্রাদারহুডের উপর চালানো হয়েছিলো ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা। শহীদ হয় ৩০০০ মানুষ। জামায়াতের মত তাদের সব সিনিয়র নেতারা জেলে। কই তারা তো হতাশ হয়নি। উল্টো দ্বিগুন উত্সাহে প্রত্যেক দিন সেনাদের বুলেটের মুখে বিক্ষোভ করছে। দিন দিন তাদের মিছিলের সারি লম্বা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বতমানে যেই ত্যাগ তিতিক্ষা দেখাচ্ছে মিশরের ব্রাদারহুড সেটা ৭০ এর দশকে দেখিয়েছে। বুঝতে হবে জামায়াত শিবির এখনো ব্রাদারহুড থেকে ৪০ বছর পিছিয়ে আছি। আগামী ৪০ বছরে বাংলাদেশের ইসলামিক আন্দোলন আরো বেশি বেগবান হবে এবং যদি কিছু কৌশল অবলম্বন করে তাহলে তারাই ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে থাকবে এটা আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশের গত ৫ বছরের প্রেক্ষাপট দেখুন না। জামায়াত শিবিরের উপর এতো অত্যাচার জুলুমের পর ও কি আন্দোলন থেমে গেছে ? নাকি আগের চেয়ে ও বেশি সাধারণ মানুষ জামায়াত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলন করছে। কথিত যুদ্বাপরাধের অভিযোগে নেতাদের অভিযুক্ত করার পর ৫০ জন সাধারণ মানুষ সরকারের এই ট্রাইবুনালের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেছে। প্রত্যেক দিন জামায়াত শিবিরের শহীদের তালিকা যেমন দীর্ঘ হচ্ছে তেমনি শহীদ হওয়ার পিপাসায় এই আন্দোলনে আরো বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। তাহলে এই ক্ষুদ্র সময়ে জাসদের মত জাস্টিফিকেশনে যাওয়া কি ঠিক ???
জনাব কাদের মোল্লাকে আওয়ামীলীগ পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে হত্যা করার পর কাদের মোল্লার রক্ত কিন্তু কথা বলা শুরু করেছে। অনলাইনে যাদেরকে কখনোই দেখি নাই জামায়াত শিবির নিয়ে একটি কথা বলতে , আজ তারা শহীদ কাদের মোল্লার জন্য ফেসবুকে স্টাটাস দেয় , ব্লগ লিখে। যারা জামায়াত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত না , এই রকম হাজারো মানুষ শহীদ কাদের মোল্লার জন্য নফল রোজা ও নামাজ পড়ে কেদেছে।
Image may be NSFW.
Clik here to view.
লন্ডনে যাদেরকে এক সময় দেখতাম শাহবাগীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলো তারা আজ শহীদ কাদের মোল্লার জন্য আফসুস করতেছে। ফোন দিয়ে জামায়াত শিবিরের লোকদের সান্তনা দিচ্ছে। তাহলে বুঝুন কাদের মোল্লাকে শহীদ করে এই পার্থিব দুনিয়াতে হাসিনার অর্জন কিন্তু একেবারে শুন্য , পরকালের টা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম।
আরেকটি বিষয় গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের যেইসব জেলাতে ইসলামিক আন্দোলনের কর্মীদের রক্ত ঝরেছে সেই সব এলাকাতে জামায়াত শিবিরের শক্তি বাড়ার কারণে,আওয়ামীলীগ ও পুলিশ সব সময় আতঙ্কে থাকে। অন্যদিকে যে শাহবাগ জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্বের কথা বলে তারা এখন সমাজে ঘৃণার পাত্র। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আর আল্লাহ তো বলেছেন,তারা চায় মুখের ফুত্কারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে কিন্তু আল্লাহ তার দ্বীনের বাতিকে জ্বালিয়ে রাখবেন।
Clik here to view.

অনেক ভাইকে স্টাটাস দিতে দেখেছি , তাদের কনসার্ন হলো জামায়াত কি জাসদের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে ? তারা উদাহরণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবের রক্ষী বাহিনীর মত বাংলাদেশের কসাই হাসিনা ও র্যাব দিয়ে নিরপরাধ জামায়াত কর্মীদের হত্যা করছে। আসলে আমাদের এতো তাড়াতাড়ি এই রকম জাস্টিফিকেশনে যাওয়া উচিত না। আমাদের বুঝতে হবে জামায়াত আর জাসদের আদর্শ এক না। জামায়াত আল্লাহর উপর নির্ভর করে ইসলামিক আন্দোলন করেতেছে আর জাসদ নাস্তিকতার উপর।অন্যদিকে কসাই হাসিনার এখন শেষ সময়। তাই মরার আগে একটু বেশি লাফাচ্ছে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই।
আর যারা দুনিয়ার ইসলামিক আন্দোলনের খোজ খবর রাখেন তাদের বুঝা উচিত বর্তমান জামায়াত শিবির থেকে ও বিশ্বের অন্যান্য ইসলামিক আন্দোলনগুলো আরো বেশি ত্যাগ করেছে , ধৈর্য্য ধরেছে। কই মুসলিম ব্রাদারহুডের তো একে পার্টির মত অবস্থা হয়নি ? তুরুস্কের একে পার্টি ক্ষমতায়। মুর্সিকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরালে ও মিশরের ৬৮ % মানুষ মূর্সিকে এখনো ক্ষমতায় চায়। মুর্সিকে যখন ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রতিবাদে রাবেয়া স্কয়ারে অবস্থানরত মুসলিম ব্রাদারহুডের উপর চালানো হয়েছিলো ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা। শহীদ হয় ৩০০০ মানুষ। জামায়াতের মত তাদের সব সিনিয়র নেতারা জেলে। কই তারা তো হতাশ হয়নি। উল্টো দ্বিগুন উত্সাহে প্রত্যেক দিন সেনাদের বুলেটের মুখে বিক্ষোভ করছে। দিন দিন তাদের মিছিলের সারি লম্বা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বতমানে যেই ত্যাগ তিতিক্ষা দেখাচ্ছে মিশরের ব্রাদারহুড সেটা ৭০ এর দশকে দেখিয়েছে। বুঝতে হবে জামায়াত শিবির এখনো ব্রাদারহুড থেকে ৪০ বছর পিছিয়ে আছি। আগামী ৪০ বছরে বাংলাদেশের ইসলামিক আন্দোলন আরো বেশি বেগবান হবে এবং যদি কিছু কৌশল অবলম্বন করে তাহলে তারাই ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে থাকবে এটা আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশের গত ৫ বছরের প্রেক্ষাপট দেখুন না। জামায়াত শিবিরের উপর এতো অত্যাচার জুলুমের পর ও কি আন্দোলন থেমে গেছে ? নাকি আগের চেয়ে ও বেশি সাধারণ মানুষ জামায়াত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলন করছে। কথিত যুদ্বাপরাধের অভিযোগে নেতাদের অভিযুক্ত করার পর ৫০ জন সাধারণ মানুষ সরকারের এই ট্রাইবুনালের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেছে। প্রত্যেক দিন জামায়াত শিবিরের শহীদের তালিকা যেমন দীর্ঘ হচ্ছে তেমনি শহীদ হওয়ার পিপাসায় এই আন্দোলনে আরো বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। তাহলে এই ক্ষুদ্র সময়ে জাসদের মত জাস্টিফিকেশনে যাওয়া কি ঠিক ???
জনাব কাদের মোল্লাকে আওয়ামীলীগ পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে হত্যা করার পর কাদের মোল্লার রক্ত কিন্তু কথা বলা শুরু করেছে। অনলাইনে যাদেরকে কখনোই দেখি নাই জামায়াত শিবির নিয়ে একটি কথা বলতে , আজ তারা শহীদ কাদের মোল্লার জন্য ফেসবুকে স্টাটাস দেয় , ব্লগ লিখে। যারা জামায়াত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত না , এই রকম হাজারো মানুষ শহীদ কাদের মোল্লার জন্য নফল রোজা ও নামাজ পড়ে কেদেছে।
Image may be NSFW.
Clik here to view.

লন্ডনে যাদেরকে এক সময় দেখতাম শাহবাগীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলো তারা আজ শহীদ কাদের মোল্লার জন্য আফসুস করতেছে। ফোন দিয়ে জামায়াত শিবিরের লোকদের সান্তনা দিচ্ছে। তাহলে বুঝুন কাদের মোল্লাকে শহীদ করে এই পার্থিব দুনিয়াতে হাসিনার অর্জন কিন্তু একেবারে শুন্য , পরকালের টা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম।
আরেকটি বিষয় গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের যেইসব জেলাতে ইসলামিক আন্দোলনের কর্মীদের রক্ত ঝরেছে সেই সব এলাকাতে জামায়াত শিবিরের শক্তি বাড়ার কারণে,আওয়ামীলীগ ও পুলিশ সব সময় আতঙ্কে থাকে। অন্যদিকে যে শাহবাগ জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্বের কথা বলে তারা এখন সমাজে ঘৃণার পাত্র। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আর আল্লাহ তো বলেছেন,তারা চায় মুখের ফুত্কারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে কিন্তু আল্লাহ তার দ্বীনের বাতিকে জ্বালিয়ে রাখবেন।