
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা যারা ভাঙচুর করে তারা কি সরকারি চাকরি পাওয়ার যোগ্য? তাহলে কি রাজাকার, আল-বদর আর আল-শামসরা এদেশে থাকবে? তারাই দেশ চালাবে? ভাঙচুরকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, যারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তাদের ছবি রয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান সরকার মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, তা বলে অন্যের প্রাপ্য তাকে দিতে হবে।
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যা করে উনি ক্ষমতায় এলে সব কিছু বাতিল ও বন্ধ করে দেবেন। তার মানে কোটা প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে কি নারীরা চাকরি করবে না? যারা প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তারা কি পাবলিক সার্ভিস কমিশনে চাকরি করবে না? প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কারণেই আজ আমরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনে চাকরি করতে পারছি। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের কয়জন চাকরি করতে পারতো? তাদের অবদানের কথা মূল্যায়ন না করে কেন এখন এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করা হচ্ছে?
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর তথাকথিত বক্তব্য সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এখন নারীদের নিয়ে অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। মেয়েদের আয়-উপার্জনের পথ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে না পারলে লাখ লাখ গার্মেন্টসকর্মী চাকরি হারাবে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সাজা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না থাকা নিয়েও বিএনপি’র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সন্তুষ্ট কি অসন্তুষ্ট বুঝা যায় না। স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা হয়েছিলো। ১৯৭৫ এর পর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। জাতির কাছে আমাদের ওয়াদা ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া বিচার হচ্ছে। রায়ও কার্যকর হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য যারা গাড়ি ভাঙচুর, মানুষ হত্যা করছে তাদেরও বিচার হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করে তারা কিভাবে মানুষকে কষ্ট দেয়। দিনমজুরদের অভুক্ত রেখে নির্যাতন চালায়। এ ধরনের কর্মকা-ের মাধ্যমে তারা আর এক ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। হরতাল ভাঙচুর নৈরাজ্য করে লাভ কি? অপরাধীদের তো বিচার হবেই।
http://www.dailyinqilab.com/details_news.php?id=121294&&%20page_id=%205