Quantcast
Channel: Truth Revealer
Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

দেশে দেশে ভালোবাসার সম্বোধন

$
0
0
ওয়াশিংটন: ভালোবেসে মোঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়তমার জন্য বানিয়েছিলেন তাজমহল।  সবাই তাজমহল বানাতে না পারলেও নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে বেছে নেন অনেক মাধ্যম। তবে, ভালোবাসা প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো প্রিয়জনকে প্রিয় নামে ডাকা।

ফ্রান্সের সাবেক ফার্স্ট লেডি কার্লা ব্রুনি তার স্বামী নিকোলাস সারকোজিকে ডাকেন ‘চৌচৌ’ বলে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের স্ত্রী সান্তা ‘আই লাভ ইউ, বেব’ বলেই স্বামীর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান।

আর স্বামীকে করে আলিঙ্গন তোলা মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেলের ছবি তো টুইটার মাত করে দিয়েছে। ওই ছবিটি সর্বোচ্চ সংখ্যক রি-টুইট করা হয়েছে।

ভালোবাসার সম্বোধনের প্রচলিত উদাহরণ হলো বেবি, অ্যাঞ্জেল কিংবা সুইটহার্ট। এই সম্বোধনগুলো বিশ্বজনীন। তবে, ভাবুন তো, কেউ যদি আপনাকে ভালোবেসে ‘ফুলকপি’ কিংবা ‘বাচ্চা হাতি’ বলে ডাকে তাহলে কেমন লাগবে আপনার?

আসলে কোনো দেশের গালি আর কোনো দেশের বুলি প্রবাদটির মতো ভালোবাসার সম্বোধনও দেশভেদে বদলে যেতে পারে।

যেমন, আপনি যদি ফ্রান্সের কোনো অধিবাসীকে হানি (মধু) নামে ডাকেন তাহলে তিনি মনে করতে পারেন আপনি তাকে ‘চটচটে’ কিছুর সঙ্গে তুলনা করেছেন। অথচ ‘হানি’ সম্বোধনটি পশ্চিমা বিশ্বে আবেগীয় ভালোবাসায় ক্ষেত্রেই প্রকাশ করা হয়।

আসলে ভালোবাসার ভাষা সার্বজনীন হলেও ভালোবাসার সম্বোধন কিন্তু দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে। দেশে দেশে ভালোবাসার এমন কিছু সম্বোধনই নতুন বার্তার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ছোট বাঁধাকপি (ফ্রান্স)
না না। চোখ কপালে তুলবেন না। ফ্রান্সের মানুষ কিন্তু এই পেটিট চৌ বা ছোট বাঁধাকপি নামেই ডাকে তাদের প্রিয় মানুষটিকে। ফ্রান্সের মানুষের কাছে চৌ বা বাঁধাকপির মানে ‘সুইটহার্ট’।

কুমড়ো (ব্রাজিল/পর্তুগাল)
আমাদের দেশে ভালোবেসে কাউকে কুমড়ো ডাকলে তিনি নিশ্চয়ই আপনাকে মারতে আসবে। কিন্তু ব্রাজিল কিংবা পর্তুগালে কুমড়ো হলো ভালোবাসার মধুর সম্বোধন। তাই সেখানে যদি আপনি কাউকে চুচুজিনহু বা কুমড়ো বলে ডাকেন সে খুশিই হবে!

ডিমের সঙ্গে চোখ (জাপান)
জাপানের মেয়েদের এই নামেই ডাকে তাদের ভালোবাসার মানুষ। এটা সেদেশের মেয়েদের জন্য খুবই প্রশংসা সূচক সম্বোধন। জাপানে ডিমের আকৃতির মুখকে খুবই আকর্ষণীয় বলে মনে করা হয়! তাই জাপানি তরুণরা তাদের প্রিয়তমার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,তামাগো গাটা নো কাও।

চিনির টুকরো (স্পেন)
স্পেনে তেরন ডে অ্যাজুকার সম্বোধনটি আসলে ইংরেজি ‘হানি’র অনুরূপ। স্প্যানিশ ভাষায় তেরন ডে অ্যাজুকার মানে হলো চিনির টুকরো। আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবারের নামে প্রিয়জনকে ডাকা অনেক দেশেই জনপ্রিয়।

আমার হৃদয়ের ফল (ইন্দোনেশিয়া)
ইন্দোনেশিয়ার প্রেমের কবিতা ও গানে আমার হৃদয়ের ফল বা বুয়াহ হাতিকু কথাটি বহুল ব্যবহৃত। তবে  বর্তমানে দেশটিতে ছোট বাচ্চাদের আদর করে এই সম্বোধন করা হয়।

আমার মাছি (ফ্রান্স)
মাছি! এই সম্বোধন শুনে অনেকেই ভুরু কুচকাতে পারেন। তবে, এটা কিন্তু ফ্রান্সের প্রিয় মানুষকে ভালোবেসে ডাকা হয়। ফ্রান্সের “মা পুচি” কথাটির অর্থ ইংরেজি “সুইটি”র মতো।

হরিণ (আরব)
ক্লাসিক আরবীয় কবিতাগুলোকে নারীদের হরিণের সঙ্গে তুলনা করা হতো। বর্তমানে আরবের তরুণরা তাদের প্রিয়া চোখের সঙ্গে তুলনা করে হরিণের চোখের।

বাচ্চা হাতি (থাইল্যান্ড)
বাংলাদেশে কাউকে বাচ্চা হাতি বললে তিনি মনে করবেন তাকে মোটা বলে অপমান করা হচ্ছে। কিন্তু থাইল্যান্ডে গেলে আপনি দেখতে পাবেন মুদ্রার অপর পিঠ। ‘শ্বেত হস্তী’র দেশ থাইল্যান্ডে হাতি খু্বই জনপ্রিয় প্রাণী। দেশটিতে হাতিকে মনে করা হয় সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই থাইল্যান্ডে ছোট বড় সবাইকে আদর করে ‘ছোট হাতি’ ডাকা হয়।

ডুবন্ত মাছ, পড়ন্ত হাঁস (চীন)
চীনে প্রচলিত রূপকথা থেকে এ সম্বোধনের উৎপত্তি। কথিত আছে, এক চীনা রাজকুমারী এতো সুন্দরী ছিলেন যে, সে যখন পুকুরের কোনো মাছের দিকে তাকাতো, মাছ সাঁতার কাটতে ভুলে যেতো। এভাবে মাছটি একসময় ডুবে যেতো।

চীনে এমন আরেক সুন্দরী নারী ছিলেন, যাকে দেখে হাঁস ডানা ঝাপটাতে ভুলে গিয়ে এসময় মাটিতে পড়ে যেতো।

এই দুইটি কাহিনী থেকেই চীনে ‘ডুবন্ত মাছ, পড়ন্ত হাঁস’ কথাটি এসেছে। তাই বর্তমানে কোনো চাইনিজ তরুণ যদি কোনো তরুণীর প্রেমে পড়ে, তাহলে সে প্রেমিকায় প্রশংসায় শুধু এই চারটি শব্দই বলে।

ছোট পায়রা (রাশিয়া)
রাশিয়ার বিখ্যাত কবি পুসকিন তার একটি বিখ্যাত কবিতায় তার ন্যানিকে ছোট পায়রা বলে অভিহিত করেছিলেন। পুসকিন যখন ছোটো ছিলেন, তখন ওই ন্যানিও তাকে  ছোট পায়রা ডাকতেন। ভালোবাসায় মধুর এই সম্বোধনটি রাশিয়ায় এখন বেশ জনপ্রিয়। সূত্র: ওয়েবসাইট

source দেশে দেশে ভালোবাসার সম্বোধন

Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

Trending Articles