Quantcast
Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

বাংলাদেশে রিমান্ডের হাইকোর্টের নির্দেশনা ..কিন্তু মানছে না খোদ আদালত ও পুলিশ

রিমান্ড বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা : ব্লাস্ট বনাম বাংলাদেশ মামলায় বিচারপতি মো. হামিদুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল এই রায় দিয়েছিল। রায়ে বলা হয়েছিল, হাইকোর্টের এ নির্দেশনা আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। রায়ে বলা হয়, 
১. আটকাদেশ দেয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না। ২. কাউকে গ্রেফতারের সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। ৩. অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির আত্মীয় বা কাছের কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের বিষয়টি অবহিত করতে হবে। ৪. গ্রেফতারের কারণ একটি পৃথক নথিতে পুলিশকে লিখতে হবে। ৫. গ্রেফতারের ৩ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারকৃতকে কারণ জানাতে হবে। ৬. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেফতারকৃতের নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহক মারফত বিষয়টি জানাতে হবে। ৭. গ্রেফতারকৃতকে তার পছন্দসই আইনজীবী ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে। ৮. জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আইনজীবী বা পরিচিত কারও উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ৯. কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় তথ্য না পাওয়া গেলে তদন্ত কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে সর্বোচ্চ তিনদিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। ১০. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ডাক্তার দেখাতে হবে।
আইনে আরও বলা আছে—(২) ‘পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট অবশ্যই পুলিশের কেস ডায়রি এবং গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অপরাধের অভিযোগের প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ, যৌক্তিকতা ইত্যাদি পর্যালোচনা করিবেন। অতঃপর নিজে সন্তুুষ্ট হইবার পর রিমান্ড মঞ্জুর করিবেন।’

Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

Trending Articles