Quantcast
Channel: Truth Revealer
Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সাভার নিহতদের পুঁজি করে নগদ লাভের শাহবাগি মচ্ছব ও কামড়াকামড়ি

$
0
0
শাহবাগ ছিলো একটা জায়গার নাম, বাংলামোটর থেকে টিএসসির মাঝখানের মোড়। এখন শাহবাগ হয়ে দাড়িয়েছে শয়তানি চেতনার নাম। আওয়ামীলীগের ঘাড়ে ভর করা বাম প্রগতিশীল চেতনা। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের গণপ্রজননচত্বর।

একসময় দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন যুক্তিসংগত প্রশ্ন করাকেই অপরাধ মনে করতো। ত্রিশ লাখ না তিন লাখ এ প্রশ্ন করলে সম্ভব হলে মেরেই ফেলতো। শাহবাগ দেখার পর বাস্তবতা সম্পর্কে দেশের মানুষের কিছুটা উপলদ্ধি হয়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে মুক্তিযুদ্ধ পুরোটাই পবিত্র ছিলো না, সাদা কালোর মাঝখানে অনেক ধুসর এলাকা ছিলো।

দেশে যখন গরীব কিশোর যুবকরা পাকবাহিনীর হাতে মারা যাচ্ছিলো, তখন আওয়ামী লীগ নেতারা কলকাতার পার্ক ষ্ট্রীটে উদ্বাস্তু বাংলাদেশী যুবতীদের ভোগ করে মদের গ্লাস নিয়ে ফুর্তি করতেন। বিয়াল্লিশ বছর পরে এসে বাংলাদেশ আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখলো। সারা দেশে পুলিশ যখন নিরস্ত্র প্রতিবাদকারীদের পাখির মতো গুলি করে মারলো তখন শাহবাগে ইমরান সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামী দালালের দল মদ গাঁজা আর নারীমাংস নিয়ে উৎসবে মাতাল হয়ে চুর হয়ে থাকতো।।

সারাদিন শাহবাগে আমোদ ফুর্তি করার পর ইমরান অমি পিয়াল মারুফ রসুল আরিফ জেবতিক মাহমুদ মুন্সী লাকি সীমা লাবণী গং সরকারী গানম্যান ও সিকিউরিটির চাদরে আবৃত থেকে পাজেরো চড়ে পাঁচতারকা হোটেলে গিয়ে মদ মাংসের উল্লাসে বিভোর হয়ে যেতো। মতিঝিলে যখন রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়, শাহবাগীরা তখন বিদ্রুপ আনন্দে ফেটে পড়ে। সিসিটিভিতে শাহবাগিদের আসল চেহারা দেখে ফেলায় পুলিশকে পর্যন্ত খুন করেছে তারা। কিন্তু লাভ হয়নি। সময়ের সাথে সাথে এখন সারা দেশের মানুষের সামনে শাহবাগিদের আসল চেহারা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।

শাহবাগিরা সবসময় প্রচার করতে চেয়েছে এটা দলনিরপেক্ষ আন্দোলন। প্রথম দিকে এ ধারণা ছড়িয়ে দিতে তারা সফলও হয়েছিলো। অসংখ্য সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধে শাহবাগে গিয়েছিলো। কিন্তু অল্পদিনেই তারা বুঝতে পেরেছে, তারা আওয়ামী লীগের হাতে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রতারণার শিকার হয়েছে।

শাহবাগি নেতারা সবাই হয় চিহ্নিত ধর্মবিদ্বেষী উগ্র নাস্তিক, অথবা কট্টর আওয়ামী লীগার। এদের সবার সম্মিলিত স্বার্থ একটাই, তা হলো আওয়ামী লীগের কায়েমী ক্ষমতা নিশ্চিত করা। সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে তারা হুজুগের বেলুন ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে এরা বাংলাদেশ থেকে ইসলাম দূর করে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্র করেছে। নিজেদের সামলে রাখতে না পেরে এরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী করার মতো স্পর্ধা করেছে, হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে না বুঝতে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছে।

কিন্তু শাহবাগিদের মিথ্যা চেতনার এ বেলুন ফেটে যেতে বেশিদিন সময় লাগেনি। টাকা পয়সা ও ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ বিবাদ করে শাহবাগিরা নিজেরা নিজেদেরকে কামড়িয়েছে। এখনো সে কামড়াকামড়ি অব্যাহত আছে। শাহবাগের বিরাণী ও গাঞ্জা বিপ্লবের আড়ালে অঢেল টাকার যোগান ও কামরিপু পূরণের ফুর্তির আভাস পেয়ে গত কয়বাসে দেশে এসেছে লন্ডন থেকে নিঝুম মজুমদার, সুশান্ত দাসগুপ্ত এমনকি আমেরিকা থেকে বিগ প্লেয়ার সজীব ওয়াজেদ জয় পর্যন্ত। এরা টাকার ভাগ নিয়ে কামড়াকামড়ি করেছে। তারপর অনলাইনে একজন আরেকজনের চেহারার মুখোশ খুলে দিয়েছে।

সবার প্রথম বোমা ফাটায় ডা. আইজুদ্দিন নিকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শরীফ আযাদ। গণজাগরণ মঞ্চের কার্যক্রম চালানোর জন্য ফান্ড সংগ্রহের আড়ালে ইমরান সরকার যেভাবে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি ও ডাকাতি করেছে তার দলিল প্রমাণ সে অনলাইনে ফাঁস করে দেয়। ডা. আইজুদ্দিন দেখিয়ে দেয় ইংল্যান্ডে নিঝুম মজুমদার কিভাবে সাভার ট্রাজেডির জন্য সহায়তা সংগ্রহ করার নাম করে টাকা আত্মসাতের খেলায় মেতেছিলো। আমেরিকায় থাকা প্রিতম আহমেদ নামের এক ব্লগারও টাকা মেরে দেয়ার এ খেলায় পুরোদমে নেমে পড়ে।

কট্টর আওয়ামী লীগার ও শেখ হাসিনার ভক্ত আইজুদ্দিন হয়তো দূরে থেকে নগদ নারায়ণের ভাগ পাচ্ছিলো না। সরাসরি ইমরান সরকার, প্রিতম ও নিঝুম প্রমুখ শাহবাগি পালের গোদাদের কাপড়চোপড় খুলে দেয় সে।


আওয়ামী ও বাম ব্লগারদের এ অভ্যাস অনেক পুরনো। এরা নিয়মিত সামহোয়ারইন ব্লগ ব্যাবহার করে বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কালেকশানের খেলায় নামে। একশ টাকা উঠলে তা থেকে দশ বিশ টাকা লোক দেখিয়ে ভিকটিমকে দিয়ে বাকী টাকা নিজেদের ভোগে লাগিয়ে আসছে এরা গত চার পাঁচ বছর যাবত। নিয়মিত। মাহমুদ মুন্সী ওরফে স্বপ্নকথক ইব্রাহিম খলীল ওরফে সবাক পাখি এসব করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। এসব করে এদের লোভ সীমাহীন হয়ে যায়। তাই শাহবাগ মঞ্চ ও সাভার ভবন ধ্বস কেন্দ্র করে কোটি টাকা আত্মসাতের খেলায় নেমে পড়ে এরা।

আইজু একটা ছবি দিয়ে দেখিয়ে দেয় শাহবাগিরা পাবলিকের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। এরকম টাকা তোলা হয়েছে সারা দেশে। কেউ না দিলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী হয়ে গিয়েছে। পত্রিকায় এসেছে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছে ইমরান চাদর বাহিনী। টাকা না দিলে তাদেরকে জামায়াতী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় যুক্ত করার হুমকি দেয়া হয়েছে। ঐ সময়ের কথা স্মরণ করলেই বুঝবেন তারা কিভাবে রামরাজত্ব করেছিলো। সরকারের চেয়েও শক্তিশালী ছায়া সরকার হয়ে দাড়িয়েছিলো শাহবাগি শুকর বাহিনী। 


এসময় ডা. আইজুদ্দিন কিছুদিন আগের গোপন মেইল ও মেসেজ প্রকাশ করে দিয়ে প্রমাণ করে দেয় ইমরান সরকার হলো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের রোপণ করা দলীয় দালাল। নির্দলীয় কোন মানুষ এই চাদরবাবা না। আইজুর দেয়া তথ্যে ফাঁস হয়ে যায়, শাহবাগের গণপ্রজনন চত্বর পুরোটাই সাধারণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। 


ডা. আইজুদ্দিন যখন এসব ফাঁস করে দেয় তখন শাহবাগিরা মরিয়া হয়ে আইজুদ্দিন নিকের আড়ালে থাকা দুই মধ্যবয়সী বিকৃত রুচির শয়তান শরিফ আজাদ ও মেসকাতের পরিচয়, ছবি, বউ এর ছবি, ঠিকানা ফোন নাম্বার ইত্যাদিও ফাঁস করে দেয়। যথার্থ শুকরছানার মতো তারা তাদের জন্মদাতা এটিমের গুরু আইজুর পাছায় কামড় বসিয়ে দেয়। 


আমেরিকায় আইজু ওরফে শরিফ সাহেবের লুচ্চামি ও পুলিশের কাছে ধরা খাওয়ার প্রমাণও হাজির হয়ে যায়। 


এর ভেতরে সুশান্ত ও নিঝুমের কাঁদা ছোড়াছুড়ি এখনো চলছে। ডা. আইজুর পোষ্টগুলো সব ব্লগ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বেশিরভাগ শাহবাগি নিজেদের ফেসবুক কেলেংকারি বয়ান মুছে দিয়েছে, নিজেদের আইডি ডিএকটিভেট করে রেখেছে। কিন্তু এসব করে চোর শাহবাগিরা নিজেদের চরিত্র বদলাতে পারেনি, লুকাতেও পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের নাম দিয়ে এই তস্কর ও চোর-বাটপারের চক্র যে ব্যাবসা ফেঁদে বসেছে পুরো দেশের সামনে তা আজ নাঙ্গা হয়ে গিয়েছে।


শাহবাগি কমরেডদের পারস্পরিক সম্পর্ক বুঝা যায় লুচ্চা অমি পিয়াল সম্পর্কে লন্ডনী চাঁই নিঝুম মজুমদারের কিছু মন্তব্যে। 


টাকা পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে এদের কামড়াকামড়ি এখন চলমান। নিজেদের গ্রুপিং এর ফলে গোপন তথ্য বের করে দিচেছ এরা। দেখা যাচ্ছে লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে ঢাবির ভেন্যু ব্যাবহার করে পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাড়া টা পর্যন্ত এরা দেয়নি। কত বড় ছ্যাচ্ছর এই শাহবাগি শুকরের দল, কত বড় ছোটলোক, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাবি ব্যাবহার করেছে, এখন ন্যুনতম পাওনা টাকাটাও দেয়ার কোন খবর নাই। এই হলো শাহবাগিদের আসল চেহারা। সত্যিকার বাটপারি মানসিকতা। জয় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ।



সূত্র:
১. আমারব্লগে ডা. আইজুর পোষ্ট। আওয়মী মালিক সুশান্ত সব মুছে দিয়েছে।
২. প্রজন্মব্লগে ডার্কজাষ্টিসের পোষ্ট। আওয়ামী মালিক ইমরান সরকার মুছে দিয়েছে।
৩. সামহোয়ারে মৌসুম দাশের পোষ্ট। আওয়ামী মালিক জানা মুছে দিয়েছে।
৪. আমারব্লগে মনির নিকের পোষ্ট।
৫. ফেসবুকে এদের নিজেদের কামড়াকামড়ির ষ্ট্যাটাস ও মন্তব্যসমুহ। এরা পরে নিজেরাই বিভিন্ন সময় মুছে দিয়েছে।

তবু অনলাইনে চাইলেই সব মুছে ফেলা যায় না। আগ্রহীরা চাইলে নিচের লিংকগুলোতে ও গুগলক্যাশে এদের কামড়াকামড়ি দেখতে পারেন।
 
 

Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

Trending Articles