Quantcast
Channel: Truth Revealer
Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

খুনি মুজিবকে হত্যা করা হইয়াছে’ - মানুষ এই হত্যাকান্ডে উল্লাস প্রকাশ করেছে

$
0
0
আম্মা আমাকে সঙ্গে নিয়ে একদিন সন্ধ্যারাতে মুজিব কাকুর বাসায় গেলেন। মুজিব কাকি ঘরের সামনের বারান্দায় বসে পান খেতে খেতে গল্প করছেন। আমি মুজিব কাকুর ঘরের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতেই ভেতর থেকে মুজিব কাকু আমাকে ডাকলেন, ‘এই রিপি নাকি? ভেতরে আয়।’ঘরের খোলা দরজা দিয়ে দেখা যায় মুজিব কাকু বালিশে মাথা রেখে বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। তাঁর মাথার কাছে চেয়ারে শেখ ফজলুল হক মনি বসা। তিনি মুখ নিচু করে নিম্নস্বরে মুজিব কাকুকে কিছু বলছিলেন। মুজিব কাকুর ডাকে আমি ঘরে ঢুকতেই শেখ মনি মুখ তুলে আমার দিকে তাকালেন। তাঁর দৃষ্টি শীতল ও সতর্ক। মুজিব কাকু তাঁর স্বভাবজাত উষ্ণতা ভরা কণ্ঠে আমাদের কুশল জিজ্ঞেস করলেন। এরপর দরাজ গলায় বললেন, ‘শোন, আমি তোকে লেখাপড়া করতে রাশিয়ায় পাঠাবো।’ আমার সঙ্গে মুজিব কাকুর সেই শেষ কথা। মনে পড়ে ১৯৬৮ সালে মুজিব কাকু ও আব্বু যখন জেলে, তখন এই বাড়িতেই অনাড়ম্বর পরিবেশে অল্প কিছু আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে মুজিব কাকুর জ্যেষ্ঠ কন্যা হাসিনা আপার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আম্মার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিয়েছিলাম।


‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ।

ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত গ্রন্থে শারমিন আহমদ আরও লিখেছেন, শেখ কামালের বিয়ের কিছুদিন পরই মুজিব কাকু আব্বুকে ফোন করে জানালেন জামাল ভাইয়ের বিয়েও ঠিক হয়েছে তাঁর বোনের মেয়ে রোজীর সঙ্গে। ঘরোয়া পরিবেশে অনুষ্ঠিত জামাল ভাইয়ের বিয়েতে আব্বু ও আম্মা যোগ দিলেন। দুই ছেলে ও নতুন দুই বউসহ মুজিব কাকু ও কাকির ছবি সব দৈনিকের প্রথম পাতায় ছাপা হলো। কোন কোন পত্রিকায় বিয়ের ছবির নিচেই স্থান পেলো দুর্ভিক্ষের শিকার ক্ষুধার্ত, মরণাপন্ন মানুষের ছবি। 

জুলাই মাসের শেষে আব্বুর কাছে খবর এলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে কেউ কেউ মুজিব কাকুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তারা যে কোন সময় মুজিব কাকু ও তাঁর সরকারের ওপর আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত। এই খবর পেয়ে একদিন রাত ১১টায় গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরেই আব্বু হেঁটে সোজা চলে যান মুজিব কাকুর বাসায়। মুজিব কাকু তখন শোবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আব্বু মুজিব কাকুকে ষড়যন্ত্রের খবর জানিয়ে বলেন তিনি যেন অবিলম্বে সেনাবাহিনী, বিশেষ করে তাঁর গোয়েন্দা বাহিনীর ওপর নজর দেন। তিনি যেন এই খবরকে কোন মতেই হাল্কাভাবে না নেন। কিন্তু মুজিব কাকু আব্বুর এই সতর্কবাণীকে কোন আমল দিলেন না। সেদিন আব্বু খুব চিন্তিতভাবেই ঘরে ফিরে এলেন।

১৫ই আগস্ট সকালে আব্বুর কাপাসিয়া যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু অভাবনীয়ভাবে ঘটনা মোড় নিলো অন্যদিকে। খুব ভোরে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে গেল। আমার সমবয়সী খালাতো বোন ইরিনা আগের রাতে আমাদের বাসায় বেড়াতে এসে থেকে গিয়েছিল। সে চিৎকার করে রিমিকে জড়িয়ে ধরলো। রাজশাহীর এসপি (আমাদের এক মামা ও আম্মার মামাতো ভাই) সৈয়দ আবু তালেব দু’দিন আগে সরকারি কাজে ঢাকায় আমাদের বাসায় উঠেছিলেন। তিনি হতভম্বের মতো ঘর থেকে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। তাঁর পাশে আব্বু ও কাজের ছেলে ইলিয়াস দাঁড়ানো। আমরাও একে একে বারান্দায় জড়ো হলাম। আম্মা চিন্তাগ্রস্ত কণ্ঠে বললেন, ‘হঠাৎ এত গোলাগুলি কোথা থেকে আসছে।’ আব্বু বারান্দা থেকে দ্রুত ছাদে ছুটে গেলেন। রিমি ও আমিও গেলাম আব্বুর পেছনে পেছনে। দু’-একটা গুলির শব্দ আবারও শোনা গেল। তারপর সব নিঃশব্দ হয়ে গেল। আব্বু নিচে নেমে বারান্দায় ইস্ত্রির টেবিলের পাশে রাখা ফোনে বিভিন্নজনকে যোগাযোগের চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেই ভোরে ফোনে কাউকেই পেলেন না। এরপর আব্বুর নির্দেশমতো রিমিও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলো। মিন্টো রোডে অধ্যাপক ইউসুফ আলীর সরকারি বাড়ির ফোন ধরলো তাঁর মেয়ে বেবি। বেবি জানালো যে, ওর বাবা নামাজ পড়তে গিয়েছেন এবং তাঁদের বাড়ির কাছেও অনেক গোলাগুলি হয়েছে। বেবি তখনও জানতো না মুজিব কাকুর ভগ্নিপতি খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের মিন্টো রোডের বাসাতেও অভ্যুত্থানকারীরা আক্রমণ করে তাঁকেসহ তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা করেছে। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে বেবি সেরনিয়াবাত রিমির সহপাঠী ছিল। সে-ও নিহতদের মধ্যে ছিল। তাঁর বড় মেয়ে শেখ ফজলুল হক মনির স্ত্রী আরজু মনি তাঁর স্বামীসহ তাঁদের ধানমন্ডির বাসায় ১৫ই আগস্ট ভোরে একই দলের গুলিতে নিহত হন। মুজিব কাকু ও তাঁর পরিবারের নিকটতম অত্যন্ত ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গরা একই দিনে, কাছাকাছি একই সময়ে অকালেই জীবন হারালেন।

একটু সকাল হতেই আব্বু ফোনে খোন্দকার মোশ্‌তাককে পেলেন। তিনি আব্বুর কাছে এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিস্ময় প্রকাশ করলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পিয়ন আনোয়ার আগের রাতে আব্বুর সঙ্গে দেখা করতে এসে বেশি রাত হওয়ায় আমাদের বাসায় থেকে গিয়েছিলেন, তিনি চলে গেলেন। আমাদের বাড়ি যিনি দেখাশোনা করতেন সেই বারেক মিয়া (হাইয়ের বাবা) এবং ইলিয়াস বাইরে বেরিয়ে পড়লেন। একটু পর বারেক মিয়া রাস্তা থেকে প্রায় ছুটতে ছুটতে ঘরের কাছে এসে চিৎকার করে রেডিও অন করতে বলেন। রাস্তায় অনেক মানুষ জড়ো হয়েছে। তারা রেডিওতে কি এক ভাষণের কথা যেন বলাবলি করছে। আব্বু রেডিও অন করলেন। ইথারে ভেসে এল মেজর ডালিমের উত্তেজিত কণ্ঠ- ‘খুনি মুজিবকে হত্যা করা হইয়াছে।’ আমরা সবাই বাক্যহারা হয়ে গেলাম। বেদনায় বিমূঢ় আব্বু গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘মুজিব ভাই জেনে গেলেন না কে ছিল তাঁর প্রকৃত বন্ধু আর কে শত্রু। মৃত্যুর আগে যদি চিন্তার সময় পেয়ে থাকেন তাহলে হয়তো ভেবেছেন আমিই তাঁকে হত্যা করিয়েছি। আমি যদি মন্ত্রিসভায় থাকতাম কারও সাধ্য ছিল না মুজিব ভাইয়ের শরীরে কেউ সামান্য আঁচড় কাটে।’ 

সপরিবারে স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিনপুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, দশ বছরের বালক শেখ রাসেল, ছোট ভাই শেখ নাসের, দুই পুত্র বধূ সুলতানা কামাল খুকী ও পারভীন জামাল রোজীসহ মুজিব কাকু নিহত হন। দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। শিশু রাসেলকেও ছাড়েনি বর্বর ঘাতকের দল। ১৯৬৪ সালে যখন রাসেলের জন্ম হয়, আম্মার সঙ্গে আমি নবজাতক শিশুকে দেখতে গিয়েছিলাম। মুজিব কাকির কোল আলো করে রয়েছে ফুটফুটে রাসেল। আজ সে নেই! তাঁরা কেউ নেই! কি এক নির্মম ও অবিশ্বাস্য সত্যের মুখোমুখি আমরা সেদিন দাঁড়ানো! মুজিব কাকুকে হত্যার খবর রেডিও মারফত চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। ইলিয়াস রাস্তা থেকে আরও খবর নিয়ে এলো। অনেক মানুষ এই হত্যাকান্ডে উল্লাস প্রকাশ করেছে। হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে কেউ কেউ স্লোগানও দিচ্ছে।

পঁচাত্তরে মুজিব কাকুর জনপ্রিয়তা ছিল শূন্যের কোঠায়। তার নেতৃত্ব সম্পর্কে হতাশাগ্রস্ত জনগণ তার স্বৈরশাসনের অবসান কামনা করছিল। যদিও তারা হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করেনি (অতীতে একই জনগণ তার জন্য প্রাণ আহুতি দিতে পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল) তা সত্ত্বেও ধারণা করা যায় যে, দেশের অধিকাংশ মানুষ এই নির্মম হত্যাকান্ডকে সমর্থন করেনি। দুর্ভাগ্য যে সেদিনের নির্মম হত্যাকান্ড রুখতে বা সেই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করতে মুজিব কাকুর অনুগত রক্ষী বাহিনী চরমভাবেই ব্যর্থ হয়। একমাত্র বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতির জনকের হত্যার সশস্ত্র প্রতিবাদ করেন ও জেনারেল জিয়াউর রহমান নিয়ন্ত্রিত আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে দেশান্তরী হতে বাধ্য হন। মুজিব কাকুকে হত্যা করা হয়েছে- এই ঘোষণা শোনার পর আব্বু বলেছিলেন, মুজিব কাকু জেনে গেলেন না কে ছিল তাঁর প্রকৃত বন্ধু আর কে শত্রু। রাষ্ট্রপতি হিসেবে খোন্দকার মোশ্‌তাকের নাম ঘোষিত হওয়ার পর মনে হলো নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, মুজিব কাকুর অতি কাছের আস্থাভাজন এই ব্যক্তিটি নির্মম এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। সে ও তার মতো ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই জানতো যে, আব্বু মুজিব কাকুর পাশে থাকলে তারা আঘাত হানতে পারবে না। সে কারণেই কুমন্ত্রণা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে তারা মুজিব কাকুকে আব্বুর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। মুজিব কাকুর আত্মীয়দের মধ্যে কেউ কেউ আব্বুর প্রতি তাঁদের ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে আব্বু ও মুজিব কাকুর সম্পর্কে ফাটল ধরায় এবং হত্যাকারীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথকে সহজ করে দেয়। আব্বুর নিঃস্বার্থ উপদেশ, সতর্কবাণী সব অগ্রাহ্য করে মুজিব কাকু স্বাধীনতার শত্রুদের বরণ করেন পরম বন্ধু হিসেবে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সকালবেলাটা ছিল উৎকণ্ঠা, উত্তেজনা ও বেদনাসিক্ত। আশপাশের অনেকেই আব্বুর সঙ্গে দেখা করতে এলেন। আব্বুর সাবেক একান্ত সচিব আবু সাঈদ চৌধুরীসহ অনেকে সকাল থেকেই আমাদের বাসায় ফোন করা শুরু করলেন। কেউ কেউ আব্বুকে বাসা ছেড়ে যাওয়ার উপদেশ দিলেন। আম্মা বারবার আব্বুকে অনুরোধ করলেন, ‘তুমি বাসায় থেকো না, আশপাশে কোথাও চলে যাও। নিরাপদ জায়গায় গিয়ে দেখো পরিস্থিতি কি হয়।’ আব্বু বাসা ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখালেন না। আব্বুর মুখমন্ডলজুড়ে কি নিদারুণ বেদনার ছাপ। আব্বুর এক সতীর্থ উপদেশ দিলেন ভারতে আশ্রয় নেয়ার জন্য।

আব্বু বললেন, ‘যে পথে একবার গিয়েছি সে পথে আর যাবো না।’ একাত্তরের সেই সময় ও আজকের সময়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। সেদিন বঙ্গবন্ধু জীবিত ছিলেন। তাঁরই প্রতিনিধি হিসেবে তাজউদ্দীন এক স্বাধীনতা-পাগল জাতির মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ তিনি যদি পালিয়ে যান তাহলে হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা অপপ্রচারণার সুযোগ পাবে যে, তিনিই মুজিবকে হত্যা করিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আব্বু বললেন, ‘বিশ্বাসঘাতক অপবাদ নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল।’ 

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য আমাদের বাসা ঘিরে ফেললো। সামনের বড় রাস্তাজুড়ে সেনাবাহিনীর অতিকায় ট্রাকগুলো মূর্তিমান আতঙ্কের মতো একে একে বাসার সামনে জড়ো হলো। আব্বুর সঙ্গে আমরা বাসার টেলিফোনের পাশে দাঁড়ানো। সেই মুহূর্তে একজন অফিসার দ্রুতগতিতে আমাদের দোতলার বারান্দায় উঠে এলেন। ক্যাপ্টেন শহীদ হিসেবে পরিচয়দানকারী এই অফিসার আম্মাকে বললেন, ‘এই মুহূর্ত থেকে আপনারা কেউ বাসার বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের কেউ ভেতরে আসতে পারবে না।’ আব্বু প্রত্যুত্তর দিলেন, ‘বলুন হাউস অ্যারেস্ট। আমাদের গৃহবন্দি করলেন।’ ছোট সোহেল আমার কোলে চড়ে দোতলার জানালা দিয়ে নিচের রাস্তায় জমায়েত আর্মির ট্রাকগুলো দেখে উত্তেজিত কণ্ঠে বলে উঠলো ‘ব’পা, মিলিটারি বন্দুক’!


লেখক পরিচিতি:
শারমিন আহমদ
তাজউদ্দিন আহমদ এবং জোহরা তাজউদ্দিনের বড় মেয়ে।
১৯৮৪ সাল থেকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি খেকে ১৯৯০ সালে উইমেনস স্টাডিজ-এ তিনি এম এ করেন।
মানবাধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন ইন্সটিটিউট এবং সংস্থায় পরামর্শক হিসেবে প্রায় দু দশক ধরে কাজ করেছেন।
প্রগতিশীল ইসলামী নীতি গবেষণামূলক ইন্সটিটিউট মিনারেট অব ফ্রিডম-এর সাবেক পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তাজউদ্দিন আহমেদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট (২০১১ সালে) প্রতিষ্ঠা করেন। 

http://tazakhobor.com/bangla/ltte/27540-2014-04-27-19-10-28?q=e16393aed27130a9209c42e7da26a62e171828123

Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

Trending Articles