Quantcast
Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

সাঈদীকে কাতারে নিষিদ্ধ করণ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ..২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ফানারে ২০০৩ সালে নিষিদ্ব হন কিভাবে ??

বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম-এ সাঈদী সাহেবকে কাতারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে একটি অপপ্রচার মূলক রিপোর্ট করা হয়েছে। আর অনেক ব্লগার এই রিপোর্টটাকে কপি করে পোষ্ট করেছেন। আর অন্য কিছু অতি উৎসাহী ব্লগার সেই সব পোষ্টে বিরামহীন মন্তব্য করে অপপ্রচারকারীদেরকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। সাঈদীকে নিষিদ্ধ করণ বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো সময় নিয়ে। আজ সাঈদী সাহেবের কাতার সফর সম্পর্কে মাত্র কয়েকটি চ্যালেঞ্জ।

 ১.) যে "ফানার"সাঈদী সাহেবকে নিয়ে ২০০৩ সালে এতো মাতামাতি করেছে, সেই ফানারের জন্ম ২০০৬ সালে। আমার জিজ্ঞাসা যে প্রতিষ্ঠানের জন্ম ২০০৬ সালে সেই প্রতিষ্ঠান ২০০৩ সালে কিভাবে তদন্ত করে। বিস্তারিত জানার জন্য ফানারের ওয়েব সাইট
 http://www.fanar.gov.qa/Index.aspx
... বা ফানারের ফেইস বুকে
https://www.facebook.com/FanarQatar/info দেখুন।

 ২)  সাঈদী সাহেব ২০০২ সালের পর কখনও কাতার সফর করেননি। তাহলে যে ব্যক্তিটি ২০০২সালের পর কাতার যায়নি, সেই ব্যক্তিটি ২০০৩সালে কিভাবে কাতারে কোন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবে। সাঈদী সাহেব সম্পর্কে যারা অযথা অপপ্রচার করেন, তারা বিষয়গুলোর জবাব দেবেন আশা করি।




৩. রিপর্টের একস্থানে লেখা হয়েছে ফানার-এর আমন্ত্রণে এর আগে বাংলাদেশ থেকে যারা কাতার সফর করেছেন তাদের মধ্যে আছেন মুফতি ফজলুল হক আমিনী, হাটহাজারীর মাওলানা শাহ আহমদ শফী, শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক প্রমুখ। আমার বক্তব্য হলো-শুধু তারা নয়, বরং জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রাহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ, সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, চট্টগ্রামের মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারী, মাওলানা হারুন ইসলামাবাদী, সিলেটের মাওলানা হাবীবুর রাহমান, ঢাকার মাওলানা কামালুদ্দিন জাফরী, সিলেটের মাওলানা ফরিদ চৌধুরী সহ অনেকেই কাতারে সফর করেছেন। আমার জিজ্ঞাসা মুফতি ফজলুল হক আমিনী, হাটহাজারীর মাওলানা শাহ আহমদ শফী, শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক প্রমুখ কেন দ্বিতীয়বার কাতারে সফর করেননি? তাহলে তারা কাদের সমালোচনা করেছিলেন? ফানার কর্তৃক তারাও কাতারে নিষিদ্ধ কিনা তা রিপোর্টে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ফানার কর্তৃক সাঈদী সাহেবকে নিষিদ্ধ করার প্রসংগ একটি গাজাখোরী গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। 

৪. রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কাতার সফরের সময় মাওলানা সাঈদী কাতারের ওয়েসিস হোটেলে উঠেন। কথাটি একদম মিথ্যা। কেননা আমার জানামতে সাঈদী সাহেব মাত্র ২বার কাতার সফর করেছেন। এর মাঝে কখনও তিনি কাতারের ওয়েসিস হোটেলে থাকেননি। 

৫. রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বাংলানিউজের অনুসন্ধোনে জানা গেছে, সফরকালে কাতারের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সাঈদী ওয়াজ করেন।। আমার প্রশ্ন-২০০৩ সালের একটা বিষয়কে এতদিন পর সাত সমুদ্র তের নদী ফাঁড়ি দিয়ে গিয়ে অনুসন্ধান করার কি প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। আসলে বিষয়টি অনুসন্ধানে জানা গেছে, না সাঈদী সাহেবের কোন বন্ধুর (?) দেয়া উদ্দেশ্যমূলক তথ্যের ভিত্তিতে টেবিলে বসে রচনা করা হয়েছে তা সচেতন পাঠক বুঝতে অসুবিধা হয়না।আর যেহেতু অনুসন্ধান করার জন্য এতো দূর পর্যন্ত এসেছিলেন, তাহলে নিশ্চয়ই কাতারের বাংলাদেশ কমিউনিটি সম্পর্কে আরো অনেক বিষয় অনুসন্ধান করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি এর বিবরণ দিবেন এবং সেই বিবরণে শেখ হাসিনা, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, হাসান মাহমুদ, দিপু মনি গংরা যে সব অনাকাংখিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তার বিবরণও দিবেন।নিশ্চয়ই এই বিবরণও দেবেন যে, কাতারে ঐ সব নেতা নেতৃদের দল এবং উপদল এককেটি কয়টি ভাগে বিভক্ত, আর বছরে এ নিয়ে তারা কতবার করে চেয়ার টানাটানি করেন?  

৬. রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে-স্থানীয় একটি হোটেলে জামায়াতি সংগঠন কুরআন সুন্নাহ পরিষদ, কাতার (এটি কাতারে জামায়াতের ছদ্মবেশী রূপ) এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে সাঈদী ওয়াজে দাঁড়ালেন।এখানে আমার মতে অত্যন্ত উদ্দেশ্য মূলক ভাবে কুরআন সুন্নাহ পরিষদের নামের অংশ "বাংলাদেশ"বাদ দেয়া হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সংগঠনটির নাম "বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ কাতার"। একই ভাবে কুরআন সুন্নাহ পরিষদকে জামায়াতের ছদ্মবেশী রূপ উল্লেখ করা হয়েছে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে। কুরআন সুন্নাহ পরিষদের নেতৃবৃন্দের যদি বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি যায়, তাহলে নিশ্চয়ই তারা এর প্রতিবাদ জানাবেন আশা করি। কিন্তু আমি কাতারে ১৩ বছর থেকে থাকি। কখনো কুরআন সুন্নাহ পরিষদকে জামায়াতের ছদ্মনামী সংগঠন বুঝিনি। কাতারে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বা ধানসিড়ি কে নিশ্চয়ই আওয়ামীলীগ বা বিএনপির ছদ্মনামী সংগঠন বলে প্রতিবেদকের মনে হয়নি। আমার বিশ্বাস অনুযায়ী যেসব বন্ধু প্রতিবেদককে তথাকথিত অনুসন্ধানী রিপোর্টের রসদ জোগান দিয়েছেন, তাদের সংগঠন কাতারে ছদ্মনামেই কাজ করে। কাতারে আমার জানা মতে ৩টি ইসলামী সংগঠন বাংলাদেশীদের মাঝে কাজ করে। তার মধ্যে "মজলিস ইত্তেহাদুল মুসলিমীন"যারা বাংলাদেশে শায়খুল হাদীসের খেলাফত মজলিসের সমর্থক, "মারকাজ দাওয়াতুল হক"যারা মুফতি আমিনীর ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির সমর্থক আর "মজলিস আল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ"যারা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। অপর দিকে ইসলামী নয় এমন সংগঠনের সংখ্যা অনেক, যেমন-বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, স্বদেশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ইত্যাদি যা আওয়ামী পন্থী। অপর দিকে কমল পরিষদ, জিয়া পরিষদ, ধানসিড়ি ইত্যাদি বিএনপি সমর্থক। বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন জন বিভিন্ন নামে তাদের আদর্শের প্রচার চালাচ্ছে, তাকে যদি ছদ্মনাম বুঝিয়ে থাকেন, তাহেল তা কেবল কুরআন সুন্নাহ্ পরিষদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে কেবল জামায়াতকে সমর্থন করার কারণেই এই অপবাদ অথবা অপরাধ। 

প্রতিবেদক তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন যে,কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকাংশের কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই শুধু জামায়াতিরা ছাড়া। প্রবাসী সাধারণ বাংলাদেশিদের মতে- এদের লজ্জা বা বিবেক সবই ব্যক্তি আর গোষ্ঠী স্বার্থের নির্লজ্জ কানাগলিতে স্থায়ী বন্দিত্ব লাভ করেছে। সাঈদীর মত বকধার্মিক নেতারা কাতারসহ অন্যান্য আরব দেশে গিয়ে বাংলাদেশ এবং একইসঙ্গে এদেশের অধিকাংশ মানুষের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরির অপপ্রয়াস করেন স্রেফ ব্যক্তি আর দলীয় স্বার্থের খাতিরে। এ সম্পর্কে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই যে, কাতারে কুরআন সুন্নাহ পরিষদই একমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশী সংগঠন, যাদের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী বা এজেন্ডা নেই, যাদের প্রোগ্রাম বা বৈঠকাদিতে কোন রাজনৈতিক বিষয় আলোচিত হয়না। প্রতিবেদক এবং পাঠকরা যদি অনুবিক্ষণ যন্ত্রদিয়ে খোজেন, তাহলেও কুরআন সুন্নাহ পরিষদের ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা পাবেন না। কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মে অবস্থান করে প্রতিবেদন তৈরী করায় এই ধরণের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়েছে। আসলে যারা ইসলাম বিরোধী শক্তি, তারা সাংবাদিকতার ছদ্মাবরণে তাদের হীন ইসলাম বিরোধী তৎপরতা চালায়। কুরআন সুন্নাহ পরিষদ রাজনৈতিক কর্মকান্ড না চালালে কি করে? তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পাঠকদেরকে পরবর্তী কোন একটি পোষ্টের জন্য। যেখানে আমার দেখা বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ এর চিত্র প্রকশিত হবে। 

অতএব, সাঈদী সাহেব সম্পর্কে যারা অযথা অপপ্রচার করেন, যারা কুরআন সুন্নাহ পরিষদ সম্পর্কে না জেনে অপপ্রচার করেন, তারা জবাব দেবেন আশা করি। 

৭. প্রতিবেদনের এক স্থানে বলা হয়েছে এক সমাবেশে সাঈদী ওয়াজে দাঁড়ালেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হলো তার পুরনো স্বভাবের উন্মোচন। মাঝখানে মহানবী (সা.) এর বিশিষ্ট সাহাবি আ’মর ইবনুল আস (রা.) কে গালি দিয়ে ‘ধোঁকাবাজ’ ‘প্রতারক’ বলে আখ্যায়িত করে বসেন (নাউজুবিল্লাহ)সাঈদী। 

এ ব্যাপারে বলতে হয় যে, যেহেতু সাঈদী সাহেব ২০০২ সালের পর কাতারে কখনো যাননি, সেহেতু এধরণের বা কোন ধরনের বক্তব্য রাখার অবান্তর। তার চেয়ে আরও সামনে গিয়ে বলতে চাই যে, সাঈদী সাহেব কাতারে যতবারই সফর করেছেন, সকল বারেই তিনি বসে বক্তব্য দিয়েছেন। বিধায় এক সমাবেশে সাঈদী ওয়াজে দাঁড়ালেন কথাটা ঠিক নয়।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হলো তার পুরনো স্বভাবের উম্মোচন বলতে বুঝায় তিনি এর আগে আরো বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সাহাবীদের গালাগালি করেছেন। অথচ শুধুবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম নয়, কোন দিন আমরা কখনো সাঈদী সাহেব এমন ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন বলে শুনিনি। প্রতিবেদকের ভাষায় বাংলানিউজের অনুসন্ধোনে জানা গেছে, সাঈদী সাহেব মহানবী (সা.) এর বিশিষ্ট সাহাবি আ’মর ইবনুল আস (রা.) কে গালি দিয়ে ‘ধোঁকাবাজ’ ‘প্রতারক’ বলে আখ্যায়িত করে বসেন। আমাদের জিজ্ঞাসা নিশ্চয়ই সাঈদী সাহেবের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি কোন অডিও বা ভিডিও সংগ্রহ করেছে। তার কাছে বিনীতি অনুরোধ করবো-মাত্র ১টি ভিডিও বা অডিও এ ব্যাপারে উপস্থাপন করুন। 

৮. প্রতিবেদক তার প্রতিবেদন যে, ডাহা মিথ্যা তা প্রমাণ করেছেন তার প্রতিবেদনের ভীত মজবুত করতে গিয়ে সাঈদীর এমন অজ্ঞতার্পূণ মন্তব্যের প্রমাণ হিসেবে অনেকেই তার বক্তব্য মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করেন। বক্তব্য দিয়ে। যদি আমরা ধরে নেই যে, সাঈদী সাহেব কাতারে এমন কোন বক্তব্য দিয়েছেন, তাহলে তা যদি হয় ২০০২ সালে বা তার পূর্বে কখনো, তাহলেও সেই সময়ে কাতারের আর্ত সামাজিক অবস্থা এবং কাতার প্রবাসীদের আর্থিক স্ট্যাটাস সম্পর্কে প্রতিবেদকের বা প্রতিবেদক কে যিনি তথ্য দিয়েছেন, তার সম্যক ধারণা ছিলনা। অথবা তারা একটি মিথ্যা গল্পকে সত্য বানাতে গিয়ে বিষয়টি চিন্থা করেননি। কারণ ২০০২ সালে কাতারে সকল কাতারী লোকের হাতেও মোবাইল ছিলোনা। বাংলাদেশী যাদের নিকট মোবাইল ছিল তারা হয় কোন কোম্পানীতে চাকুরী করতেন বলে কোম্পানী তাদেরকে মোবাইল দিয়েছিল অথবা ছিলেন বড় ঠিকাদার। যাদের মোবাইলটাও ছিল মটরলা বা নকিয়া ম্যাগা সাইজের-যাতে অডিও বা ভিডিও রেকডিং সুবিধা ছিলনা। আর যারা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন সেই সম্মানিত আলেম সমাজের প্রত্যেকের বেতন ছিল সর্বেচ্চ ১১শ কাতারী রিয়াল মাত্র। যাদেরকে স্বপরিবারে কাতারে অবস্থান করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতো। ২০০২ সালে কোন বাংলাদেশী আলেমের হাতে মোবাইল দেখিনি বা চোখে পড়েনি, যা দিয়ে ভিডিও বা অডিও রেকর্ড করা যায়। বিধায় সাঈদী সাহেবের ওয়াজ মোবাইল দিয়ে রেকর্ড করার কথা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য মূলক, একই ভাবে রেকর্ড রেখে দেয়াও উদ্দেশ্য মূলক। তবে সাঈদী সাহেবের সকল বক্তব্যের ক্যাসেট আমরা কাতারে সেই সময়ে পেয়েছে। কিন্তু এই ধরনের কোন বক্তব্য আমরা শুনিনি। কাতারে বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমরা উপস্থিত হয়েছি, কিন্তু এই ধরনের ঘটনা দেখিনি। জালেম সরকারের কারাগারে বন্দী সাঈদী সাহেবকে নিয়ে অতীতে যেভাবে মিথ্যাচার হয়েছে যে, সাঈদীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্যান্স করে, অথচ বাস্তবে সাঈদী সাহেবের কোন মেয়েই নেই। বাংলানিউজ এর মিথ্যাচার তারই ধারাবাহিকতা মাত্র।  

৯.প্রতিবেদনের এক জায়গায় বলা হয়েছে পরে সেই ভিডিও অবশ্য প্রতিশ্রুতদের কাউকে দেয়নি জামায়াত। তবে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাঈদীর ওই কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যের ভিডিও ফাইল কারও কারও কাছে সংরক্ষিত আছে এখনও। কাতারের বাংলাদশ দূতাবাস চেষ্টা করলেই তা উদ্ধার করতে পারে। এ ব্যাপারে শুধু এতটুকুই বলবো, যেখানে অনুষ্ঠানের হওয়া না হওয়াই প্রশ্নবোধক-সেখানে অনুষ্ঠানের ভিডিও-সেতো প্রশ্নই আসেনা। তবে আমরা যারা কাতারে থাকি, তারা কুরআন সুন্নাহ পরিষদের অফিসে যখনই যে ভিডিও বা ভিসিডি চেয়েছি, তা পেয়েছে। দৈব্যদূর্বিপাকে যদি কোন ক্যাসেট কপি করা না থাকে তাহলে অর্ডার করলে সাথে সাথে পাওয়া গেছে। যেহেুত বাংলানিউজ অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভিডিও ফাইল কারো কারো কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেহেতু অনুরোধ করবো সেই ফাইল গুলো দয়া করে সুর্য্যের আলোতে নিয়ে আসুন। লম্বা লম্বা প্রতিবেদনের দরকার নেই, ভিডিও চিত্রই কথা বলবে, সত্য ও মিথ্যা প্রমাণ করবে। আর বাংলাদেশ দূতাবাসকে চেষ্টা করার জন্য প্রতিবেদনে প্ররোচিত করা হয়েছে। আসলে এখন সাংবাদিক হতে হলে পড়ালেখা জানা লাগেনা বলে যে কেউ সাংবাদিক হয়ে যায়-এটাই জাতির দূঃখ। না হলে একজন সাংবাদিকের কমপক্ষে এই জ্ঞানটুকু থাকা দরকার ছিলে যে, বিদেশে কোন দূতাবাসের এটা কাজ নয় যে, কোথায় কোন ভিডিও সিডি লুকিয়ে আছে, তা খুজে বের করা। সত্যি বলতে এসব সাংবাদিকরাই মুলত আমাদের দেশের এবং দেশের বাহিরে কর্মকর্তাদেরকে মূল কাজ ফেলে দিয়ে ওকাজের কাজকে মূল বানিয়ে তা নিয় ব্যস্ত থাকতে উৎসাহিত করে দেশের ১২টা বাজায়। 

১০. সেদিনকার ঘটনায় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন আলেম পরে কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান। সাঈদীর বিরুদ্ধে এভাবে একে একে ২৭টি রিপোর্ট জমা হয় কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালযয়ে। এর জের ধরে নড়েচড়ে বসে ফানার। আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, এটি চরম মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। কেননা সেই সময়ে ফানার নামক কোন প্রতিষ্ঠান ছিলনা, যাকে নড়েচড়ে বসতে হবে। আর এধরণের কোন ঘটনাও ঘটেনি। তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেই যে ২৭টি রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। তাহলে বলবো, যাদেরকে আলেম বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের যোগ্যতা কতটুকু। তারা হচ্ছেন তারা যারা দেশের মাটিতে নিজের কর্মসংস্থানে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে রুটি রুজির তাগিদে বিদেশ ফাড়ি জমিয়েছেন। যারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার একটি চাকুরীর জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে সহপাটিদের যোগ্যতার কাছে ধরাশায়ী হয়ে উপায়ান্তর না দেখে বিদেশে ফাড়ি জমিয়েছেন। যাদের যোগ্যতা খবর পাওয়া যায়, যখন কোন বাংলাদেশী তাদের নিকট যায় কোন একটি আরবী কাগজ নিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য, কোন বাংলা কাগজ নিয়ে যায় অনুবাদ করে দেয়ার জন্য অথবা যায় কোন একটি দরখাস্ত আরবীতে লিখে দেয়ার জন্য। ওদের খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নাই। তাই ইসলামের খেদমত করতে গিয়ে আলেম উলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন, চরম মিথ্যা কথা বলতে তাদের জিহবা একটুও কাঁপেনা। যারা গীবত করতে সিদ্ধহস্ত। আর বাস্তব কথা হলো কাতারের ধর্মমন্ত্রনালয়ে ২৭টি রিপোর্ট জমা হলো আর সেই রিপোর্টের কিছুই জানলোনা কাতার প্রবাসীরা। অবশেষে প্রায় এক দশক পর ডিজিটাল কায়দায় জানতে হলো ইসলামের দুশমনীতে খ্যাত বাংলানিউজ ২৪ ডটকম থেকে।  

লিখেছেন : আধা শিক্ষিত ভাই : http://web.archive.org/web/20121210225522/http://sonarbangladesh.com/blog/mnibwch/page/8

Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

Trending Articles