Image may be NSFW.
Clik here to view.
Clik here to view.

ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক হিন্দুবাড়িতে হামলা ভাংচুর-লুটপাট ও গোয়াল ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের বিশ্বাসবাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সিদ্দিক মিয়া ও তার ভাগ্নে বরিশালের দক্ষিণ আলেকান্দার লাভলু খানের ছেলে লিমন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। আহতরা হলো- সাগর বিশ্বাস, তার মা মঞ্জু রানি, সুবাস চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, নয়নের শিশু মেয়ে সুপ্রিয়া ও উত্তম বিশ্বাস। আহতদের মধ্যে মঞ্জু রানি ও সাগর রাজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন।
আহত নয়ন বিশ্বাস জানান, তার কাকা অমূল্য বিশ্বাস কিছুদিন আগে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সিদ্দিক মিয়ার বাবা খালেক মিয়ার কাছে ২৪ কাঠা জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। কিন্তু তাদের পৈতৃক ভিটা ও মন্দিরের মধ্যে আরও জমি রয়েছে দাবি করে গতকাল সকালে সিদ্দিক মিয়া তার ৫০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আহত মঞ্জু রাণী জানান হামলাকারিরা মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দিরের কালি, মনষাসহ ৫টি মূর্তি ভাংচুর করে ও গোয়ালঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ঘরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙে নগদ ৮০ হাজার টাকা, সোনার চেইন নিয়ে যায়। অভিযুক্ত সিদ্দিক মিয়া আটক অবস্থায় দাবি করেন তাদের ক্রয় করা জমিতে মন্দির নির্মাণ করে জমি দখল করলে তার লোকজন নিয়ে পুনরায় ওই জমি দখল নিতে যান। তখন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য সচিব আ. সবুর হাওলাদার বলেন, সািদ্দক মিয়া যুবলীগ করেন ঠিকই তবে ওর্য়াডের সভাপতি নয়। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরুল ইসলাম বলেন জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ধাওয়া করে সিদ্দিকসহ দুজনকে আটক করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. শাখাওয়াত হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।