Image may be NSFW.
Clik here to view.
শেখনিউজ রিপোর্টঃবাংলাদেশে বিগত পাঁচ বছর শেখ হাসিনার সরকারের সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার নিরস্ত্র নাগরিকদের দমন করা হয়েছে নির্মমভাবে। শুধু গ্রেফতার, নির্যাতন, কারাবাসেই তা সীমাবদ্ধ থাকে নি। বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি নিজ বাড়ী থেকেও উঠিয়ে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে অনেক কে। গুম করা হয়েছে হাজার হাজার। এই সকল কাজগুলোর সাথে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে গেছে আমাদের সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু কর্মকর্তা। যারা অন্যান্য বাহিনীতে ডেপুটেশনে থাকাকালে এই কাজগুলতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। শেখনিউজ ডট কম এমন কিছু অফিসারদের তালিকা পেয়েছে। এই অফিসারগন সেই তালিকার একটি অংশ মাত্র। জানাগেছে জাতিসংঘের একটি টিম ক্রোয়েশিয়ায় গণহত্যার সাথে জড়িত সারবিয়ান সেনা অফিসারদের যেভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করেছে, সেই একই ভাবে এই সকল অফিসারদের আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে বিচারের সম্মুখীন করার প্রচেষ্টা চলছে।
Clik here to view.

নিচে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিবরণী সংক্ষিপ্ত তুলে ধরা হলঃ
মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ
Image may be NSFW.
Clik here to view.
বিতর্কিত সেনা অফিসার বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ (বিএ-২৪২৪) ৮ লং কোর্সের কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। তার জন্ম ১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি। মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০০৫ সালে ৩০ আর্টিলারি রেজিমেন্টে থাকাকালে ২১ হাজার রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার কারনে শাস্তি প্রাপ্ত হন। কোর্ট অব ইঙ্কুয়ারি তার চাকুরী ডিসমিস করার জন্য সুপারিশ করে। শেখ হাসিনা সরকার মাত্র আড়াই বছরে তার আনুগত্যের উপহার হিসেবে তাকে ৩টি প্রমোশন দেয়।
Clik here to view.

তার এক ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ এখন কারাগারে। অন্য ভাই হারিস গোয়েন্দা সূত্র মতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কিলিং মিশনে অংশ নিচ্ছে। পাক বাহিনীর চেয়েও ভয়ংকর পদ্ধতিতে তিনি এখন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সমন্বয় করছেন। গত ৩০ নভেম্বর ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন (কমান্ডিং অফিসার লে কর্নেল মতিউর) র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে সাতক্ষীরা নতুনহাটে কমপক্ষে ৫০ জন নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা করা ও বাড়ী ঘর ধংস করার অপারেশন তিনি নিজে সমন্বয় করেন।
তিনি সীমান্ত খুলে রেখে বিজিবি সদস্যদের দেশব্যাপী মোতায়েন করেছেন যাতে সরকারী ও ‘র’ এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিরোধীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হত্যা করা সম্ভব হয়।
তিনি নিজে সেনাবাহিনী থেকে ৩০ জন অফিসারকে পছন্দ করে বিজিবিতে বদলির ব্যবস্থা করেছেন যাতে ‘র’ এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হয়। এদের মধ্যে ব্রি জেনারেল শামস (যশোর) , ব্রি জেনারেল আহমেদ আলী (চট্টগ্রাম), কর্নেল শেখ মনিরুজ্জামান (ময়মনসিংহ), কর্নেল শাহরিয়ার (কুমিল্লা), লে কর্নেল এমাদ (ফেনী), লে কর্নেল মতিউর (যশোর) অন্যতম। এরাই র্যাব ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে বিরোধী দলের হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞে মূল অপারেশনের পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীপুর, কোম্পানিগঞ্জ, নীলফামারী, চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, মিরেরসরাই শ অন্যান্য এলাকায় অপারেশন করে কমপক্ষে ১০০০ নাগরিক হত্যা করেছে।
কর্নেল জিয়াউল আহসান
Image may be NSFW.
Clik here to view.
কর্নেল জিয়াউল আহসান (বিএ-৪০৬০) পদাতিক অফিসার। জন্ম তারিখ ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। গত ৫ বছর সে র্যাব এ চাকুরী করছে। বর্তমানে অতিঃ মহাপরিচালক। সে সরাসরি মেজর জেনারেল (অব) তারেক আহমেদ সিদ্দিকির সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।
Clik here to view.

মাঠ পর্যায়ে জিয়া হল আসল সিরিয়াল কিলার। কমান্ডো হলেও চাকুরিতে তার ক্যারিয়ার খুবই নিম্নমানের। নিজে সে কমপক্ষে ৫ শাতাধিক নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা করেছে। নিহতরা মূলত সরকারী দলের বিরোধিতার কারনে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তার তত্বাবধানে কমপক্ষে ১০০০ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আমিনুল, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী অন্যতম। ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যার অপারেশন ইনচার্জ ছিল এই কর্নেল জিয়া। টেলিভিশন সাক্ষাতকারে সে তা স্বীকার করেছে। এই গণহত্যার সফলতায় সে লে কর্নেল থেকে কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পায়।
গত এ মাসে সকল গণহত্যার সাথেই দেশব্যাপী সে সম্পৃক্ত ছিল। এজন্য তাকে র্যাবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে বসান হয়। গত ২৫ নভেম্বর লাকসামের বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, লাকসাম শহর বিএনপি সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে মোবাইল ট্র্যাকিং করে ধরে র্যান ১১ এর সিও লে কর্নেল তারেক সাইদ মোহাম্মদ এর দ্বারা হত্যা করায়। তারেক হল আওয়ামী নেতা মফাজ্জল হোসেন মায়ার মেয়ের জামাই। শেখ সেলিম এর মেয়ের জামাই ববি হাজ্জাজ হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পক্ষ নিলে ববিকে ধরে বিদেশ পাঠায় এই জিয়া।
জিয়ার চক্রান্তে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাও চাকুরী হারায় যাদের বৃত্তান্ত পড়ে প্রকাশ করা হবে।
ব্রিগে জেনারেল মজিবুর
Image may be NSFW.
Clik here to view.
ব্রিগে জেনারেল মোঃ মজিবুর রহমান (বিএ-৩৪২১) সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার। সে ১৮ লং কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। সে ডিজিএফআই ও এনএসআই এ চাকুরীরত ছিলেন। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি র্যাব এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
Clik here to view.

নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের ছাত্র মজিবর রহমান ছাত্র লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছাত্রলীগের সেই মুলমন্ত্রেই র্যাবে থাকাকালীন বহু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সাথে জড়িত ছিলেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জানা যায়। নরসিংদী বিএনপি এক নেতার হত্যাকাণ্ডে তাকে সহায়তা করেন র্যাব-১১ এর সাবেক সিও লে কর্নেল মস্তফা (বর্তমানে এন,এস,আই পরিচালক)।
লে কর্নেল কিসমত
Image may be NSFW.
Clik here to view.
লে কর্নেল কিসমত হায়াত (বিএ নম্বর ৪৪৯০) ২৭ বিএমএ লং কোর্সে কমিশন প্রাপ্ত সেনা অফিসার। ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের অফিসার হলেও সে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করতে পারেনি বলে জানা যায়। বর্তমানে র্যাব-১ এর সিও হিসেবে টঙ্গী, গাজীপুর, দক্ষিনখান, উত্তরখান, বারিধারা, বাড্ডাসহ ঢাকা থেকে কমপক্ষে ২৫০ জন নাগরিক হত্যা করেছে।
Clik here to view.

গত ৪ ডিসেম্বর বসুন্ধরা থেকে ৭ জনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে সে। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সেক্রেটারি সাজেদুল ইসলাম সুমন তাদের অন্যতম। তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম ঝনটুকে ৬ ডিসেম্বর ধরে নিয়ে হত্যা করে।
লে কর্নেল তারেক
Image may be NSFW.
Clik here to view.
লে কর্নেল তারেক সাইদ মোহাম্মদ (বিএ-৪১২৭) র্যাব-১১ এর সিও। তার পরিচয় হল আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর নেতা মফাজ্জল হোসেন মায়ার মেয়ের জামাই। সাইদ এর জন্ম তারিখ ১৯৭২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততার কারনেই সে হিংস্র হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে এবং কর্নেল জিয়ার বিস্বশ্ততা অর্জন করে সে।
Clik here to view.

গত ২৫ নভেম্বর লাকসামের বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, লাকসাম শহর বিএনপি সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে মোবাইল ট্র্যাকিং করে ধরে হত্যা করে সে। তারেক কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন অপারেশনে জড়িত।
লে কর্নেল মতিউর
Image may be NSFW.
Clik here to view.
লে কর্নেল মতিউর রহমান (বিএ-৪৪৫৭) ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সিও। সে ২৭ বিএমএ লং কোর্সের কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। সাতক্ষীরা ও যশোর হত্যাকাণ্ডে সে জড়িত। সাতক্ষীরা, নতুনহাট ও মনিরামপুর অপারেশনে সে কমপক্ষে ৭০ জন নিরস্ত্র জনতাকে হত্যা করেছে। ধংস করেছে বহু ঘরবাড়ী।
Clik here to view.

লে কর্নেল ইমরান
Image may be NSFW.
Clik here to view.
লে কর্নেল ইমরান ইবনে রউফ (বিএ-৪৬৬৪) র্যাব-১০ এর সিও। ২৯ বিএমএ লং কোর্সের কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। সে গাজীপুরের আহসানউল্লাহ মাস্টারের মেয়ের জামাই এবং রাসেল এমপি’র ভগ্নিপতি। আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে সে র্যাবকে ব্যবহার করে বহু বিরোধী দলের সমর্থক হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
Clik here to view.

সে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে ৭ জনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে চকবাজার থানায় নম্বর-১২৩৫ জিডি রয়েছে। নিহতদের মধ্যে কোতওয়ালি থানা ছাত্রদলের জয়েন্ট কনভেনর রায়হান সেন্টু, সোহেল, জহির, পারভেজ, সাব্বির, চঞ্চল অন্যতম।
মেজর জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন
Image may be NSFW.
Clik here to view.
মেজর জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন (বিএ-২৮৯০) ১৩ লং কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার এবং বর্তমানে ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক। তার জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ১১ নভেম্বর। ‘র’ এর সাথে মূল সমন্বয়ের কাজটি তিনি করেন বলে জানা যায় এবং পুলিশ কমিশনার বেনজির, ডিজি, বিজিবি মে জেনারেল আজিজ ও এডিজি র্যাব কর্নেল জিয়ার সাথে নিয়মিত সমন্বয় বৈঠক করেন। আকবর নিজেই উদ্যোগ নিয়ে এরশাদকে জোর করে সিএমএইচ এ নিয়ে যান এমনকি প্রয়োজনে হত্যার হুমকি দেন বলে জানা গেছে।
Clik here to view.

লে কর্নেল মাকসুরুল হক
Image may be NSFW.
Clik here to view.
লে কর্নেল মাকসুরুল হক (বিএ-৩৫২৯) জি ১- স্পেশাল অপারেশন, আইবি, ডিজিএফআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায় সে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন টুকুর উপর হামলায় সে জড়িত বলে জানা যায়।
Clik here to view.

বেগম জিয়ার বাড়ী থেকে উচ্ছেদের সময় সে বেগম জিয়ার সাথে মারাত্মক দুর্ব্যবহার করে। ডঃ পিয়াস করিম ও ডঃ তুহিন মালিকের উপর হামলা তারই তত্বাবধানে হয়। জি-২ ৩৬ লং কোর্সের তাজুল ইসলামের সমন্বয়ে সেই অবরোধের সময় পেট্রোল বোমা চালু করে এবং বিরোধী দলের উপর চাপায়।
সিরাজুল ইসলাম সিকদার
Image may be NSFW.
Clik here to view.
ডিজিএফআই এর আইবি’র পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সিকদার (বিএ-৩১৪৭)বিরোধী দলের নেতাকর্মী হত্যা পরিকল্পনাকারী টিমের একজন অন্যতম সদস্য। তার জন্ম ১৯৬৫ সালের ১ জুলাই। সে সীতাকুণ্ড, মিরেরসরাই ও হেফাজত ইসলামীর সমাবেশে হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত বলে জানা যায়। সে এখন র্যাবকে বিভিন্ন ব্যাক্তির মোবাইল ট্র্যাকিং এর তথ্য সরবরাহ করে থাকে। এতে সহায়তা করেন এনএমসি (এর দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন ডিজিএফআই এর ব্রি জেনারেল রাশেদ ও ব্রি জেনারেল ইব্রাহিম)
Clik here to view.
