Quantcast
Channel: Truth Revealer
Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

সজীব ওয়াজেদ জয় ,৮৬২ মিলিয়ন ডলারের রাজপুত্র!!

$
0
0
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা ঢাকার মাটিতে পা দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব জয়ের সাথে  দু’ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন। ঐ বৈঠকের আলোচ্য সূচি এবং অগ্রগতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে।  ঘন্টাব্যাপী আলোচনায় কি এমন কথা হলো, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা?

কূটনৈতিক সূত্র থেকে জানা গেছে, জয়ের আগ্রহে নয়, বরং ড্যান মজেনার কূটনৈতিক কৌশল ঠিক করতেই জয়কে ডেকে নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ড্যান মজেনার সাক্ষাৎ ঘটেনি প্রায় আড়াই বছর। তাই জয়ের মাধ্যমে মজেনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কিছু বার্তা প্রেরণ করতেই আলোচ্য বৈঠকের আয়োজন করেন। তাছাড়া মার্কিন নীতির সর্বশেষ অবস্থা জানার বিষয়ে জয় নিজেও সাক্ষাতের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।


আলোচনাকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পরিস্কার করেই জয়কে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ দেখতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহনে একটি গ্রহনযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনই অনুষ্ঠিত হতে হবে। এ বিষয়ে জটিলতা দূরীকরনে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারী মন্ত্রী নিসা দেশাই ইতিমধ্যেই ঢাকা এসেছেন।

এর বাইরে সাক্ষাতে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র জানিয়েছে, মজেনা জয়কে জানান, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটনের জাষ্টিস ডিপার্টমেন্ট জয়ের মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগগুলি বিচারের মুখোমুখি করতে উদ্যোগ নিয়েছে, বিশেষ করে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক চাপ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জয়ের যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কার্যকলাপ ও অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ মার্কিন  আইআরএস, মানি লন্ডারিং এজেন্সি, এফবিআই ও ফরেন রিলেসন্স কমিটির নজরে রয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে বড় বড়  অর্থ হস্তান্তর তদন্ত করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার খোঁজ পায় দুবাইয়ে শেখ সেলিম, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বামী খন্দকার মাসরুর হোসেন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনির স্বামী তৌফীক নাওয়াজের স্বর্নের মার্কেটে বিলিয়ান ডলারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক।

এই অনুসন্ধানের সূত্র ধরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৮৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদের খোঁজ উদঘাটিত হয়। কর্মকর্তারা ধারনা করছেন, এর বাইরে বিভিন্ন ব্যাংকের লকারে প্রচুর স্বর্ন এবং ক্যাপিটেল মার্কেটে বিনিয়োগ রযেছে। কানাডা পুলিশের চাহিত সূত্রমতে লাভালিনের কাছ থেকে নেয়া পদ্মাসেতু ঘুষ কেলেঙ্কারীর ৯ মিলিয়ন ডলার জয়ের একাউন্টে আসে। জয় এবং তার বোন পুতুলের নানাবিধ উপায়ে সম্পদ জমা করার বিষয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভালোভাবেই অবহিত আছে।

আইন প্রণেতাদের চাপে ফরেন রিলেসন্স কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেনদেজ বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।  অপর একজন আইন প্রণেতা যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের বিষয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।গত বছর কানাডার মাউন্টেড পুলিশের চাহিদায় কানাডা থেকে জয়ের হিসাবে অর্থ আসার বিষয়ে তদন্ত করে এন্টি মানি লন্ডারিং এজেন্সী ও এফবিআই। এ সব তদন্তে গুরুত্বপূর্ন অগ্রগতি হযেছে। ড্যান মজেনা আরো জানান, অপরাধ প্রমান হলে জয়ের জেল জরিমানা থেকে শুরু করে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করন, এমনকি গ্রীন কার্ডও বাতিল হতে পারে। জয়ের এসব ব্যক্তিগত দুর্নীতি উদঘাটনে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি এন,জি,ও ব্যাপক সহযোগিতা করে। এ বিষয়ে নিয়ে জয় উঁচু গলায় কথা বলার চেষ্ট করলে মজেনার জোরালো অবস্থানের কারনে অবশেষে জয় নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। জয় অবশ্য প্রশ্ন তুলেন, এসব ব্যবস্থার ফলে তার কন্যা সন্তান মার্কিন নাগরিক সোফিয়ার ভরন পোষনে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

জয়ের এ সাক্ষাতের পরে গত ২৪ ঘন্টায় সরকারের ঘনিষ্ট মহলে এমন বিষয় ছড়িয়ে পড়ে যে, ড্যান মজেনার সাথে আলোচনা সন্তোষজনক হয়নি। এর পর থেকে জয়ের মুখ বন্ধ, এমনকি প্রতিদিনকার মত ফেসবুকেও কোনো ষ্টেটাস নাই। অনেক মন্ত্রীদের মুখের ভাষা বদলে গেছে, শুকিযে গেছে মুখ চোখ।

তবে পরবর্তী পদক্ষেপ ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতার উপর নির্ভর করছে বলে আওয়ামী সংশ্লিষ্ট মহল থেকে জানা গেছে।
http://www.sheikhnews.com/2013/11/16/joymozina/

Viewing all articles
Browse latest Browse all 358

Trending Articles